ETV Bharat / city

মালদায় মৃত বাংলাদেশি নাগরিক, NRC আতঙ্ক ? - NRC আতঙ্কে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু মালদায়

মালদায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত এক বাংলাদেশি নাগরিক ৷ স্থানীয়দের দাবি, NRC আতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ৷ এখানে কোনও ওয়ারিশ না থাকায় তাঁর মৃতদেহও কাউকে দেওয়া হয়নি ৷

প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Oct 22, 2019, 1:44 PM IST

Updated : Oct 22, 2019, 2:28 PM IST

মালদা, 22 অক্টোবর : NRC আতঙ্কেই না কি মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিকের ৷ দাবি স্থানীয়দের ৷ পুরাতন মালদা পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের খইহাট্টা এলাকার কর্মকার পাড়া এলাকার ঘটনা ৷

সত্য কুণ্ডু (59) ৷ পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট ৷ পুরাতন মালদা পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের খইহাট্টা এলাকার কর্মকার পাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ৷ 20 বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছিলেন ৷ পরে বিভিন্ন উপায়ে ভোটার ও আধার কার্ড বানিয়ে নেন ৷ এদেশের নাগরিক হিসেবে একাধিকবার ভোটও দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু সম্প্রতি NRC ইশুতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ স্থানীয়দের দাবি, সেই আতঙ্কেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর ৷

20 তারিখ রাতে তাঁকে শোওয়ার ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা ৷ দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ কিন্তু এদেশে কোনও ওয়ারিশ না থাকায় তাঁর মৃতদেহও কাউকে দেওয়া হয়নি ৷ গতকাল থেকে তিনদিনের জন্য সত্যবাবুর ঠিকানা মালদা মেডিকেলের মর্গে ৷

স্থানীয় বাসিন্দা ও সত্যবাবুর বন্ধু প্রদ্যোৎ কুণ্ডু বলেন, "20-22 বছর ধরে দেখছি ৷ খুব ভালো মানুষ ছিলেন ৷ এক জায়গায় থাকতাম ৷ NRC রব শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি একটু চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন ৷ মাঝেমধ্যেই আমাকে বলতেন, এখানেও NRC চালু হলে তিনি কিছু করতে পারবেন না ৷ এখানে তাঁর কেউ নেই ৷ আমি তাঁকে এলাকার কাউন্সিলরের কাছে যেতে বলি ৷ কিন্তু NRC চিন্তা থেকে তিনি বেরোতে পারেননি ৷ 15-20 দিন আগে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ আমরা তাঁকে মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই ৷ সেখানে তাঁর চিকিৎসা করানো হয় ৷ সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ৷ আমরা তাঁকে সদরেও নিয়ে যাই ৷ NRC আতঙ্কেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৷"

দেখুন ভিডিয়ো...

একই বক্তব্য পুরাতন মালদা পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিতোষ ঘোষেরও ৷ তিনি বলেন, "NRC চালু হলে এখান থেকে বিতাড়িত হওয়ার আতঙ্কে ভুগছিলেন সত্যবাবু ৷ সেই আতঙ্কেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ NRC নিয়ে তিনি আমার কাছেও কয়েকবার এসেছিলেন ৷ তিনি বলতেন, এখানে NRC চালু হলে তাঁকে ফের বাংলাদেশ চলে যেতে হবে ৷ তবে শুধু সত্যবাবুই নন পূর্ববঙ্গ কিংবা পূর্ব পাকিস্তান থেকে যারা এদেশে এসেছে, তাঁরা সবাই এখন NRC নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ৷ বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে তারা এখন কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছে ৷"

এদিকে কোনও ওয়ারিশ না থাকায় মর্গে রাখা হয় সত্যবাবুর মৃতদেহ ৷ এবিষয়ে এলাকার বাসিন্দা শম্ভু ঘোষ বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম আজই সত্যবাবুর মৃতদেহের সৎকার করব ৷ প্রশাসনকেও সে কথা জানিয়েছিলাম ৷ কাউন্সিলরও প্রশাসনের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেন ৷ কিন্তু বেলা তিনটে পর্যন্ত বসিয়ে রেখে আমাদের বলা হয়েছে, যেহেতু সত্যবাবুর কোনও ওয়ারিশ এদেশে নেই তাই চার দিন পর তাঁর মৃতদেহ দেওয়া হবে ৷ কিন্তু চার দিনে মৃতদেহ পচে যাবে ৷ তখন আমরা সেই দেহ নিতে পারব না ৷"

