ETV Bharat / city

Swasthya Sathi Card: প্রত্যাখ্যাত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ! বিনা চিকিৎসায় পঙ্গুত্বের মুখে মালদার পরিযায়ী শ্রমিক

দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গুত্বের মুখে মালদার এক পরিযায়ী শ্রমিক । ভিনরাজ্যের সঙ্গে জেলাতেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Hospitals Rejected Swasthya Sathi Card) ।

Hospitals rejected Swasthya Sathi Card of a Migrant worker of Malda
Hospitals Rejected Swasthya Sathi Card
author img

By

Published : Jul 13, 2022, 4:00 PM IST

মালদা, 13 জুলাই: বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলেছে, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড(Swasthya Sathi Card) গরিব মানুষের কোনও কাজে আসছে না । বিরোধীদের সেই অভিযোগ উসকে দিয়েছেন চাঁচল 2 নম্বর ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহারাবাদ গ্রামের বধূ আলিয়ারা বিবি ।

ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন স্বামী । তাঁর কোমরের নীচের অংশ পিষ্ট হয়ে যায় । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দিকে সেই রাজ্যের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফিরেও তাকায়নি । মালদার একটি বেসরকারি হাসপাতালও ওই কার্ডে তাঁর স্বামীর চিকিৎসা করতে চায়নি । এই পরিস্থিতিতে স্বামীকে কীভাবে ঠিক করবেন, ভেবেই আকুল আলিয়ারা । স্বামীকে সুস্থ করতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন । একই আর্জি তাঁর পড়শিদেরও ।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম সাইদুর রহমান । এলাকায় কাজ না পেয়ে বাড়তি রোজগারের আশায় স্থানীয় আরও কয়েকজনের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন কেরালায় । সেখানেই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি । একদিন কাজের জায়গা থেকে আস্তানায় ফেরার পথে তিনি রাস্তা পেরোচ্ছিলেন । সেই সময় একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁকে ধাক্কা মারে । কোমরের নীচের অংশ বাসে পিষ্ট হয়ে যায় তাঁর । আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয় । খবর পেয়ে ধার-দেনা করে, নিজের সমস্ত গয়না বিক্রি করে কেরালায় চলে যান স্ত্রী আলিয়ারাও । প্রায় দেড় মাস সেখানে থেকে স্বামীর চিকিৎসা করান তিনি । খরচ হয়ে যায় দু’লক্ষেরও বেশি । সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তাঁর স্বামীর তৃতীয় একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন । তার জন্য খরচ হবে প্রায় তিন লক্ষ টাকা । অত টাকার সংস্থান না করতে পেরে স্বামীকে নিয়ে ঘরে ফিরে আসেন আলিয়ারা । মালদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বামীকে নিয়ে যান তিনি । কিন্তু সেখানেও তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করা হয় বলে অভিযোগ(Hospitals rejected Swasthya Sathi Card of a Migrant worker of Malda) ।

আলিয়ারা বলেন, "কেরালার হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হয়নি । সেখানে ভাষারও খুব সমস্যা হচ্ছিল । তাই স্বামীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনি । মালদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই । সেখানে জানায়, ক্ষত শুকোনোর পর স্বামীর অপারেশন করা যাবে । তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হবে না । তিন লক্ষের বেশি খরচ হবে । অত টাকা কোথায় পাব? তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছি । স্বামী ছাড়া আমাদের সংসারে উপার্জনের কেউ নেই । আমার ছেলে নেই । তিনটিই মেয়ে ।"

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার নার্সিংহোমের, আধিকারিকের দারস্থ হওয়ার পর মিলল পরিষেবা

একই আর্জি জানিয়েছেন সাইদুরের প্রতিবেশী ফিরোজ আখতারও । তিনি বলেন, "এরা খুবই গরিব । বড় মেয়েটার বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে । তারই মধ্যে এই দুর্ঘটনা । চিকিৎসায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধে পাওয়া যায়নি । আরও একটা অপারেশন করতে হবে । তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে । এঁরা অত টাকা কোথায় পাবে? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, তিনি এঁদের পাশে দাঁড়ান ।"

মালদা, 13 জুলাই: বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলেছে, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড(Swasthya Sathi Card) গরিব মানুষের কোনও কাজে আসছে না । বিরোধীদের সেই অভিযোগ উসকে দিয়েছেন চাঁচল 2 নম্বর ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহারাবাদ গ্রামের বধূ আলিয়ারা বিবি ।

ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন স্বামী । তাঁর কোমরের নীচের অংশ পিষ্ট হয়ে যায় । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দিকে সেই রাজ্যের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফিরেও তাকায়নি । মালদার একটি বেসরকারি হাসপাতালও ওই কার্ডে তাঁর স্বামীর চিকিৎসা করতে চায়নি । এই পরিস্থিতিতে স্বামীকে কীভাবে ঠিক করবেন, ভেবেই আকুল আলিয়ারা । স্বামীকে সুস্থ করতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন । একই আর্জি তাঁর পড়শিদেরও ।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম সাইদুর রহমান । এলাকায় কাজ না পেয়ে বাড়তি রোজগারের আশায় স্থানীয় আরও কয়েকজনের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন কেরালায় । সেখানেই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি । একদিন কাজের জায়গা থেকে আস্তানায় ফেরার পথে তিনি রাস্তা পেরোচ্ছিলেন । সেই সময় একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁকে ধাক্কা মারে । কোমরের নীচের অংশ বাসে পিষ্ট হয়ে যায় তাঁর । আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয় । খবর পেয়ে ধার-দেনা করে, নিজের সমস্ত গয়না বিক্রি করে কেরালায় চলে যান স্ত্রী আলিয়ারাও । প্রায় দেড় মাস সেখানে থেকে স্বামীর চিকিৎসা করান তিনি । খরচ হয়ে যায় দু’লক্ষেরও বেশি । সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তাঁর স্বামীর তৃতীয় একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন । তার জন্য খরচ হবে প্রায় তিন লক্ষ টাকা । অত টাকার সংস্থান না করতে পেরে স্বামীকে নিয়ে ঘরে ফিরে আসেন আলিয়ারা । মালদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বামীকে নিয়ে যান তিনি । কিন্তু সেখানেও তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করা হয় বলে অভিযোগ(Hospitals rejected Swasthya Sathi Card of a Migrant worker of Malda) ।

আলিয়ারা বলেন, "কেরালার হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হয়নি । সেখানে ভাষারও খুব সমস্যা হচ্ছিল । তাই স্বামীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনি । মালদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই । সেখানে জানায়, ক্ষত শুকোনোর পর স্বামীর অপারেশন করা যাবে । তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হবে না । তিন লক্ষের বেশি খরচ হবে । অত টাকা কোথায় পাব? তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছি । স্বামী ছাড়া আমাদের সংসারে উপার্জনের কেউ নেই । আমার ছেলে নেই । তিনটিই মেয়ে ।"

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার নার্সিংহোমের, আধিকারিকের দারস্থ হওয়ার পর মিলল পরিষেবা

একই আর্জি জানিয়েছেন সাইদুরের প্রতিবেশী ফিরোজ আখতারও । তিনি বলেন, "এরা খুবই গরিব । বড় মেয়েটার বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে । তারই মধ্যে এই দুর্ঘটনা । চিকিৎসায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধে পাওয়া যায়নি । আরও একটা অপারেশন করতে হবে । তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে । এঁরা অত টাকা কোথায় পাবে? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, তিনি এঁদের পাশে দাঁড়ান ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.