ETV Bharat / city

Drinking Water: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশে পানীয় জলের সমস্যা মেটার আশায় গ্রামবাসীরা

একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও বিশুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছেন না মালদার ইংরেজবাজার এলাকার গোপালনগরগ্রামের বাসিন্দারা ৷ অবশেষে মানবাধিকার কমিশনের দারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা (Human Rights Take Initiative For Drinking Water) ৷ কমিশনের নির্দেশেই আগামী 2024 সালের মধ্যে জেলার প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলাশাসক ৷

ETV Bharat
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশে পানীয় জলের সমস্যা মেটার আশায় গ্রামবাসীরা
author img

By

Published : Oct 15, 2022, 10:01 PM IST

মালদা, 15 অক্টোবর : আবেদন-নিবেদন চলছে 2017 সাল থেকে ৷ কাজ হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা ৷ সম্প্রতি মানবাধিকার কমিশনের তরফে জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দ্রুত গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দিতে হবে ৷ এ নিয়ে আগামী 8 সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসকের রিপোর্টও তলব করেছে কমিশন ৷ সেই নির্দেশিকা প্রাপ্তির খবর স্বীকার করে জেলাশাসক জানিয়েছেন, শুধু একটি বা দু'টি গ্রামে নয়, 2024 সালের মধ্যে জেলার প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে (Human Rights Take Initiative to Provide Drinking Water)৷

ঘটনাটি ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগবাড়ি, 52 বিঘা, গোপালনগর গ্রামগুলির ৷ এই গ্রামগুলিতে 10 হাজারেরও বেশি পরিবারের বসবাস ৷ জনসংখ্যা 50 হাজারের বেশি ৷ কিন্তু কোনও গ্রামেই পরিস্রুত পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই ৷ নলকূপ দিয়ে যে জল ওঠে, তা পানের অযোগ্য ৷ ফলে বাসিন্দাদের প্রায় 5 কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীপুর থেকে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল নিয়ে আসতে হয় ৷ এতে একদিকে যেমন সময়ের অপচয় হয় ৷ অন্যদিকে একই কল থেকে প্রচুর মানুষ জল নেওয়ায় ঝামেলাও বাড়ে ৷

গোপালনগর গ্রামের সীতাবালা মণ্ডল বলছেন, “5-7 কিলোমিটার দূর থেকে প্রতিদিন পানীয় জল নিয়ে আসতে হয় ৷ কখনও কখনও দিনে দু’বার যেতে হয় ৷ গ্রামের নলকূপগুলি দিয়ে যে জল ওঠে, তা দুর্গন্ধযুক্ত ৷ পান করা যায় না ৷ জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের কর্তাদের এ নিয়ে অনেকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ কোনও কাজ হয়নি ৷ মনে হচ্ছে, সেসব চিঠি তাঁরা ফেলে দিয়েছেন ৷ যেভাবেই হোক, আমরা গ্রামে পানীয় জল চাই ৷”

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশে পানীয় জলের সমস্যা মেটার আশায় গ্রামবাসীরা

আরও পড়ুন: পানীয় জল পৌঁছে দিতে 'স্বজল গ্রাম প্রকল্প' চালু হবে কোচবিহারে

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া জানিয়েছেন, কেন্দ্রের জলজীবন মিশন প্রকল্পে গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সবার প্রথমে রয়েছে ৷ গোটা রাজ্যের সঙ্গে সেই কাজ জোরদারভাবে চলছে মালদা জেলাতেও ৷ ইতিমধ্যেই জেলার 35 শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে ৷ 2024 সালের মধ্যে বাকি 65 শতাংশ বাড়িতেও তা পৌঁছে যাবে ৷ এই প্রকল্পেই 52 বিঘা, বাগবাড়ি, গোপালনগর, জালুয়াবাথাল প্রভৃতি এলাকায় ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে ৷

মালদা, 15 অক্টোবর : আবেদন-নিবেদন চলছে 2017 সাল থেকে ৷ কাজ হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা ৷ সম্প্রতি মানবাধিকার কমিশনের তরফে জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দ্রুত গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দিতে হবে ৷ এ নিয়ে আগামী 8 সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসকের রিপোর্টও তলব করেছে কমিশন ৷ সেই নির্দেশিকা প্রাপ্তির খবর স্বীকার করে জেলাশাসক জানিয়েছেন, শুধু একটি বা দু'টি গ্রামে নয়, 2024 সালের মধ্যে জেলার প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে (Human Rights Take Initiative to Provide Drinking Water)৷

ঘটনাটি ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগবাড়ি, 52 বিঘা, গোপালনগর গ্রামগুলির ৷ এই গ্রামগুলিতে 10 হাজারেরও বেশি পরিবারের বসবাস ৷ জনসংখ্যা 50 হাজারের বেশি ৷ কিন্তু কোনও গ্রামেই পরিস্রুত পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই ৷ নলকূপ দিয়ে যে জল ওঠে, তা পানের অযোগ্য ৷ ফলে বাসিন্দাদের প্রায় 5 কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীপুর থেকে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল নিয়ে আসতে হয় ৷ এতে একদিকে যেমন সময়ের অপচয় হয় ৷ অন্যদিকে একই কল থেকে প্রচুর মানুষ জল নেওয়ায় ঝামেলাও বাড়ে ৷

গোপালনগর গ্রামের সীতাবালা মণ্ডল বলছেন, “5-7 কিলোমিটার দূর থেকে প্রতিদিন পানীয় জল নিয়ে আসতে হয় ৷ কখনও কখনও দিনে দু’বার যেতে হয় ৷ গ্রামের নলকূপগুলি দিয়ে যে জল ওঠে, তা দুর্গন্ধযুক্ত ৷ পান করা যায় না ৷ জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের কর্তাদের এ নিয়ে অনেকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ কোনও কাজ হয়নি ৷ মনে হচ্ছে, সেসব চিঠি তাঁরা ফেলে দিয়েছেন ৷ যেভাবেই হোক, আমরা গ্রামে পানীয় জল চাই ৷”

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশে পানীয় জলের সমস্যা মেটার আশায় গ্রামবাসীরা

আরও পড়ুন: পানীয় জল পৌঁছে দিতে 'স্বজল গ্রাম প্রকল্প' চালু হবে কোচবিহারে

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া জানিয়েছেন, কেন্দ্রের জলজীবন মিশন প্রকল্পে গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সবার প্রথমে রয়েছে ৷ গোটা রাজ্যের সঙ্গে সেই কাজ জোরদারভাবে চলছে মালদা জেলাতেও ৷ ইতিমধ্যেই জেলার 35 শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে ৷ 2024 সালের মধ্যে বাকি 65 শতাংশ বাড়িতেও তা পৌঁছে যাবে ৷ এই প্রকল্পেই 52 বিঘা, বাগবাড়ি, গোপালনগর, জালুয়াবাথাল প্রভৃতি এলাকায় ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.