ETV Bharat / city

Paddy Cultivation: অনাবৃষ্টিতে আমনচাষের দফারফা, খরা ঘোষণার দাবি কৃষকদের - farmers facing problems

বৃষ্টির (Rain) উপরেই নির্ভর করে থাকেন কৃষকরা ৷ এবার অনাবৃষ্টির জেরে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা (Farmers Facing Problems) ৷ কিছু কৃষক সাহস করে ধানের চারা লাগালেও জলের অভাবে জমিতে আগাছা তৈরি হয়েছে ৷ ফলন ভালো হবে না বলেই তাঁদের আশঙ্কা (Paddy Cultivation) ৷

Due to lack of rain farmers facing problems in Paddy Cultivation
Paddy Cultivation
author img

By

Published : Aug 31, 2022, 6:36 PM IST

মালদা, 31 অগস্ট: শেষ পর্যন্ত দেখা মিলেছে বৃষ্টির (Rain), তবে বড্ড দেরি করে ৷ পরশু রাত থেকে জেলায় শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি ৷ কিন্তু তার আগেই অনাবৃষ্টির জেরে প্রবল ক্ষতি হয়েছে আমনচাষের (Paddy Cultivation) ৷ জেলা কৃষি দফতর সূত্রে খবর, এবার অন্তত 45 শতাংশ কম জমিতে আমনচাষ করা হয়েছে ৷ তবে এনিয়ে এখনও বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি হয়নি ৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বরিন্দ এলাকার গাজোল, বামনগোলা, হবিবপুর ও পুরাতন মালদা ব্লকেক ৷ এই চারটি ব্লকে এমনিতেই সেচ ব্যবস্থা ভালো নয় ৷ জলস্তর মাটির অনেক নীচে থাকায় সাব মার্সিবল পাম্প সব জায়গায় কাজ করে না ৷ আর তাই বৃষ্টির উপরেই নির্ভর করতে হয় কৃষকদের ৷

এবার অনাবৃষ্টির জেলায় তাঁরা ভীষণ সমস্যায় (Due to lack of rain farmers facing problems) ৷ কিছু কৃষক সাহস করে জমিতে ধানের চারা লাগালেও জলের অভাবে জমিতে আগাছা তৈরি হয়েছে ৷ ধানের ফলন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা ৷ এই অবস্থায় তাঁদের দাবি, সরকারের তরফে মালদা জেলাকে খরা প্রবণিত ঘোষণা করা হোক ৷ একমাত্র তাহলেই সমস্যার হাত থেকে মুক্ত হতে পারেবেন তাঁরা ।

অনাবৃষ্টির জেরে আমনচাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । জানুন বিশদে

পুরাতন মালদার বলাতুলি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, "আজ পর্যন্ত এমন খরা দেখিনি ৷ একেবারেই বৃষ্টি নেই ৷ আমরা কিছু কৃষক সাহসে ভর করে ধান লাগিয়েছে বটে, কিন্তু জলের অভাবে জমিতে ঘাস আর আগাছা তৈরি হয়েছে ৷ শ্রমিক কিংবা বিভিন্ন ধরনের বিষের দামও অনেক বেশি ৷ এত খরচ বহন করাও সমস্যার ৷ সরকারের উচিত, এখনই মালদা জেলাকে খরাপ্রবণ হিসেবে ঘোষণা করে চাষিদের পর্যাপ্ত পরিমাণে অনুদান দেওয়া ৷"

স্থানীয় আরেক আমনচাষি মহিউদ্দিনের বলেন, "মহাজনের সাড়ে সাত বিঘা জমিতে কোনওরকমে ধান লাগিয়েছি ৷ কিন্তু জল না পেয়ে চাষের অবস্থা বেহাল ৷ আগাছায় জমি ভরে গিয়েছে ৷ সেসব সাফ করতে প্রচুর শ্রমিক লাগবে ৷ মার্শালের জল নিতেও ভালো খরচ ৷ আমরা গরিব মানুষ ৷ চাষের সব খরচ আমাদেরই করতে হয় ৷ ধান ওঠার পর মহাজন খরচ দেয় ৷ যা অবস্থা, এবার ধান হবেই না ৷"

আরও পড়ুন: এখনও ফুঁসছে গঙ্গা, সেচ দফতরের ভাঙন রোধের কাজে ক্ষোভ এলাকাবাসীর

এনিয়ে পুরাতন মালদা ব্লক কৃষি আধিকারিক সাইফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, "জেলায় এবার বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে ৷ গত সপ্তাহে সেন্ট্রাল টিম আমনচাষের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে ৷ এই ব্লকে 60 শতাংশের বেশি জমিতে ধান লাগানো হয়েছে ৷ কিন্তু বৃষ্টির জলে কোথাও ধান লাগানো হয়নি ৷ পরে বৃষ্টি হলে অনেকটা সমস্যা মিটবে ৷ চাষিদের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন নিজেদের শস্যবীমা দ্রুত করিয়ে নেন ৷ আমরা খরা ঘোষণা করতে পারি না ৷ সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয় ৷ আমরা শুধু রিপোর্ট দিতে পারি ৷ সেই কাজ চলছে ৷"