তবে এনিয়ে এখনও পর্যন্ত মালদা থানার পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

মালদা, 22 অক্টোবর : NRC আতঙ্কেই না কি মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিকের ৷ দাবি স্থানীয়দের ৷ পুরাতন মালদা পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের খইহাট্টা এলাকার কর্মকার পাড়া এলাকার ঘটনা ৷

সত্য কুণ্ডু (59) ৷ পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট ৷ পুরাতন মালদা পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের খইহাট্টা এলাকার কর্মকার পাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ৷ 20 বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছিলেন ৷ পরে বিভিন্ন উপায়ে ভোটার ও আধার কার্ড বানিয়ে নেন ৷ এদেশের নাগরিক হিসেবে একাধিকবার ভোটও দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু সম্প্রতি NRC ইশুতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ স্থানীয়দের দাবি, সেই আতঙ্কেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর ৷

20 তারিখ রাতে তাঁকে শোওয়ার ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা ৷ দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ কিন্তু এদেশে কোনও ওয়ারিশ না থাকায় তাঁর মৃতদেহও কাউকে দেওয়া হয়নি ৷ গতকাল থেকে তিনদিনের জন্য সত্যবাবুর ঠিকানা মালদা মেডিকেলের মর্গে ৷

স্থানীয় বাসিন্দা ও সত্যবাবুর বন্ধু প্রদ্যোৎ কুণ্ডু বলেন, "20-22 বছর ধরে দেখছি ৷ খুব ভালো মানুষ ছিলেন ৷ এক জায়গায় থাকতাম ৷ NRC রব শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি একটু চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন ৷ মাঝেমধ্যেই আমাকে বলতেন, এখানেও NRC চালু হলে তিনি কিছু করতে পারবেন না ৷ এখানে তাঁর কেউ নেই ৷ আমি তাঁকে এলাকার কাউন্সিলরের কাছে যেতে বলি ৷ কিন্তু NRC চিন্তা থেকে তিনি বেরোতে পারেননি ৷ 15-20 দিন আগে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ আমরা তাঁকে মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই ৷ সেখানে তাঁর চিকিৎসা করানো হয় ৷ সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ৷ আমরা তাঁকে সদরেও নিয়ে যাই ৷ NRC আতঙ্কেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৷"

দেখুন ভিডিয়ো...

একই বক্তব্য পুরাতন মালদা পৌরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিতোষ ঘোষেরও ৷ তিনি বলেন, "NRC চালু হলে এখান থেকে বিতাড়িত হওয়ার আতঙ্কে ভুগছিলেন সত্যবাবু ৷ সেই আতঙ্কেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ NRC নিয়ে তিনি আমার কাছেও কয়েকবার এসেছিলেন ৷ তিনি বলতেন, এখানে NRC চালু হলে তাঁকে ফের বাংলাদেশ চলে যেতে হবে ৷ তবে শুধু সত্যবাবুই নন পূর্ববঙ্গ কিংবা পূর্ব পাকিস্তান থেকে যারা এদেশে এসেছে, তাঁরা সবাই এখন NRC নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ৷ বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে তারা এখন কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছে ৷"

এদিকে কোনও ওয়ারিশ না থাকায় মর্গে রাখা হয় সত্যবাবুর মৃতদেহ ৷ এবিষয়ে এলাকার বাসিন্দা শম্ভু ঘোষ বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম আজই সত্যবাবুর মৃতদেহের সৎকার করব ৷ প্রশাসনকেও সে কথা জানিয়েছিলাম ৷ কাউন্সিলরও প্রশাসনের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেন ৷ কিন্তু বেলা তিনটে পর্যন্ত বসিয়ে রেখে আমাদের বলা হয়েছে, যেহেতু সত্যবাবুর কোনও ওয়ারিশ এদেশে নেই তাই চার দিন পর তাঁর মৃতদেহ দেওয়া হবে ৷ কিন্তু চার দিনে মৃতদেহ পচে যাবে ৷ তখন আমরা সেই দেহ নিতে পারব না ৷"

তবে এনিয়ে এখনও পর্যন্ত মালদা থানার পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

