মালদা, ৯ ফেব্রুয়ারি : একান্তে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে । বর্তমানে ওই ছাত্রী মালদার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ ঘটনার পর থেকে ওই যুবক পলাতক ।
পুলিশি অভিযোগে ওই ছাত্রীর বাবা জানান, আজ সকালে তাঁর মেয়ে বান্ধবীদের সঙ্গে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাচ্ছিল । পথেই এলাকার এক যুবক মামুন আলি তাঁর মেয়ের হাত ধরে নেয় । মামুন তাঁর মেয়ের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চেয়ে বান্ধবীদের ঘটনাস্থান থেকে চলে যেতে বলে । তাঁর মেয়ে রাজি না হয়ে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলে মামুন ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে মেয়ের গালে আঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । তিনি ফোনে সমস্ত ঘটনা জানতে পেরে মেয়েকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভরতি করেন ।
আক্রান্ত দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী জানান, “আজ সকালে বান্ধবীদের সঙ্গে প্রাইভেট টিউশনে যাচ্ছিলাম । সেই সময় এক যুবক মামুন আলি আমাকে দাঁড়াতে বলে । আমি চলে যেতে গেলে মামুন আমার হাত ধরে নেয় । আমার বান্ধবীদের ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলে । আমি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে গেলে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে আমার গালে আঘাত করে । মামুন আগে কখনও আমার পিছু নিয়েছে কি না তা আমার জানা নেই । আমি মামুনের শাস্তি চাই ।”
চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ জমা পড়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে । ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশি তল্লাশি জারি রয়েছে ।