ETV Bharat / city

Sand Theft from Phulhar River : ফুলহরের বালি চুরি রুখতে বসল সিসি ক্যামেরা, ড্রোনে নজরদারি - ফুলহর নদী

ফুলহর নদী থেকে বালি চুরির বহু অভিযোগ উঠছিল মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ৷ তা বন্ধ করতে ফুলহর নদীর উপর নাককাট্টি ব্রিজ-সহ আশেপাশের এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে দিল পুলিশ প্রশাসন ৷ এমনকি ড্রোনের মাধ্যমেও চলছে নজরদারি (CCTV and Drone Surveillance to Stop Sand Theft from Phulhar River) ৷

CCTV and Drone Surveillance to Stop Sand Theft from Phulhar River
CCTV and Drone Surveillance to Stop Sand Theft from Phulhar River
author img

By

Published : May 16, 2022, 3:21 PM IST

মালদা, 16 মে : বেশ কিছুদিন ধরে রতুয়ার ফুলহর নদীর ধার থেকে বালি চুরির খবরে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে ৷ এই ঘটনা নিয়ে এলাকার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় সরাসরি রতুয়া থানার আইসির বিরুদ্ধে বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন ৷ বিষয়টি নিয়ে সমরবাবুর সঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হকের বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ এমনকি সমরবাবুকে সমর্থন করে ফজলুল সাহেবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন খোদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বকসি ৷ এমনকি বিষয়টি তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব পর্যন্ত গড়িয়েছে ৷ এ বার অবশেষে ফুলহর নদী থেকে বালি চুরি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রতুয়া থানার পুলিশ ৷ নদীর উপর নির্মিত নাককাট্টি ব্রিজ-সহ দু’দিকের রাস্তার অনেকটা অংশ মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভির নজরদারিতে ৷ আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজরদারি (CCTV and Drone Surveillance to Stop Sand Theft from Phulhar River) ৷

সম্প্রতি রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ফুলহরের নাককাট্টি ব্রিজের নীচ থেকে বালি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে মাফিয়ারা ৷ তারা নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বালি চুরি করছে ৷ এই ঘটনা রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকারের বিরুদ্ধে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ করেন বিধায়ক ৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে যায় জেলা পুলিশ প্রশাসনে ৷ ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সুবীর কর্মকারকে ৷ তিনি রতুয়া থানা থেকে বদলি নেওয়ার তদ্বিরও শুরু করেন ৷ তবে, শেষ পর্যন্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের আবেদনে সাড়া দিয়ে বেশ কয়েকদিন পর কাজে যোগ দেন আইসি ৷ থানায় তাঁকে সংবর্ধনা জানান ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক-সহ এলাকার আরও কিছু তৃণমূল নেতা ৷

আরও পড়ুন : Illegal Land Occupy : মালদায় জমি দখলদারি, নিজেকে তৃণমূল বলতে 'লজ্জা লাগছে' নেতার

এরপরেই বিষয়টি নিয়ে কলহে জড়িয়ে পড়েন সমরবাবু এবং ফজলুল সাহেব ৷ সংবাদমাধ্যমে তাঁরা একে অন্যকে তোপ দাগতে শুরু করেন ৷ বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ সূত্রের খবর, শাসকদলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ এর পরেই বালি মাফিয়াদের রাজ বন্ধ করতে তৎপর হয় রতুয়া থানার পুলিশ ৷ নাককাট্টি ব্রিজের উপর লাগানো হয় 16টি সিসিটিভি ক্যামেরা ৷

আরও পড়ুন : Malda TMC Inner Clash : মাটি মাফিয়াদের সঙ্গে জড়িত রতুয়ার বিধায়ক, পাল্টা অভিযোগ ব্লক তৃণমূল সভাপতির

ব্রিজের একদিকে মহানন্দটোল বাজার এবং অন্যদিকে ভালুকা বাজার পর্যন্ত লাগানো হয় পাঁচটি করে মোট 10টি সিসিটিভি ক্যামেরা ৷ এছাড়াও, বিভিন্ন সময় ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ ৷ নদীর বালি চুরি করার দায়ে সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে 26 জন ৷ 10টি মামলাও রুজু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ ৷ এই মামলাগুলিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির 411, 413, 414 ও 4 ডিএলআর অ্যাক্টের মতো ধারা যোগ করা হয়েছে ৷ আটক করা হয়েছে 31টি ট্র্যাক্টর ও একটি আর্থ মুভার মেশিন ৷