Intro:মালদা, ২১ অক্টোবর : বাংলাদেশ থেকে ২০ বছর আগে এদেশে এসেছিলেন সত্য কুণ্ডু (৫৯) নামে এক ব্যক্তি৷ পেশায় তিনি ছিলেন ফিজিওথেরাপিস্ট৷ এদেশে এসে তিনি পুরাতন মালদা পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের খইহাট্টা এলাকার কর্মকার পাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করেন৷ এদেশে আসার পর বিভিন্ন উপায়ে তিনি ভোটার ও আধার কার্ডও পেয়ে যান৷ এদেশের নাগরিক হিসাবে একাধিকবার ভোটও দিয়েছেন৷ এরই মধ্যে এনআরসি ইশ্যুতে গোটা দেশ জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ ভারত থেকে বিতাড়িত হওয়ার আশঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েন সত্যবাবুও৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে ভাড়াবাড়ির শোওয়ার ঘরে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ এলাকার লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যায় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে৷ তাঁকে অবশ্য বাঁচানো যায়নি৷ শুধু তাই নয়, এদেশে কোনও ওয়ারিশ না থাকায় তাঁর মৃতদেহও কাউকে দেওয়া হয়নি৷ আজ থেকে আগামী তিনদিন সত্যবাবুর ঠিকানা মালদা মেডিকেল মর্গের লাশঘর৷Body:খইহাট্টা কর্মকার পাড়ায় সত্যবাবু ভালো মানুষ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন৷ বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসার পর তিনি একটি বাড়িতেই ২০ বছর ধরে ভাড়া ছিলেন৷ ফিজিওথেরাপিস্ট হিসাবে এলাকার মানুষের সঙ্গে ভালো যোগাযোগও ছিল তাঁর৷ কিন্তু এদেশে তাঁর কোনও আত্মীয় নেই বলেই জানাচ্ছে স্থানীয়রা৷ এলাকার বাসিন্দা, সত্যবাবুর বন্ধুস্থানীয় প্রদ্যোৎ কুণ্ডু বলছেন, “২০-২২ বছর ধরে তাঁকে দেখছি৷ খুব ভালো মানুষ ছিলেন৷ এক জায়গায় থাকতাম৷ এনআরসি রব শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি একটু চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন৷ মাঝেমধ্যেই আমাকে বলতেন, এখানেও এনআরসি চালু হলে তিনি কিছু করতে পারবেন না৷ এখানে তাঁর কেউ নেই৷ আমি তাঁকে এলাকার কাউন্সিলরের কাছে যেতে বলি৷ কিন্তু এনআরসি চিন্তা থেকে তিনি বেরোতে পারেননি৷ ১৫-২০ দিন আগে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ আমরাই তাঁকে মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই৷ সেখানে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়৷ সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন৷ আমরা তাঁকে সদরেও নিয়ে আসি৷ এনআরসি আতঙ্কেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন৷” একই বক্তব্য পুরাতন মালদা পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিতোষ ঘোষেরও৷ তিনি বলেন, “এনআরসি চালু হলে এখান থেকে বিতাড়িত হওয়ার আতঙ্কে ভুগছিলেন সত্যবাবু৷ সেই আতঙ্কেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়৷ এনআরসি নিয়ে তিনি আমার কাছেও কয়েকবার এসেছিলেন৷ তিনি বলতেন, এখানে এনআরসি চালু হলে তাঁকে ফের বাংলাদেশ চলে যেতে হবে৷ তবে শুধু সত্যবাবুই নন, পূর্ববঙ্গ কিংবা পূর্ব পাকিস্তান থেকে যারা এদেশে এসেছে, তাঁরা সবাই এখন এনআরসি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে৷ বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে তারা এখন কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছে৷”Conclusion:এদিকে এদেশে কোনও ওয়ারিশ না থাকায় মৃত্যুর পরেও গতি হয়নি সত্যবাবুর৷ এপ্রসঙ্গে এলাকার বাসিন্দা শম্ভু ঘোষ বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম আজই সত্যবাবুর মৃতদেহের সৎকার করব৷ প্রশাসনকেও সেকথা জানিয়েছিলাম৷ কাউন্সিলরও প্রশাসনের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেন৷ কিন্তু বেলা ৩টে পর্যন্ত বসিয়ে রেখে আমাদের বলা হয়েছে, যেহেতু সত্যবাবুর কোনও ওয়ারিশ এদেশে নেই তাই ৪ দিন পর তাঁর মৃতদেহ দেওয়া হবে৷ কিন্তু ৪ দিন পর মৃতদেহ পচে যাবে৷ তখন আমরা সেই দেহ নিতে পারব না৷” তবে এনিয়ে এখনও পর্যন্ত মালদা থানার পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
Last Updated : Oct 22, 2019, 2:28 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.