ETV Bharat / city

বিজেপিতে মুকুলের ছেড়ে যাওয়া পদে মাটির সঙ্গে যুক্ত নেতাকে চাইছে আরএসএস

author img

By

Published : Jun 18, 2021, 6:22 PM IST

দল ছাড়ার সময় মুকুল রায় ছিলেন বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি ৷ সেই পদে কে বসবেন এবার, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা ৷

who-is-the-next-national-vice-president-of-bjp
বিজেপিতে মুকুলের ছেড়ে যাওয়া পদে মাটির সঙ্গে যুক্ত নেতাকে চাইছে আরএসএস

কলকাতা, 18 জুন : গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy) । তিনি বিজেপিতে (BJP) ছিলেন জাতীয় সহ সভাপতি ৷ তিনি ওই দল ছেড়ে চলে আসায় স্বাভাবিকভাবে পদটি ফাঁকা হয়েছে গিয়েছে ৷ তাই এবার ওই পদে কে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে ৷

বিজেপির একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে ওই পদ কাকে দেওয়া হবে, এই নিয়ে একাধিক নাম ভাসছে । কিন্তু কাকে এই পদে নিয়ে এলে দলের লাভ হবে, আপাতত তা নিয়েই চলছে আলোচনা ৷ বিজেপির ওই সূত্র জানাচ্ছে যে এই মুহূর্তে এই পদের জন্য সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) এবং রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta) । কিন্তু এই দু’জনের মধ্যে কাকে দায়িত্ব দিলে রাজ্যে বিজেপির বিস্তার দ্রুতগতিতে হতে পারে, তা নিয়ে সন্দিহান দল ৷

বিজেপির ওই সূত্র বলছে যে স্মৃতি ইরানি বরাবরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রিয়পাত্রী ৷ 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে হারার পরও তাঁকে মন্ত্রী করা হয় ৷ পরে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয় ৷ 2019 সালে তিনি রাহুল গান্ধিকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন ৷ ফলে তাঁর গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : মুকুলের পথে ঘরে ফিরে সুদীপ কি ত্রিপুয়ায় তৃণমূলের সুদিন ফেরাবেন ?

তার উপর তিনি বাংলা ভালো বলতে পারেন ৷ তাই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারে তাঁর আলাদা গুরুত্ব আছে ৷ প্রতিবারই তাঁকে তারকা প্রচারকের তালিকায় রাখা হয় ৷ তাই তাঁকে জাতীয় সহ-সভাপতি করা হলে, বাংলাতে তাঁকে দিয়ে সংগঠনের কাজ করানো সহজ হবে ৷ কারণ, সাম্প্রতিক নির্বাচনে হারের পর বিজেপির হিন্দিভাষী নেতাদের নিয়ে অভিযোগ উঠেছে ৷ আর স্মৃতি ইরানি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন এমন একজন নেতা, আবার বাংলাও বলতে পারেন ৷ তাই তাঁকে অবশ্যই সংগঠনের কাজে ব্যবহার করতে চাইবে বিজেপি ৷ সেই হিসেবে স্মৃতি ইরানি এগিয়ে ৷

কিন্তু এক্ষেত্রে একটাই সমস্যা, স্মৃতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই এক নেতা, এক পদ - এই নীতি মেনে চলে ৷ মন্ত্রীরা কখনও সংগঠনের পদ পান না ৷ তাই স্মৃতিকে এই পদে আনতে গেলে তাঁকে মোদির (Narendra Modi) মন্ত্রিসভা থেকে সরাতে হবে ৷ সেটা কি করা উচিত হবে ? আপাতত এই প্রশ্নই ঘুরছে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে ৷

আরও পড়ুন : আরএসএস-র রিপোর্ট পেয়েই বিধানসভা নির্বাচনে মুকুলকে নিষ্ক্রিয় ?