মালদা, 31 অগস্ট: শেষ পর্যন্ত দেখা মিলেছে বৃষ্টির (Rain), তবে বড্ড দেরি করে ৷ পরশু রাত থেকে জেলায় শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি ৷ কিন্তু তার আগেই অনাবৃষ্টির জেরে প্রবল ক্ষতি হয়েছে আমনচাষের (Paddy Cultivation) ৷ জেলা কৃষি দফতর সূত্রে খবর, এবার অন্তত 45 শতাংশ কম জমিতে আমনচাষ করা হয়েছে ৷ তবে এনিয়ে এখনও বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি হয়নি ৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বরিন্দ এলাকার গাজোল, বামনগোলা, হবিবপুর ও পুরাতন মালদা ব্লকেক ৷ এই চারটি ব্লকে এমনিতেই সেচ ব্যবস্থা ভালো নয় ৷ জলস্তর মাটির অনেক নীচে থাকায় সাব মার্সিবল পাম্প সব জায়গায় কাজ করে না ৷ আর তাই বৃষ্টির উপরেই নির্ভর করতে হয় কৃষকদের ৷

এবার অনাবৃষ্টির জেলায় তাঁরা ভীষণ সমস্যায় (Due to lack of rain farmers facing problems) ৷ কিছু কৃষক সাহস করে জমিতে ধানের চারা লাগালেও জলের অভাবে জমিতে আগাছা তৈরি হয়েছে ৷ ধানের ফলন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা ৷ এই অবস্থায় তাঁদের দাবি, সরকারের তরফে মালদা জেলাকে খরা প্রবণিত ঘোষণা করা হোক ৷ একমাত্র তাহলেই সমস্যার হাত থেকে মুক্ত হতে পারেবেন তাঁরা ।

অনাবৃষ্টির জেরে আমনচাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । জানুন বিশদে

পুরাতন মালদার বলাতুলি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, "আজ পর্যন্ত এমন খরা দেখিনি ৷ একেবারেই বৃষ্টি নেই ৷ আমরা কিছু কৃষক সাহসে ভর করে ধান লাগিয়েছে বটে, কিন্তু জলের অভাবে জমিতে ঘাস আর আগাছা তৈরি হয়েছে ৷ শ্রমিক কিংবা বিভিন্ন ধরনের বিষের দামও অনেক বেশি ৷ এত খরচ বহন করাও সমস্যার ৷ সরকারের উচিত, এখনই মালদা জেলাকে খরাপ্রবণ হিসেবে ঘোষণা করে চাষিদের পর্যাপ্ত পরিমাণে অনুদান দেওয়া ৷"

স্থানীয় আরেক আমনচাষি মহিউদ্দিনের বলেন, "মহাজনের সাড়ে সাত বিঘা জমিতে কোনওরকমে ধান লাগিয়েছি ৷ কিন্তু জল না পেয়ে চাষের অবস্থা বেহাল ৷ আগাছায় জমি ভরে গিয়েছে ৷ সেসব সাফ করতে প্রচুর শ্রমিক লাগবে ৷ মার্শালের জল নিতেও ভালো খরচ ৷ আমরা গরিব মানুষ ৷ চাষের সব খরচ আমাদেরই করতে হয় ৷ ধান ওঠার পর মহাজন খরচ দেয় ৷ যা অবস্থা, এবার ধান হবেই না ৷"

আরও পড়ুন: এখনও ফুঁসছে গঙ্গা, সেচ দফতরের ভাঙন রোধের কাজে ক্ষোভ এলাকাবাসীর

এনিয়ে পুরাতন মালদা ব্লক কৃষি আধিকারিক সাইফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, "জেলায় এবার বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে ৷ গত সপ্তাহে সেন্ট্রাল টিম আমনচাষের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে ৷ এই ব্লকে 60 শতাংশের বেশি জমিতে ধান লাগানো হয়েছে ৷ কিন্তু বৃষ্টির জলে কোথাও ধান লাগানো হয়নি ৷ পরে বৃষ্টি হলে অনেকটা সমস্যা মিটবে ৷ চাষিদের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন নিজেদের শস্যবীমা দ্রুত করিয়ে নেন ৷ আমরা খরা ঘোষণা করতে পারি না ৷ সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয় ৷ আমরা শুধু রিপোর্ট দিতে পারি ৷ সেই কাজ চলছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.