ETV Bharat / city

অটোচালকের মৃত্যুতে আর্থিক অনটনে পরিবার, সরকারি সাহায্যের আর্জি

author img

By

Published : Jun 14, 2020, 7:53 AM IST

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক অটোচালকের । লকডাউনে তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । যেটুকু সঞ্চয় ছিল তা সে সময় সংসারের খরচ চালাতে চলে যায় । এরমধ্যে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ায় পাঁচ ছেলে-মেয়ে নিয়ে তাঁর স্ত্রী চরম অসুবিধায় পড়েছেন ।

autodriver
আর্থিক অনটনে অটোচালকের পরিবার

মালদা,13 জুন : লকডাউন কেড়ে নিয়েছিল সারা জীবনের সঞ্চয় ৷ যখন পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হচ্ছিল, তখনই ঘটল বিপত্তি ৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক অটোচালকের৷ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে পথে বসেছে ওই অটোচালকের পরিবার ৷ পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন স্ত্রী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের শিবমন্দির পাড়া এলাকায়৷

মৃত অটোচালকের নাম রামকুমার পারিহার ৷ বয়স ৪৮ ৷ গত বছর তাঁর হৃদ‌যন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে ৷ তা নিয়েই অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি ৷ লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় তাঁর অটো ৷ উপার্জন থমকে যাওয়ায় এতদিনের জমানো সঞ্চয় থেকেই চালাচ্ছিলেন সংসার ৷ ঘরেও দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট ৷ বাড়ি প্রায় ভেঙে পড়েছে ৷ নেই পানীয় জলের উৎস ৷ শৌচাগারের অবস্থাও তথৈবচ ৷ বাঁশের বেড়া আর পলিথিনের বস্তা দিয়ে তৈরি শৌচাগারে হাত দিলেই ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ছে ৷ এদিকে ঘরে পাঁচ নাবালক সন্তান ৷ সামান্য উপার্জনে পরিবারের সবার পেট ভরাই সমস্যা ছিল তাঁর ৷ তার উপর হৃদ‌রোগ তাঁকে আরও সমস্যায় ফেলেছিল৷ অর্থের অভাবে নিজের চিকিৎসাও ঠিকমতো করাতে পারছিলেন না ৷

অকস্মাৎ স্বামীকে হারিয়ে অথৈ জলে পড়ে গিয়েছেন রামকুমারবাবুর স্ত্রী সান্ত্বনা পারিহার ৷ তিনি বলেন, “আগে থেকেই ও অসুস্থ ছিল ৷ তার উপর লকডাউনে মানসিক চাপ আরও বেড়ে গিয়েছিল ৷ আমরা এমনিতেই ভীষণ গরিব ৷ নিজের একটা কুঁড়েঘর থাকলেও তা বসবাসের যোগ্য নয় ৷ হঠাৎ চারদিন আগে স্বামী মারা যায় ৷ এই অবস্থায় কীভাবে ছেলেমেয়েদের খাবার জোগাড় করব জানি না ৷ একটু সরকারি সহায়তা পেলে অন্তত বেঁচে থাকতে পারব৷”

রামকুমারবাবুর ভাই টিংকু পারিহার বলেন, “লকডাউনে দাদা বেকার হয়ে গিয়েছিল৷ এমনিতেই ওর রোজগার খুব ভালো হত না ৷ সম্প্রতি ওর রোজগার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ হার্টের অসুখ থাকায় কোনও কাজও করতে পারত না ৷ হঠাৎ সে মারা যাওয়ায় পরিবারটা পথে বসে গেল ৷ আমরাও খুব গরিব ৷ দাদার সংসার চালানোর ক্ষমতা আমার নেই ৷ এই পরিস্থিতিতে আমিও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যেন দাদার পরিবারকে সরকারিভাবে কিছু সাহায্য করা হয় ৷” এক প্রতিবেশী কল্পনা দাস বলেন, “পরিবারটি সত্যিই খুব গরিব ৷ শ্রাদ্ধের টাকা জোগাড় করতে পারবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে ৷ আগামীতে পরিবারটি কীভাবে চলবে আমরা জানি না ৷ এই অবস্থায় প্রশাসন যদি পরিবারটির পাশে দাঁড়ায় তবে খুব ভালো হয় ৷”

হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রিসবা খাতুন জানিয়েছেন, রামকুমার পারিহারের মৃত্যুর খবর শুনে ইতিমধ্যেই তাঁরা পঞ্চায়েতের তরফ থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়ে এসেছেন ৷ ভবিষ্যতে ওই পরিবারটিকে আর কোনও সাহায্য করা যায় কি না তা তাঁরা দেখছেন ৷ এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর 1-এর BDOঅনির্বাণ বসু বলেন, “সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই পরিবারটিকে যাতে সাহায্য করা হয় তার জন্য বলেছি ৷ ওই পরিবারের জন্য সরকারিভাবে বাড়ি, পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হবে ৷”

