ETV Bharat / city

কৃষিঋণের কিস্তি কাটল ব্যাঙ্ক ,সমস্যায় কৃষক - small farmers

লকডাউনের মধ্যে কৃষিঋণের 10 হাজার টাকার কিস্তি কেটে নেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এক চাষি৷ ওই চাষির বাড়ি হরিশচন্দ্রপুর 1নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামে৷ তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সহায়তা দাবি করছেন৷

installments
কৃষিঋণ
author img

By

Published : May 2, 2020, 5:02 PM IST

মালদা, 2 মে : কোরোনা সংক্রমণের সময় সবচেয়ে কষ্টে আছেন গরিব মানুষেরা । লকডাউনের মধ্যে কৃষিঋণের 10 হাজার টাকার কিস্তি কেটে নেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এক চাষি৷ ওই চাষির বাড়ি হরিশচন্দ্রপুর 1নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামে৷ তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সহায়তা দাবি করছেন৷এই ব্যক্তির নাম মালেক মাজাদার৷ তাঁর বক্তব্য, “আমি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েই চাষাবাদ করি৷ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হরিশচন্দ্রপুর শাখা থেকে প্রতিবার ঋণ নিই৷ 2015 সাল থেকে এভাবেই জমি চাষ করে আসছি৷ প্রতিবার সময়মতো ঋণ পরিশোধও করি৷"

2017 সালের জুন মাসে 35 হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তিনি চাষ করেছিলেন৷ কিন্তু সেবছর অগাস্টের বন্যায় সব ভেসে যায়৷ 2018 সালেও ঘুর্ণিঝড়ে তাঁর জমির সব ফসল নষ্ট হয়ে যায় ৷ 2019 সালেও জেলায় ভয়ঙ্কর বন্যা হয়৷ সেবারও তিনি ঋণ নিয়েই চাষ করেছিলেন৷ সেই তিন বছরের ঋণের কিস্তি তিনি এখনও পুরো শোধ করতে পারেননি ৷ প্রতি মাসে ব্যাঙ্ক থেকে সেই কিস্তি কেটে নেওয়া হচ্ছে৷ এবার জমিতে ফসল ভালো হয়েছে৷ কিন্তু সেই ফসল এখনও মাঠে৷ তিনি বলেন, "ভেবেছিলাম, এই ফসল বিক্রি করে পুরো ঋণের টাকাই শোধ করে দেব৷ কিন্তু এরই মধ্যে লকডাউন শুরু হয়ে যায়৷ এখন বাড়ির সবার সঙ্গে আমিও গৃহবন্দী৷ ঘরেও খাবার তেমন নেই৷ দুই ছেলে ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছে৷ লকডাউনের আগে সংসার চালানোর জন্য তাঁরা আমার অ্যাকাউন্টে10 হাজার টাকা পাঠিয়েছিল৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ঋণের কিস্তি আমার অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নিয়েছে৷ ব্যাঙ্কে একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি৷ আমি সমস্যা সমাধানে BDO সহ হরিশচন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছি৷ BDO সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও থানা কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে৷”

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেছিলেন, এই সংকটের সময় কোনও EMIই কিংবা ঋণের কিস্তি কাটা হবে না৷ কিন্তু SBI--এর হরিশচন্দ্রপুর শাখা মালেক সাহেবের অ্যাকাউন্ট থেকে কৃষিঋণের 10 হাজার টাকার কিস্তি কেটে নিয়েছে৷ যদিও ওই শাখার ম্যানেজার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলবেন না৷ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্ককর্মী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁদের কাছে কৃষিঋণের কিস্তি স্থগিত থাকার বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা আসেনি৷ তবে এই চাষি 2017সালে নেওয়া কৃষিঋণ এখনও পরিশোধ করেননি৷ তাই তাঁর অ্যাকাউন্টে 10 হাজার টাকা ঢুকতেই সেই টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে৷

মালদা, 2 মে : কোরোনা সংক্রমণের সময় সবচেয়ে কষ্টে আছেন গরিব মানুষেরা । লকডাউনের মধ্যে কৃষিঋণের 10 হাজার টাকার কিস্তি কেটে নেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এক চাষি৷ ওই চাষির বাড়ি হরিশচন্দ্রপুর 1নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামে৷ তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সহায়তা দাবি করছেন৷এই ব্যক্তির নাম মালেক মাজাদার৷ তাঁর বক্তব্য, “আমি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েই চাষাবাদ করি৷ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হরিশচন্দ্রপুর শাখা থেকে প্রতিবার ঋণ নিই৷ 2015 সাল থেকে এভাবেই জমি চাষ করে আসছি৷ প্রতিবার সময়মতো ঋণ পরিশোধও করি৷"

2017 সালের জুন মাসে 35 হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তিনি চাষ করেছিলেন৷ কিন্তু সেবছর অগাস্টের বন্যায় সব ভেসে যায়৷ 2018 সালেও ঘুর্ণিঝড়ে তাঁর জমির সব ফসল নষ্ট হয়ে যায় ৷ 2019 সালেও জেলায় ভয়ঙ্কর বন্যা হয়৷ সেবারও তিনি ঋণ নিয়েই চাষ করেছিলেন৷ সেই তিন বছরের ঋণের কিস্তি তিনি এখনও পুরো শোধ করতে পারেননি ৷ প্রতি মাসে ব্যাঙ্ক থেকে সেই কিস্তি কেটে নেওয়া হচ্ছে৷ এবার জমিতে ফসল ভালো হয়েছে৷ কিন্তু সেই ফসল এখনও মাঠে৷ তিনি বলেন, "ভেবেছিলাম, এই ফসল বিক্রি করে পুরো ঋণের টাকাই শোধ করে দেব৷ কিন্তু এরই মধ্যে লকডাউন শুরু হয়ে যায়৷ এখন বাড়ির সবার সঙ্গে আমিও গৃহবন্দী৷ ঘরেও খাবার তেমন নেই৷ দুই ছেলে ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছে৷ লকডাউনের আগে সংসার চালানোর জন্য তাঁরা আমার অ্যাকাউন্টে10 হাজার টাকা পাঠিয়েছিল৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ঋণের কিস্তি আমার অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নিয়েছে৷ ব্যাঙ্কে একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি৷ আমি সমস্যা সমাধানে BDO সহ হরিশচন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছি৷ BDO সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও থানা কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে৷”

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেছিলেন, এই সংকটের সময় কোনও EMIই কিংবা ঋণের কিস্তি কাটা হবে না৷ কিন্তু SBI--এর হরিশচন্দ্রপুর শাখা মালেক সাহেবের অ্যাকাউন্ট থেকে কৃষিঋণের 10 হাজার টাকার কিস্তি কেটে নিয়েছে৷ যদিও ওই শাখার ম্যানেজার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলবেন না৷ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্ককর্মী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁদের কাছে কৃষিঋণের কিস্তি স্থগিত থাকার বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা আসেনি৷ তবে এই চাষি 2017সালে নেওয়া কৃষিঋণ এখনও পরিশোধ করেননি৷ তাই তাঁর অ্যাকাউন্টে 10 হাজার টাকা ঢুকতেই সেই টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.