ETV Bharat / city

বিপন্ন মানুষকে ত্রাণ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূরের - ত্রাণ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূরের

শনিবার কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের চিনাবাজার এলাকায় গঙ্গার ভাঙনে বিপর্যস্ত মানুষকে ত্রাণ দিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ এই ত্রাণ বিলির অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর ৷ গঙ্গার ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করেন মৌসম ৷

mausam noor
মৌসম নূর
author img

By

Published : Sep 6, 2020, 5:42 AM IST

Updated : Sep 6, 2020, 6:05 AM IST

মালদা, 6 সেপ্টেম্বর : গঙ্গার ভাঙনে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল ৷ শনিবার কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের চিনাবাজার এলাকায় শাসকদলের পক্ষ থেকে দুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ করা হয় ৷ উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর, মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি চন্দনা সরকার প্রমুখ ৷ এদিন তাঁরা প্রায় আড়াইশো পরিবারের হাতে ত্রিপল, চাল, তেল সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন ৷ ত্রাণের দাবিতে কোরোনা বিধিনিষেধের আগল ভেঙে যায় দুর্গতদের হুড়োহুড়িতে ৷ এদিন মৌসম গঙ্গার ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের নিষ্পৃহতা নিয়ে সরব হয়েছেন ৷ একইসঙ্গে তিনি গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন ৷

এদিকে শনিবারেই ভাঙনপীড়িত মানুষজনের পুনর্বাসনের দাবিতে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ৷ সঙ্গে ছিলেন সুজাপুরের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি, মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম সহ অন্যান্যরা ৷ উল্লেখ্য, গত রবিবার থেকে কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকে তাণ্ডব চালাচ্ছে গঙ্গা ৷ ইতিমধ্যে বৈষ্ণবনগর থানার চিনাবাজার, দুর্গারামটোলা ও চর বাহাদুপুর গ্রামের প্রায় 250 টি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৷ এই গ্রামগুলি পাশাপাশি৷ প্রতিটি বীরনগর 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভূক্ত ৷ ভাঙনের পর এলাকা পরিদর্শনে যায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ৷ আজ চিনাবাজারে দুর্গতদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যান জেলা তৃণমূল সভানেত্রী ও রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর ৷ তিনি বলেন, “এবার ভাঙনের পর আমি এখানে এসে পরিস্থিতি দেখে গিয়েছিলাম ৷ এখানকার মানুষের দাবি, ভাঙনে ঘর হারানো মানুষকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে ৷ দুঃখের বিষয়, গঙ্গা ভাঙনের বিষয়টি রাজ্য সরকারের অধীনে নেই ৷ কেন্দ্র সরকার নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করছে ৷ ফুলহর, মহানন্দা, কালিন্দ্রী নদীর ভাঙনরোধের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের ৷ সেখানে আমরা নিজেদের সাধ্যমতো কাজ করছি ৷ বিপদের সময় মন্ত্রীরা সেখানে সবসময় আসেন ৷ এখন গঙ্গার ভাঙনরোধে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ যেভাবে কাজ করছে, তা শুধু লোকদেখানো৷ শুধুমাত্র কাউকে আর্থিক সুবিধে পাইয়ে দেওয়া৷ আমি এনিয়ে রাজ্যসভাতেও বক্তব্য রাখব৷ কেন্দ্র যদি এটা গুরুত্ব দিয়ে না দেখে, তবে আগামী দিনে এখানকার মানুষকে নিয়ে তৃণমূল আন্দোলনে নামবে ৷ আর গৃহহীনদের পুনর্বাসনের বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি ৷ জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা হয়েছে ৷ কিছুদিনের মধ্যে এলাকায় এসে আমি আপনাদের সেই ব্যবস্থা করে দিয়ে যাব ৷ আজ কথা দিয়ে গেলাম৷”

বিপন্ন মানুষকে ত্রাণ তৃণমূলের

এদিকে ভাঙনে গৃহহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে শনিবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের জন প্রতিনিধিরা ৷ এই দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ৷ সুজাপুরের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি বলেন, “মালদায় বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন চলছে ৷ বিশেষত বীরনগর 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের চিনাবাজারে গঙ্গার ভয়াবহ ভাঙন চলছে ৷ প্রায় 250 বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে ৷ মানিকচক এলাকাতেও এই সমস্যা রয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে এখনম ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ যেভাবে ভাঙনরোধের কাজ করছে তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না ৷ এখন সবার আগে প্রয়োজন গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা৷ তার জন্য জমি প্রয়োজন৷ সাংসদ আজ জেলাশাসককে কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন ৷ জেলাশাসক একটি জায়গা দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন ৷ কিন্তু সেখানে সবাইকে পুনর্বাসন দেওয়া যাবে না ৷ তাই তাঁকে আরও সরকারি জায়গা দেখার আবেদন জানানো হয়েছে ৷ মানিকচকের ভূতনিতেও গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ এসব বিষয় নিয়েই শনিবারে আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছি ৷”

