ETV Bharat / city

মালদায় 4 বছরের শিশুর শরীরে মিলল কোরোনার সংক্রমণ

গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বাচ্চা কোরোনা সংক্রমিত হলেও উপসর্গহীন ৷ তাই হোম আইসোলেশনে রেখেই তার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

কোরোনা আপডেট
কোরোনা আপডেট
author img

By

Published : Jun 24, 2020, 10:50 PM IST

Updated : Jun 25, 2020, 12:26 AM IST

মালদা, 24 জুন : সম্প্রতি মানিকচক থানা এলাকায় এক আত্মীয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পরিবার নিয়ে যোগ দিতে গেছিলেন পুরাতন মালদার এক ব্যক্তি ৷ পেশায় দিনমজুর ৷ বাড়িতে স্ত্রী ছাড়া রয়েছে চার বছরের এক ছেলে ৷ মানিকচকে থাকাকালীনই জানা যায়, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল একাধিক কোরোনা সংক্রমিত ৷ এরপরেই 20 জুন মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সকলের লালারস সংগ্রহ করে ৷ 21 জুন মানিকচক থেকে বাড়িতে চলে আসেন ওই ব্যক্তি ৷ 22 জুন জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী সুস্থ থাকলেও কোরোনা সংক্রমিত তাঁদের ছেলে ৷

ওই ব্যক্তির অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত প্রশাসন তাঁর ছেলের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করেনি ৷ একবারের জন্যও বাড়িতে চিকিৎসক আসেননি ৷ যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বাচ্চা কোরোনা সংক্রমিত হলেও উপসর্গহীন ৷ তাই হোম আইসোলেশনে রেখেই তার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগ, বাড়িতে কোরোনা সংক্রামিত বাচ্চা থাকলেও তার বাবা-মা কোনও নিয়মবিধি মানছেন না ৷ সাধারণ সময়ে যেমন ঘুরে বেড়ান, তেমনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকা জুড়ে ৷ তাঁদের মাধ্যমে এলাকায় কোরোনার সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের একাংশ ৷ তাঁদের দাবি, ওই বাচ্চাকে দ্রুত COVID 19 হাসপাতাল বা সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হোক ৷ তার বাবা-মাকেও কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানো হোক ৷ তবে এ-নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷

কী বলছেন স্থানীয়রা ?

সংক্রামিত শিশুর বাবার বক্তব্য, “এক নিকটাত্মীয়ের শ্রাদ্ধে যোগ দিতে মানিকচক গেছিলাম ৷ সেখানে জানা যায়, ওই অনুষ্ঠানে একাধিক কোরোনা সংক্রমিত এসেছিল ৷ এরপর 20 জুন সেখানেই আমাদের সবার লালারস নেওয়া হয় ৷ 21 জুন আমরা বাড়ি চলে আসি ৷ 22 জুন ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ফোন করে আমাকে জানায়, আমার ছেলে কোরোনা পজ়িটিভ ৷ আমরা যেন বাড়িতেই থাকি ৷ কিন্তু ছেলের কোনও লিখিত রিপোর্ট এখনও আমাকে দেওয়া হয়নি ৷ আমার বাচ্চাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়নি ৷ তাকে বাড়িতেই রাখা হয়েছে ৷ এখনও তার চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা হয়নি ৷ প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, আমার বাচ্চার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক ৷ আমরা গরিব মানুষ ৷ ঘরে তেমন খাবার নেই ৷ কাজ না করলে খাবার জুটবে না ৷ তাই বাধ্য হয়ে আমাকে কাজের জন্য ঘরের বাইরে বেরোতে হয়েছে ৷ তবে আমি এর মধ্যে গ্রামের বাইরে কোথাও যাইনি ৷”

এক গ্রামবাসী রাসেদা বেওয়া বলেন, “ওই শিশুটি কোরোনা সংক্রমিত ৷ কিন্তু তার বাবা-মা এলাকায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ বাড়ির বাইরে এসে ভু্ট্টা শুকোচ্ছে ৷ ওর বাবাও সবসময় গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ কারও মুখে কখনও মাস্ক দেখা যাচ্ছে না ৷ আমরা শিশুটির মাকে এভাবে ঘোরাঘুরি করতে বারণ করেছি ৷ কিন্তু আমাদের কথা শোনা দূরের কথা, সে উলটে আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করছে ৷ আমাদেরই ঘরে তালা দিয়ে থাকতে বলছে ৷ আমরা এ-নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ৷ ওই শিশুটিকে দ্রুত আইসোলেশন সেন্টার কিংবা COVID 19 হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে ৷ তার বাবা-মাকেও কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠাতে হবে ৷”

মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রোজিনা খাতুন বলেন, “সংক্রমিত শিশুটিকে COVID 19 হাসপাতাল কিংবা সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম ৷ স্বাস্থ্য বিভাগের থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটির কোরোনা পজ়িটিভ হলেও সে উপসর্গহীন ৷ তাই বাড়িতে রেখেই তার চিকিৎসা হবে ৷ স্বাস্থ্য বিভাগের থেকে আরও বলা হয়েছে, এত ছোট শিশুকে COVID 19 হাসপাতাল বা কোনও আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানে সে অন্য কোরোনা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসবে ৷ তাতে তার আরও ক্ষতি হতে পারে ৷ তবে ওই শিশুটির বাবা-মা যে এলাকায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা জানা ছিল না ৷ বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি ৷ প্রয়োজনে আমরা এনিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হব ৷”