তবে, পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে সমরবাবু বা ফজলুল সাহেব কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল শুধু জানিয়েছেন, ফুলহরের বালি চুরি আটকাতে প্রতিদিনই পুলিশি অভিযান চলছে ৷ ড্রোন আর সিসিটিভির মাধ্যমে 24 ঘণ্টা নজরদারি চলছে ৷ এখন আর বালি চুরির ঘটনা ঘটছে না ৷

মালদা, 16 মে : বেশ কিছুদিন ধরে রতুয়ার ফুলহর নদীর ধার থেকে বালি চুরির খবরে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে ৷ এই ঘটনা নিয়ে এলাকার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় সরাসরি রতুয়া থানার আইসির বিরুদ্ধে বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন ৷ বিষয়টি নিয়ে সমরবাবুর সঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হকের বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ এমনকি সমরবাবুকে সমর্থন করে ফজলুল সাহেবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন খোদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বকসি ৷ এমনকি বিষয়টি তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব পর্যন্ত গড়িয়েছে ৷ এ বার অবশেষে ফুলহর নদী থেকে বালি চুরি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রতুয়া থানার পুলিশ ৷ নদীর উপর নির্মিত নাককাট্টি ব্রিজ-সহ দু’দিকের রাস্তার অনেকটা অংশ মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভির নজরদারিতে ৷ আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজরদারি (CCTV and Drone Surveillance to Stop Sand Theft from Phulhar River) ৷

সম্প্রতি রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ফুলহরের নাককাট্টি ব্রিজের নীচ থেকে বালি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে মাফিয়ারা ৷ তারা নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বালি চুরি করছে ৷ এই ঘটনা রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকারের বিরুদ্ধে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ করেন বিধায়ক ৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে যায় জেলা পুলিশ প্রশাসনে ৷ ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সুবীর কর্মকারকে ৷ তিনি রতুয়া থানা থেকে বদলি নেওয়ার তদ্বিরও শুরু করেন ৷ তবে, শেষ পর্যন্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের আবেদনে সাড়া দিয়ে বেশ কয়েকদিন পর কাজে যোগ দেন আইসি ৷ থানায় তাঁকে সংবর্ধনা জানান ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক-সহ এলাকার আরও কিছু তৃণমূল নেতা ৷

আরও পড়ুন : Illegal Land Occupy : মালদায় জমি দখলদারি, নিজেকে তৃণমূল বলতে 'লজ্জা লাগছে' নেতার

এরপরেই বিষয়টি নিয়ে কলহে জড়িয়ে পড়েন সমরবাবু এবং ফজলুল সাহেব ৷ সংবাদমাধ্যমে তাঁরা একে অন্যকে তোপ দাগতে শুরু করেন ৷ বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ সূত্রের খবর, শাসকদলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ এর পরেই বালি মাফিয়াদের রাজ বন্ধ করতে তৎপর হয় রতুয়া থানার পুলিশ ৷ নাককাট্টি ব্রিজের উপর লাগানো হয় 16টি সিসিটিভি ক্যামেরা ৷

আরও পড়ুন : Malda TMC Inner Clash : মাটি মাফিয়াদের সঙ্গে জড়িত রতুয়ার বিধায়ক, পাল্টা অভিযোগ ব্লক তৃণমূল সভাপতির

ব্রিজের একদিকে মহানন্দটোল বাজার এবং অন্যদিকে ভালুকা বাজার পর্যন্ত লাগানো হয় পাঁচটি করে মোট 10টি সিসিটিভি ক্যামেরা ৷ এছাড়াও, বিভিন্ন সময় ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ ৷ নদীর বালি চুরি করার দায়ে সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে 26 জন ৷ 10টি মামলাও রুজু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ ৷ এই মামলাগুলিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির 411, 413, 414 ও 4 ডিএলআর অ্যাক্টের মতো ধারা যোগ করা হয়েছে ৷ আটক করা হয়েছে 31টি ট্র্যাক্টর ও একটি আর্থ মুভার মেশিন ৷

তবে, পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে সমরবাবু বা ফজলুল সাহেব কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল শুধু জানিয়েছেন, ফুলহরের বালি চুরি আটকাতে প্রতিদিনই পুলিশি অভিযান চলছে ৷ ড্রোন আর সিসিটিভির মাধ্যমে 24 ঘণ্টা নজরদারি চলছে ৷ এখন আর বালি চুরির ঘটনা ঘটছে না ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.