ETV Bharat / city

মনোবিদ নিয়ে জেরার ভাবনা শিশু খুনে অভিযুক্ত মা'কে

author img

By

Published : Jan 28, 2020, 12:13 PM IST

গলায় সেলোটেপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আর তাতেই দমবন্ধ হয়ে যায় দুমাসের শিশু কন্যার ৷ এরপর আছড়ে মারার ফলেই ওই শিশু কন্যার থুতনি ও মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷

beleghata murde
সন্ধ্যা মালো

কলকাতা, 27 জানুয়ারি : প্রথমে গলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেলোটেপ, তাতেই দমবন্ধ হয়ে মারা যায় দু'মাসের শিশুকন্যা ৷ বেলেঘাটার ঘটনায় সামনে এসেছে এমনই তথ্য ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, মৃত্যুর পর ওই শিশুকন্যার গলায় ফাঁস দেওয়া হয় ৷ তারপর আছড়ে মারা হয়, আর তাতেই শিশুকন্যার থুতনি ও মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে ৷ খুনের পরই শিশুকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ম্যানহোলে ৷

এমন নৃশংস খুনের ঘটনার রিপোর্ট হাতে পেয়েই তাজ্জব তদন্তকারী অফিসারেরা ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত শিশুর মা সন্ধ্যা মালো ৷ সে 4 দিনের পুলিশি হেপাজতে রয়েছে ৷ হেপাজতে থাকাকালীন মনোবিদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে অভিযুক্তকে ৷

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার দুপুরবেলা ৷ বেলেঘাটার সিআইটি রোডের পাশে মহল্লা অ্যাপার্টমেন্টের সুদর্শন মালো ফোন করেন বেলেঘাটা থানায় ৷ তিনি জানান, দুপুর 12.30 থেকে 1টা পর্যন্ত বাড়িতে তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা মালো, পরিচারিকা টুম্পা দাস ও দু' মাসের শিশু কন্যা সানায়া মালো ৷

অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের আঘাতে সন্ধ্যা সংজ্ঞা হারিয়েছিল বলা হয় ৷ পরিচারিকা টুম্পা সংক্রান্ত একটি তথ্যও দেওয়া হয় ৷ ঘটনার পর সুদর্শনের বাবা হেমন্ত বাড়িতে ফিরে দেখেন সানায়া নিখোঁজ ৷ এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন পুলিশ৷

পুলিশ সূত্রের খবর, অপহরণের এই গল্প প্রথম থেকেই তদন্তকারীদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি ৷ সেইমতোই সন্ধ্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ ৷ জেরা করার সময়ই পরিচারিকা সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের ৷

অপরদিকে সন্ধ্যার মাথায়ও আঘাতের অল্প চিহ্ন ছিল ৷ কিন্তু, পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন মাথায় আঘাত লাগার পর সংজ্ঞা হারান তিনি ৷ এরপর তদন্তকারীরা সন্ধ্যার কাছে জানতে চান, যদি সরাসরি দেওয়ালে কপাল ঠুকে দেওয়া হয় তাহলে চশমা অক্ষত থাকল কীভাবে ? এই প্রশ্নের পরেই ভেঙে পরেন সন্ধ্যা ৷ জেরায় স্বীকার করেন, শিশুকন্যাকে খুন করেন নিজেই৷

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, শিশুকন্যাকে নিয়ে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল সে ৷ সেই কারণে মেয়েকে খুন করার পরিকল্পনা ৷ এই সব কারণেই মনোবিদের সাহায্য নেওয়ার কথা ভেবেছে পুলিশ ৷

কলকাতা, 27 জানুয়ারি : প্রথমে গলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেলোটেপ, তাতেই দমবন্ধ হয়ে মারা যায় দু'মাসের শিশুকন্যা ৷ বেলেঘাটার ঘটনায় সামনে এসেছে এমনই তথ্য ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, মৃত্যুর পর ওই শিশুকন্যার গলায় ফাঁস দেওয়া হয় ৷ তারপর আছড়ে মারা হয়, আর তাতেই শিশুকন্যার থুতনি ও মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে ৷ খুনের পরই শিশুকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ম্যানহোলে ৷

এমন নৃশংস খুনের ঘটনার রিপোর্ট হাতে পেয়েই তাজ্জব তদন্তকারী অফিসারেরা ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত শিশুর মা সন্ধ্যা মালো ৷ সে 4 দিনের পুলিশি হেপাজতে রয়েছে ৷ হেপাজতে থাকাকালীন মনোবিদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে অভিযুক্তকে ৷

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার দুপুরবেলা ৷ বেলেঘাটার সিআইটি রোডের পাশে মহল্লা অ্যাপার্টমেন্টের সুদর্শন মালো ফোন করেন বেলেঘাটা থানায় ৷ তিনি জানান, দুপুর 12.30 থেকে 1টা পর্যন্ত বাড়িতে তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা মালো, পরিচারিকা টুম্পা দাস ও দু' মাসের শিশু কন্যা সানায়া মালো ৷

অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের আঘাতে সন্ধ্যা সংজ্ঞা হারিয়েছিল বলা হয় ৷ পরিচারিকা টুম্পা সংক্রান্ত একটি তথ্যও দেওয়া হয় ৷ ঘটনার পর সুদর্শনের বাবা হেমন্ত বাড়িতে ফিরে দেখেন সানায়া নিখোঁজ ৷ এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন পুলিশ৷

পুলিশ সূত্রের খবর, অপহরণের এই গল্প প্রথম থেকেই তদন্তকারীদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি ৷ সেইমতোই সন্ধ্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ ৷ জেরা করার সময়ই পরিচারিকা সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের ৷

অপরদিকে সন্ধ্যার মাথায়ও আঘাতের অল্প চিহ্ন ছিল ৷ কিন্তু, পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন মাথায় আঘাত লাগার পর সংজ্ঞা হারান তিনি ৷ এরপর তদন্তকারীরা সন্ধ্যার কাছে জানতে চান, যদি সরাসরি দেওয়ালে কপাল ঠুকে দেওয়া হয় তাহলে চশমা অক্ষত থাকল কীভাবে ? এই প্রশ্নের পরেই ভেঙে পরেন সন্ধ্যা ৷ জেরায় স্বীকার করেন, শিশুকন্যাকে খুন করেন নিজেই৷

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, শিশুকন্যাকে নিয়ে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল সে ৷ সেই কারণে মেয়েকে খুন করার পরিকল্পনা ৷ এই সব কারণেই মনোবিদের সাহায্য নেওয়ার কথা ভেবেছে পুলিশ ৷

Intro:কলকাতা, 27 জানুয়ারি: প্রথমে গলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেলোটেপ। তাতেই দম বন্ধ হয়ে মারা যায় দু মাসের শিশুকন্যা। মৃত্যুর পর তার গলায় ফাঁস দেওয়া হয়। তারপর আছড়ে মারা হয়। তাতে শিশুকন্যার থুতনি এবং মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনটাই বলেছেন চিকিৎসক । খুনের পর ওই শিশুকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় একটি শুকনো ম্যানহোলে। মা হয়ে নিজের শিশুকন্যাকে নিশংস ভাবে খুনের বিষয়টি নিয়ে আয় তাজ্জব তদন্তকারীরা। আজ অভিযুক্ত মাকে শিয়ালদা আদালতে তোলা হলে 4 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।


Body:ঘটনা গতকাল দুপুর 1 টা নাগাদ ঘটে। বেলেঘাটার সিআইসি রোডের পাশে মহল্লা অ্যাপার্টমেন্টের সুদর্শন মালো ফোন করেন বেলেঘাটা থানায়। আবাসনের ঠিকানা P215 সিআইডি রোড। ওই আবাসনের তিনতলায় থাকে মালো পরিবার । সুদর্শন জানান, দুপুর 12:30 থেকে একটা পর্যন্ত বাড়িতে একাই ছিল তার স্ত্রী সন্ধ‍্যা মালো এবং পরিচারিকা টুম্পা দাস। আর ছিল তার দু মাসের শিশুকন্যা সানায়া মালো। দুপুর বারোটা নাগাদ ছাদে জামাকাপড় মেলতে যান টুম্পা। সেই সময় দরজার বাইরে থাকা যুবক জানান ছাদ থেকে চাবি চাইছে তাদের পরিচারিকা। ওই যুবককে বলছে বুঝতে না পেরে দরজা কিছুটা খোলেন সন্ধ‍্যা দেবী। তখনই ওই ঘরে ঢুকে পড়ে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। ধাক্কা মারে সন্ধ্যাদেবীকে। এতে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পরে সুদর্শনের বাবা হেমন্ত বাড়িতে ফেরেন। তিনি দেখেন সানায়া নিখোঁজ। দায়ের করা হয় অভিযোগ। তদন্তে নামে পুলিশ।



Conclusion:পুলিশ সূত্রে খবর, অপহরণের এই গল্প প্রথম থেকেই তদন্তকারীদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি । পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সন্ধ্যাকে। পুলিশের খটকা ছিল যদি ছাদে আগে থেকেই টুম্পা ছিল তবে দরজা না খুলেই সন্ধ্যা জানিয়ে দিতে পারতো, ছাদ খোলা আছে। সন্ধ্যার মাথায় অল্প আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি পুলিশকে জানিয়ে ছিলেন, মাথায় আঘাত লাগার পরে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি । তদন্তকারীরা সন্ধ্যার কাছে জানতে চান যদি সরাসরি কপাল দেওয়ালের সঙ্গে থেকে দেওয়া হয়, তবে তার চশমা অক্ষত থাকলো কি করে? আর তাতেই ভেঙে পড়েন ফুটফুটে ওই শিশুর মা। জানান, শিশুকন্যাকে খুন করেছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে তিনি জানিয়েছেন, শিশুকন্যাকে নিয়ে রীতিমত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই কারণেই নিজের মেয়েকে খুন করে ম্যানহোলে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন সন্ধ্যা। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বোঝার চেষ্টা করছে, ঠিক কোন কারণে নিজের মেয়েকে খুন করল মা। আর এই জন্য একজন মনোবিশেষজ্ঞের রেখে তাকে জেরা চিন্তাভাবনা করছে পুলিশ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.