মালদা, 24 জুন : সম্প্রতি মানিকচক থানা এলাকায় এক আত্মীয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পরিবার নিয়ে যোগ দিতে গেছিলেন পুরাতন মালদার এক ব্যক্তি ৷ পেশায় দিনমজুর ৷ বাড়িতে স্ত্রী ছাড়া রয়েছে চার বছরের এক ছেলে ৷ মানিকচকে থাকাকালীনই জানা যায়, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল একাধিক কোরোনা সংক্রমিত ৷ এরপরেই 20 জুন মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সকলের লালারস সংগ্রহ করে ৷ 21 জুন মানিকচক থেকে বাড়িতে চলে আসেন ওই ব্যক্তি ৷ 22 জুন জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী সুস্থ থাকলেও কোরোনা সংক্রমিত তাঁদের ছেলে ৷

ওই ব্যক্তির অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত প্রশাসন তাঁর ছেলের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করেনি ৷ একবারের জন্যও বাড়িতে চিকিৎসক আসেননি ৷ যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বাচ্চা কোরোনা সংক্রমিত হলেও উপসর্গহীন ৷ তাই হোম আইসোলেশনে রেখেই তার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগ, বাড়িতে কোরোনা সংক্রামিত বাচ্চা থাকলেও তার বাবা-মা কোনও নিয়মবিধি মানছেন না ৷ সাধারণ সময়ে যেমন ঘুরে বেড়ান, তেমনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকা জুড়ে ৷ তাঁদের মাধ্যমে এলাকায় কোরোনার সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের একাংশ ৷ তাঁদের দাবি, ওই বাচ্চাকে দ্রুত COVID 19 হাসপাতাল বা সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হোক ৷ তার বাবা-মাকেও কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানো হোক ৷ তবে এ-নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷

কী বলছেন স্থানীয়রা ?

সংক্রামিত শিশুর বাবার বক্তব্য, “এক নিকটাত্মীয়ের শ্রাদ্ধে যোগ দিতে মানিকচক গেছিলাম ৷ সেখানে জানা যায়, ওই অনুষ্ঠানে একাধিক কোরোনা সংক্রমিত এসেছিল ৷ এরপর 20 জুন সেখানেই আমাদের সবার লালারস নেওয়া হয় ৷ 21 জুন আমরা বাড়ি চলে আসি ৷ 22 জুন ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ফোন করে আমাকে জানায়, আমার ছেলে কোরোনা পজ়িটিভ ৷ আমরা যেন বাড়িতেই থাকি ৷ কিন্তু ছেলের কোনও লিখিত রিপোর্ট এখনও আমাকে দেওয়া হয়নি ৷ আমার বাচ্চাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়নি ৷ তাকে বাড়িতেই রাখা হয়েছে ৷ এখনও তার চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা হয়নি ৷ প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, আমার বাচ্চার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক ৷ আমরা গরিব মানুষ ৷ ঘরে তেমন খাবার নেই ৷ কাজ না করলে খাবার জুটবে না ৷ তাই বাধ্য হয়ে আমাকে কাজের জন্য ঘরের বাইরে বেরোতে হয়েছে ৷ তবে আমি এর মধ্যে গ্রামের বাইরে কোথাও যাইনি ৷”

এক গ্রামবাসী রাসেদা বেওয়া বলেন, “ওই শিশুটি কোরোনা সংক্রমিত ৷ কিন্তু তার বাবা-মা এলাকায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ বাড়ির বাইরে এসে ভু্ট্টা শুকোচ্ছে ৷ ওর বাবাও সবসময় গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ কারও মুখে কখনও মাস্ক দেখা যাচ্ছে না ৷ আমরা শিশুটির মাকে এভাবে ঘোরাঘুরি করতে বারণ করেছি ৷ কিন্তু আমাদের কথা শোনা দূরের কথা, সে উলটে আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করছে ৷ আমাদেরই ঘরে তালা দিয়ে থাকতে বলছে ৷ আমরা এ-নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ৷ ওই শিশুটিকে দ্রুত আইসোলেশন সেন্টার কিংবা COVID 19 হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে ৷ তার বাবা-মাকেও কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠাতে হবে ৷”

মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রোজিনা খাতুন বলেন, “সংক্রমিত শিশুটিকে COVID 19 হাসপাতাল কিংবা সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম ৷ স্বাস্থ্য বিভাগের থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটির কোরোনা পজ়িটিভ হলেও সে উপসর্গহীন ৷ তাই বাড়িতে রেখেই তার চিকিৎসা হবে ৷ স্বাস্থ্য বিভাগের থেকে আরও বলা হয়েছে, এত ছোট শিশুকে COVID 19 হাসপাতাল বা কোনও আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানে সে অন্য কোরোনা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসবে ৷ তাতে তার আরও ক্ষতি হতে পারে ৷ তবে ওই শিশুটির বাবা-মা যে এলাকায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা জানা ছিল না ৷ বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি ৷ প্রয়োজনে আমরা এনিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হব ৷”

Last Updated : Jun 25, 2020, 12:26 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.