ETV Bharat / city

Demands of Separate State : বাংলাকে ভাগের দাবির আড়ালে কি লুকিয়ে বিজেপির দল বাঁচানোর কৌশল ?

বাংলা ভাগের দাবি তুলেছেন বিজেপির একাধিক নেতা ৷ যদিও এই দাবিকে বিজেপির তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু বিছিন্নভাবে হলেও এই দাবি কেন করা হচ্ছে ?

why bengal bjp leaders wants separate state
Bengal Partition : বাংলাকে ভাগের দাবির আড়ালে কি লুকিয়ে বিজেপির দল বাঁচানোর কৌশল ?
author img

By

Published : Jun 23, 2021, 10:13 PM IST

Updated : Jun 24, 2021, 10:25 AM IST

কলকাতা, 24 জুন : উন্নয়নের বণ্টন ঠিক মতো হয়নি পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ৷ কংগ্রেস হয়ে বাম জমানা ঘুরে হালের তৃণমূল (Trinamool Congress) রাজত্বেও বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ-জঙ্গলমহল ৷ এই অভিযোগগুলি তুলে বাংলাকে ভাগ করার দাবিতে সরব হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) দুই সাংসদ ৷ তাঁদের একজন আলিপুরদুয়ার থেকে জিতে আসা জন বারলা (Jhon Barla) এবং দ্বিতীয় জন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) ৷

গেরুয়া শিবিরের এই দুই নেতা দাবি তুলতেই সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷ কংগ্রেস, তৃণমূল ও বাম - সকলেই বিজেপির বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের (Bengal Partition) অভিযোগ তুলেছে ৷ কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামার লক্ষণ নেই ৷ বরং বাংলাকে ভাগ করার দাবির সমর্থনে গেরুয়া শিবিরের আরও বেশ কয়েকজন জনপ্রতিধিনি মুখ খুলেছেন ৷ পরিস্থিতি বুঝে বিতর্কে জল ঢালার চেষ্টা করেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব ৷ এই দাবিতে দলের যে সমর্থন নেই, তাও স্পষ্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷

আরও পড়ুন : Separate Statehood : বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধে থানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

কিন্তু তার পরও প্রশ্ন উঠছে যে কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল ? কেন বিজেপির জন প্রতিনিধিরা বাংলা ভাগের দাবিতে সরব হয়েছেন ? কেন উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা রাজ্য, জঙ্গলমহলের জন্য আলাদা রাজ্যের দাবি উঠছে ?

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এর পিছনে বিজেপির কোনও কৌশল থাকলেও থাকতে পারে ৷ কারণ, বিজেপি বরাবর ছোট রাজ্যের পক্ষে ৷ তাদের মতে ছোট রাজ্য হলে প্রশাসনিক কাজকর্ম আরও ভালো ভাবে করা যায় ৷ সেই কারণেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় বেশ কয়েকটি নতুন রাজ্য তৈরি হয় ৷ এক্ষেত্রেও বিজেপির পক্ষে এই দুই দাবিকে সমর্থন করা একেবারে অমূলক নয় ৷

আরও পড়ুন : "আমার বাড়ির ছাদে পৃথক রাজ্য চাই", ফেসবুকে ভাইরাল শ্রীজাতর বঙ্গভঙ্গ বিরোধী কবিতা

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এলাকাগুলি থেকে দাবিগুলি তোলা হচ্ছে, সেখানে বিজেপির শক্তি কিছুটা হলেও তৃণমূলের চেয়ে বেশি ৷ উত্তরবঙ্গে যেমন 54টি আসন রয়েছে বিধানসভায় ৷ এবার বিজেপি সেখান থেকে 30টি আসনে জিতেছে ৷ ফলে বিজেপির প্রায় অর্ধেক বিধায়কই উত্তরবঙ্গ থেকে এসেছে ৷ আবার জঙ্গমহলের তিন জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে 25টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে 14টিতে ৷ ফলে এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে থাকা 74 জন বিধায়কের 43 জনই (কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক ভোটে জিতেও পদত্যাগ করেছেন) এই অঞ্চলের ৷

এটাকেই একটা খুড়োর কলের মতো ব্যবহার করা যেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত ৷ তাঁদের কথায়, ছোট রাজ্য হলে সেখানে বিজেপির শাসক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় ৷ সেক্ষেত্রে বিধায়কদের অনেকে মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন ৷ এই আশা দেখিয়ে আসলে দলের ভাঙন আটকাতে চাইছে বিজেপি ৷ কারণ, মুকুল রায় (Mukul Roy) দল ছাড়ার পর থেকে বিজেপিতে ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নেতা দল ছেড়েছেন ৷ তবে কোনও জনপ্রতিনিধি এখনও বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেননি ৷ কিন্তু বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা হতে পারে বলে গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা ৷

আরও পড়ুন : Dilip Ghosh : সাংসদদের পৃথক রাজ্যের দাবি নাকচ দিলীপের, দলের সিদ্ধান্ত মানার নির্দেশ