মালদা,13 জুন : লকডাউন কেড়ে নিয়েছিল সারা জীবনের সঞ্চয় ৷ যখন পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হচ্ছিল, তখনই ঘটল বিপত্তি ৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক অটোচালকের৷ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে পথে বসেছে ওই অটোচালকের পরিবার ৷ পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন স্ত্রী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের শিবমন্দির পাড়া এলাকায়৷

মৃত অটোচালকের নাম রামকুমার পারিহার ৷ বয়স ৪৮ ৷ গত বছর তাঁর হৃদ‌যন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে ৷ তা নিয়েই অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি ৷ লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় তাঁর অটো ৷ উপার্জন থমকে যাওয়ায় এতদিনের জমানো সঞ্চয় থেকেই চালাচ্ছিলেন সংসার ৷ ঘরেও দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট ৷ বাড়ি প্রায় ভেঙে পড়েছে ৷ নেই পানীয় জলের উৎস ৷ শৌচাগারের অবস্থাও তথৈবচ ৷ বাঁশের বেড়া আর পলিথিনের বস্তা দিয়ে তৈরি শৌচাগারে হাত দিলেই ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ছে ৷ এদিকে ঘরে পাঁচ নাবালক সন্তান ৷ সামান্য উপার্জনে পরিবারের সবার পেট ভরাই সমস্যা ছিল তাঁর ৷ তার উপর হৃদ‌রোগ তাঁকে আরও সমস্যায় ফেলেছিল৷ অর্থের অভাবে নিজের চিকিৎসাও ঠিকমতো করাতে পারছিলেন না ৷

অকস্মাৎ স্বামীকে হারিয়ে অথৈ জলে পড়ে গিয়েছেন রামকুমারবাবুর স্ত্রী সান্ত্বনা পারিহার ৷ তিনি বলেন, “আগে থেকেই ও অসুস্থ ছিল ৷ তার উপর লকডাউনে মানসিক চাপ আরও বেড়ে গিয়েছিল ৷ আমরা এমনিতেই ভীষণ গরিব ৷ নিজের একটা কুঁড়েঘর থাকলেও তা বসবাসের যোগ্য নয় ৷ হঠাৎ চারদিন আগে স্বামী মারা যায় ৷ এই অবস্থায় কীভাবে ছেলেমেয়েদের খাবার জোগাড় করব জানি না ৷ একটু সরকারি সহায়তা পেলে অন্তত বেঁচে থাকতে পারব৷”

রামকুমারবাবুর ভাই টিংকু পারিহার বলেন, “লকডাউনে দাদা বেকার হয়ে গিয়েছিল৷ এমনিতেই ওর রোজগার খুব ভালো হত না ৷ সম্প্রতি ওর রোজগার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ হার্টের অসুখ থাকায় কোনও কাজও করতে পারত না ৷ হঠাৎ সে মারা যাওয়ায় পরিবারটা পথে বসে গেল ৷ আমরাও খুব গরিব ৷ দাদার সংসার চালানোর ক্ষমতা আমার নেই ৷ এই পরিস্থিতিতে আমিও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যেন দাদার পরিবারকে সরকারিভাবে কিছু সাহায্য করা হয় ৷” এক প্রতিবেশী কল্পনা দাস বলেন, “পরিবারটি সত্যিই খুব গরিব ৷ শ্রাদ্ধের টাকা জোগাড় করতে পারবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে ৷ আগামীতে পরিবারটি কীভাবে চলবে আমরা জানি না ৷ এই অবস্থায় প্রশাসন যদি পরিবারটির পাশে দাঁড়ায় তবে খুব ভালো হয় ৷”

হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রিসবা খাতুন জানিয়েছেন, রামকুমার পারিহারের মৃত্যুর খবর শুনে ইতিমধ্যেই তাঁরা পঞ্চায়েতের তরফ থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়ে এসেছেন ৷ ভবিষ্যতে ওই পরিবারটিকে আর কোনও সাহায্য করা যায় কি না তা তাঁরা দেখছেন ৷ এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর 1-এর BDOঅনির্বাণ বসু বলেন, “সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই পরিবারটিকে যাতে সাহায্য করা হয় তার জন্য বলেছি ৷ ওই পরিবারের জন্য সরকারিভাবে বাড়ি, পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হবে ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.