চাঁচল, 4 ফেব্রুয়ারি : মিড-ডে মিলে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের চাল ? এমনই অভিযোগ উঠেছে চাঁচলের খরবা হরিনারায়ণ এগ্রিল হাইস্কুলের বিরুদ্ধে (Allegedly Mixing Plastic Rice in Mid Day Mill at Malda) ৷ এনিয়ে উত্তেজনাও ছড়িয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে ৷ তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষকদের যোগসাজশে বাচ্চাদের চালে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিক ৷ যদিও এমন ঘটনার কথা উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন ৷ বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মিড-ডে মিলে নতুন ধরনের পুষ্টিগুণ থাকা চাল মিশিয়ে পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে ৷ সেখানে প্লাস্টিক চাল থাকার কোনও প্রশ্নই নেই ৷ তবুও, তিনি চালের নমুনা পাঠাতে বলেছেন ল্যাব টেস্টের জন্য ৷
3 ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার, রাজ্যের স্কুলগুলিতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পর্যন্ত পড়াশোনা শুরু হয়েছে ৷ তার আগে বুধবার থেকে মিড-ডে মিল বিলি করা হচ্ছে মালদার চাঁচল 1নং ব্লকের স্কুলগুলিতে ৷ প্রতি পড়ুয়াকে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল-সহ আরও অন্যান্য সামগ্রী ৷ অভিভাবকরাই স্কুল থেকে সেই সব বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন ৷ পড়ুয়া পিছু দেওয়া হচ্ছে দু’কিলো চাল ৷ সেই চাল বাড়ি নিয়ে গিয়ে রান্না করার পরেই সন্দেহ হয় অভিভাবকদের । তাঁদের অভিযোগ, প্যাকেটের মধ্যে থাকা কিছু চাল নাকি সিদ্ধ হচ্ছে না ৷ রান্না করার সময় দুর্গন্ধ বেরচ্ছে ৷ আর ওই চাল পোড়ানো হলে প্লাস্টিকের গন্ধ বেরচ্ছে ৷ তাই অনেকে মিড-ডে মিলের সেই চাল নিয়ে হাজির হন খরবা হরিনারায়ণ এগ্রিল হাইস্কুলে। অভিভাবকদের চাপে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই চাল ফেরত নিয়ে নিলেও, এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি প্রধান শিক্ষক বা অন্য কোনও শিক্ষকরা ৷
আরও পড়ুন : Mid-Day-Meal Corruption : মিড-ডে-মিলের টাকা তছরূপের অভিযোগ, কাঠগড়ায় বর্ধমানের নামকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক
অভিভাবক নুপূর চৌধুরি মণ্ডল বলেন, “ভাত রান্না করার সময় দেখি, কিছু চাল জলের উপর ভাসছে ৷ পোড়ালে যে গন্ধ বেরচ্ছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে ওই চাল প্লাস্টিকের ৷ শিক্ষকরাই এই কাজ করেছেন ৷ আর কে করবে ? এই চাল বাচ্চাদের খেতে দেওয়া হচ্ছে নাকি তাদের মারতে ? এই চালের ভাত খেয়ে কি তারা ডাক্তারের বাড়ি যাবে ? সরকার তো এই চাল অসুস্থ হওয়ার জন্য দিচ্ছে না ! কয়েকজন এই চাল স্কুলে ফেরতও দিয়েছে । শিক্ষকরা স্বীকার করেছেন, চালে ভেজাল রয়েছে ৷”
আরও পড়ুন : Plastic Rice In Bankura : আইসিডিএস স্কুল থেকে প্লাস্টিকের চাল দেওয়ার অভিযোগে, সরব সৌমিত্র
আরেক অভিভাবক রাজকুমার প্রামাণিক একই অভিযোগ করেছেন ৷ তিনি বলেন, “স্কুল থেকে দু’কিলো চাল নিয়ে গিয়েছিলাম ৷ সেই চাল রান্না করতেই বোঝা যায়, তাতে প্লাস্টিক চাল মেশানো রয়েছে ৷ ভাল চালের সঙ্গে প্লাস্টিকের চাল মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কে বা কারা এই কাজ করেছে, তা বলতে পারব না ৷’’
অভিভাবকদের অভিযোগের কথা জানানো হলে, চাঁচল 1নং ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য সাফ জানিয়ে দেন, অভিযোগ সত্যি নয় ৷ ফোনে তিনি বলেন, “অভিযোগ তুললেই তো হবে না ৷ ওটা প্লাস্টিকের চাল নয় ৷ এখন পড়ুয়াদের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন নতুন ধরনের চাল দেওয়া হচ্ছে ৷ তবু আমরা ওই চালের নমুনা চেয়ে পাঠিয়েছি ৷ ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেব ৷’’