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এই মতের সঙ্গে একেবারেই সহমত নন বর্ষীয়ান সাংবাদিক তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভাশিস মৈত্র ৷ তিনি বরং জানাচ্ছেন, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়াই উচিত নয় ৷ এটা বিজেপির সরকারি বক্তব্য নয় ৷ যাঁরা বলছেন তাঁদের কথার কোনও মূল্য বিজেপিতে আছে নাকি ! এর পিছনে বিজেপির কোনও সুচিন্তিত রাজনীতি নেই বলে তিনি মনে করেন ৷ তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাজে বাধা দেওয়াই আসলে এর উদ্দেশ্য হতে পারে ৷

কলকাতা, 24 জুন : উন্নয়নের বণ্টন ঠিক মতো হয়নি পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ৷ কংগ্রেস হয়ে বাম জমানা ঘুরে হালের তৃণমূল (Trinamool Congress) রাজত্বেও বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ-জঙ্গলমহল ৷ এই অভিযোগগুলি তুলে বাংলাকে ভাগ করার দাবিতে সরব হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) দুই সাংসদ ৷ তাঁদের একজন আলিপুরদুয়ার থেকে জিতে আসা জন বারলা (Jhon Barla) এবং দ্বিতীয় জন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) ৷

গেরুয়া শিবিরের এই দুই নেতা দাবি তুলতেই সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷ কংগ্রেস, তৃণমূল ও বাম - সকলেই বিজেপির বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের (Bengal Partition) অভিযোগ তুলেছে ৷ কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামার লক্ষণ নেই ৷ বরং বাংলাকে ভাগ করার দাবির সমর্থনে গেরুয়া শিবিরের আরও বেশ কয়েকজন জনপ্রতিধিনি মুখ খুলেছেন ৷ পরিস্থিতি বুঝে বিতর্কে জল ঢালার চেষ্টা করেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব ৷ এই দাবিতে দলের যে সমর্থন নেই, তাও স্পষ্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷

আরও পড়ুন : Separate Statehood : বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধে থানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

কিন্তু তার পরও প্রশ্ন উঠছে যে কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল ? কেন বিজেপির জন প্রতিনিধিরা বাংলা ভাগের দাবিতে সরব হয়েছেন ? কেন উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা রাজ্য, জঙ্গলমহলের জন্য আলাদা রাজ্যের দাবি উঠছে ?

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এর পিছনে বিজেপির কোনও কৌশল থাকলেও থাকতে পারে ৷ কারণ, বিজেপি বরাবর ছোট রাজ্যের পক্ষে ৷ তাদের মতে ছোট রাজ্য হলে প্রশাসনিক কাজকর্ম আরও ভালো ভাবে করা যায় ৷ সেই কারণেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় বেশ কয়েকটি নতুন রাজ্য তৈরি হয় ৷ এক্ষেত্রেও বিজেপির পক্ষে এই দুই দাবিকে সমর্থন করা একেবারে অমূলক নয় ৷

আরও পড়ুন : "আমার বাড়ির ছাদে পৃথক রাজ্য চাই", ফেসবুকে ভাইরাল শ্রীজাতর বঙ্গভঙ্গ বিরোধী কবিতা

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এলাকাগুলি থেকে দাবিগুলি তোলা হচ্ছে, সেখানে বিজেপির শক্তি কিছুটা হলেও তৃণমূলের চেয়ে বেশি ৷ উত্তরবঙ্গে যেমন 54টি আসন রয়েছে বিধানসভায় ৷ এবার বিজেপি সেখান থেকে 30টি আসনে জিতেছে ৷ ফলে বিজেপির প্রায় অর্ধেক বিধায়কই উত্তরবঙ্গ থেকে এসেছে ৷ আবার জঙ্গমহলের তিন জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে 25টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে 14টিতে ৷ ফলে এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে থাকা 74 জন বিধায়কের 43 জনই (কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক ভোটে জিতেও পদত্যাগ করেছেন) এই অঞ্চলের ৷

এটাকেই একটা খুড়োর কলের মতো ব্যবহার করা যেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত ৷ তাঁদের কথায়, ছোট রাজ্য হলে সেখানে বিজেপির শাসক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় ৷ সেক্ষেত্রে বিধায়কদের অনেকে মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন ৷ এই আশা দেখিয়ে আসলে দলের ভাঙন আটকাতে চাইছে বিজেপি ৷ কারণ, মুকুল রায় (Mukul Roy) দল ছাড়ার পর থেকে বিজেপিতে ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নেতা দল ছেড়েছেন ৷ তবে কোনও জনপ্রতিনিধি এখনও বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেননি ৷ কিন্তু বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা হতে পারে বলে গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা ৷

আরও পড়ুন : Dilip Ghosh : সাংসদদের পৃথক রাজ্যের দাবি নাকচ দিলীপের, দলের সিদ্ধান্ত মানার নির্দেশ

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এই মতের সঙ্গে একেবারেই সহমত নন বর্ষীয়ান সাংবাদিক তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভাশিস মৈত্র ৷ তিনি বরং জানাচ্ছেন, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়াই উচিত নয় ৷ এটা বিজেপির সরকারি বক্তব্য নয় ৷ যাঁরা বলছেন তাঁদের কথার কোনও মূল্য বিজেপিতে আছে নাকি ! এর পিছনে বিজেপির কোনও সুচিন্তিত রাজনীতি নেই বলে তিনি মনে করেন ৷ তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাজে বাধা দেওয়াই আসলে এর উদ্দেশ্য হতে পারে ৷

Last Updated : Jun 24, 2021, 10:25 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.