মালদা, 6 সেপ্টেম্বর : গঙ্গার ভাঙনে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল ৷ শনিবার কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের চিনাবাজার এলাকায় শাসকদলের পক্ষ থেকে দুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ করা হয় ৷ উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর, মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি চন্দনা সরকার প্রমুখ ৷ এদিন তাঁরা প্রায় আড়াইশো পরিবারের হাতে ত্রিপল, চাল, তেল সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন ৷ ত্রাণের দাবিতে কোরোনা বিধিনিষেধের আগল ভেঙে যায় দুর্গতদের হুড়োহুড়িতে ৷ এদিন মৌসম গঙ্গার ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের নিষ্পৃহতা নিয়ে সরব হয়েছেন ৷ একইসঙ্গে তিনি গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন ৷

এদিকে শনিবারেই ভাঙনপীড়িত মানুষজনের পুনর্বাসনের দাবিতে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ৷ সঙ্গে ছিলেন সুজাপুরের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি, মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম সহ অন্যান্যরা ৷ উল্লেখ্য, গত রবিবার থেকে কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকে তাণ্ডব চালাচ্ছে গঙ্গা ৷ ইতিমধ্যে বৈষ্ণবনগর থানার চিনাবাজার, দুর্গারামটোলা ও চর বাহাদুপুর গ্রামের প্রায় 250 টি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৷ এই গ্রামগুলি পাশাপাশি৷ প্রতিটি বীরনগর 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভূক্ত ৷ ভাঙনের পর এলাকা পরিদর্শনে যায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ৷ আজ চিনাবাজারে দুর্গতদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যান জেলা তৃণমূল সভানেত্রী ও রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর ৷ তিনি বলেন, “এবার ভাঙনের পর আমি এখানে এসে পরিস্থিতি দেখে গিয়েছিলাম ৷ এখানকার মানুষের দাবি, ভাঙনে ঘর হারানো মানুষকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে ৷ দুঃখের বিষয়, গঙ্গা ভাঙনের বিষয়টি রাজ্য সরকারের অধীনে নেই ৷ কেন্দ্র সরকার নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করছে ৷ ফুলহর, মহানন্দা, কালিন্দ্রী নদীর ভাঙনরোধের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের ৷ সেখানে আমরা নিজেদের সাধ্যমতো কাজ করছি ৷ বিপদের সময় মন্ত্রীরা সেখানে সবসময় আসেন ৷ এখন গঙ্গার ভাঙনরোধে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ যেভাবে কাজ করছে, তা শুধু লোকদেখানো৷ শুধুমাত্র কাউকে আর্থিক সুবিধে পাইয়ে দেওয়া৷ আমি এনিয়ে রাজ্যসভাতেও বক্তব্য রাখব৷ কেন্দ্র যদি এটা গুরুত্ব দিয়ে না দেখে, তবে আগামী দিনে এখানকার মানুষকে নিয়ে তৃণমূল আন্দোলনে নামবে ৷ আর গৃহহীনদের পুনর্বাসনের বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি ৷ জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা হয়েছে ৷ কিছুদিনের মধ্যে এলাকায় এসে আমি আপনাদের সেই ব্যবস্থা করে দিয়ে যাব ৷ আজ কথা দিয়ে গেলাম৷”

বিপন্ন মানুষকে ত্রাণ তৃণমূলের

এদিকে ভাঙনে গৃহহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে শনিবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের জন প্রতিনিধিরা ৷ এই দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ৷ সুজাপুরের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি বলেন, “মালদায় বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন চলছে ৷ বিশেষত বীরনগর 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের চিনাবাজারে গঙ্গার ভয়াবহ ভাঙন চলছে ৷ প্রায় 250 বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে ৷ মানিকচক এলাকাতেও এই সমস্যা রয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে এখনম ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ যেভাবে ভাঙনরোধের কাজ করছে তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না ৷ এখন সবার আগে প্রয়োজন গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা৷ তার জন্য জমি প্রয়োজন৷ সাংসদ আজ জেলাশাসককে কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন ৷ জেলাশাসক একটি জায়গা দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন ৷ কিন্তু সেখানে সবাইকে পুনর্বাসন দেওয়া যাবে না ৷ তাই তাঁকে আরও সরকারি জায়গা দেখার আবেদন জানানো হয়েছে ৷ মানিকচকের ভূতনিতেও গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ এসব বিষয় নিয়েই শনিবারে আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছি ৷”

Last Updated : Sep 6, 2020, 6:05 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.