মালদা, 5 ডিসেম্বর : একুশের ভোটের আগে শক্তি প্রদর্শন শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির ৷ আজ পুরানো মালদায় বিশাল মিছিল করে নিজেদের অস্তিত্ব জানিয়ে দিয়েছে তারা ৷ আগামী 7 ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানের বিষয়টিকে সামনে রেখে মিছিল করা হলেও সেই মিছিল থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক স্লোগান উঠেছে ৷ সাম্প্রতিক অতীতে কোনও রাজনৈতিক দলের এমন মিছিল দেখেনি এলাকার মানুষ ৷ ফলে এই মিছিল নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও অনেক প্রশ্ন শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ আজ মিছিলে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রথীন বসু, জেলা সভাপতি গোবিন্দ্রচন্দ্র মণ্ডল, উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, জেলা নেতা শ্যামচাঁদ ঘোষ-সহ আরও অনেকে ৷ মিছিলটি চৌরঙ্গি মোড় থেকে সাহাপুর সেতু মোড় পর্যন্ত যায় ৷ যদিও মিছিল করে, লোক দেখিয়ে ভোট করা যায় না বলে মন্তব্য করেছে শাসক শিবির ৷
বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে উত্তরবঙ্গ পুরোপুরি বঞ্চিত ৷ রাজ্যের এই অংশে শিল্পের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে ৷ দার্জিলিং-জলপাইগুড়ির চা থেকে মালদার আম-রেশম ৷ সব উত্তরবঙ্গেই উৎপাদিত হয়৷ কিন্তু রাজ্য সরকার এসব নিয়ে শিল্প স্থাপনের কথা ভাবেনি৷ এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আগামী 7 ডিসেম্বর দলের যুব মোর্চার ডাকে আমাদের উত্তরকন্যা অভিযান হবে৷ আর কোনও বঞ্চনা আমরা সহ্য করব না৷” প্রায় একই কথা বলেন সাংসদ খগেন মুর্মু৷ তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর অধিকার লুট করছেন৷ উত্তরবঙ্গের মানুষের সমস্ত অধিকার লুট করা হয়েছে৷ তাই আর নয় অন্যায়, আর নয় বঞ্চনা৷ নিজেদের অধিকার রক্ষায় আমরা উত্তরকন্যা অভিযান করতে চলেছি৷ সেই কর্মসূচি সফল করতে আজ এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে সুপ্রশাসন দিতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি৷ আগামী 7 তারিখ দিদিমণিকে 14 তলা থেকে নেমে বিজেপির মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি৷”
যদিও বিজেপির এই মিছিল নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন পুরানো মালদা শহর তৃণমূল সভাপতি বিভূতিভূষণ ঘোষ৷ তিনি বলেন, “লোক দেখিয়ে ভোট হয় না৷ যদি সেটাই হত, তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদার প্রতিটি আসনে তৃণমূলই জিতত৷ আজ বিজেপির মিছিলে হবিবপুর, গাজোল থেকেও লোক এসেছে৷ মিছিলে শহরের কোনও মুখ ছিল না৷ আসলে বিজেপির কোনও মুখই নেই৷ মিছিল করে ওরা কিছু করতে পারবে না৷ একুশের ভোটে আমরাই জেলার প্রতিটি আসনে জিততে চলেছি৷”