অন্যদিকে এই পদের জন্য আরেক বড় দাবিদার হলেন স্বপন দাশগুপ্ত । দলে তিনিও কম গুরুত্বপূর্ণ নন । কারণ, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একটা সময় তাঁর নাম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে হাওয়ায় ভাসছিল । যদিও প্রকাশ্যে কোনও নেতাকেই একুশের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দেখানো হয়নি বিজেপির তরফে । তারকেশ্বরে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়ে এসেছিলেন স্বপনবাবু । নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর আবার পুনরায় তিনি রাষ্ট্রপতি অনুমোদনের ভিত্তিতে রাজ্যসভার সাংসদ ফিরে পান । এর থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে স্বপন দাশগুপ্তর গুরুত্ব সহজেই বোঝা যায় ৷

এখন প্রশ্ন হল, এই দু’জনের মধ্যে কাকে জাতীয় সহ-সভাপতি করে বাংলায় সংগঠনের বিস্তারের কাজে ব্যবহার করা যাবে ? সূত্রের খবর, এই দুই মুখের কাউকেই সংঘ পরিবার অনুমোদন দেয়নি । বরং সংঘ পরিবারের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, একুশের ভোটে এদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে । নির্বাচনে জনতার কাছে যিনি বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেননি, তাঁকে জাতীয় সহ-সভাপতি পদ সংগঠনের বিস্তারে কী লাভ হবে ? এই প্রশ্ন তুলেছে আরএসএস (RSS) । একইভাবে তারকা প্রচারক হিসেবে স্মৃতি ইরানিও সফল নন বলে মনে করছে তারা ।

আরও পড়ুন : Mukul Roy : উপেক্ষার কারণেই পদ্ম-সঙ্গ ত্যাগ, বলছেন মুকুল ঘনিষ্ঠরা

সূত্রের খবর, আরএসএস চাইছে নামের পিছনে না ছুটে যাঁর সঙ্গে মাটির যোগাযোগ আছে, এমন কাউকে জাতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে বাংলায় সংগঠনের বিস্তারের কাজে ব্যবহার করতে ।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলছেন যে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে ৷ আগে থেকে এইভাবে কিছু বলা উচিত নয় ৷

আরও পড়ুন : পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রামে ভোট পুনর্গণনা সংক্রান্ত শুনানি

কলকাতা, 18 জুন : গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy) । তিনি বিজেপিতে (BJP) ছিলেন জাতীয় সহ সভাপতি ৷ তিনি ওই দল ছেড়ে চলে আসায় স্বাভাবিকভাবে পদটি ফাঁকা হয়েছে গিয়েছে ৷ তাই এবার ওই পদে কে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে ৷

বিজেপির একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে ওই পদ কাকে দেওয়া হবে, এই নিয়ে একাধিক নাম ভাসছে । কিন্তু কাকে এই পদে নিয়ে এলে দলের লাভ হবে, আপাতত তা নিয়েই চলছে আলোচনা ৷ বিজেপির ওই সূত্র জানাচ্ছে যে এই মুহূর্তে এই পদের জন্য সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) এবং রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta) । কিন্তু এই দু’জনের মধ্যে কাকে দায়িত্ব দিলে রাজ্যে বিজেপির বিস্তার দ্রুতগতিতে হতে পারে, তা নিয়ে সন্দিহান দল ৷

বিজেপির ওই সূত্র বলছে যে স্মৃতি ইরানি বরাবরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রিয়পাত্রী ৷ 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে হারার পরও তাঁকে মন্ত্রী করা হয় ৷ পরে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয় ৷ 2019 সালে তিনি রাহুল গান্ধিকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন ৷ ফলে তাঁর গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন : মুকুলের পথে ঘরে ফিরে সুদীপ কি ত্রিপুয়ায় তৃণমূলের সুদিন ফেরাবেন ?

তার উপর তিনি বাংলা ভালো বলতে পারেন ৷ তাই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারে তাঁর আলাদা গুরুত্ব আছে ৷ প্রতিবারই তাঁকে তারকা প্রচারকের তালিকায় রাখা হয় ৷ তাই তাঁকে জাতীয় সহ-সভাপতি করা হলে, বাংলাতে তাঁকে দিয়ে সংগঠনের কাজ করানো সহজ হবে ৷ কারণ, সাম্প্রতিক নির্বাচনে হারের পর বিজেপির হিন্দিভাষী নেতাদের নিয়ে অভিযোগ উঠেছে ৷ আর স্মৃতি ইরানি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন এমন একজন নেতা, আবার বাংলাও বলতে পারেন ৷ তাই তাঁকে অবশ্যই সংগঠনের কাজে ব্যবহার করতে চাইবে বিজেপি ৷ সেই হিসেবে স্মৃতি ইরানি এগিয়ে ৷

কিন্তু এক্ষেত্রে একটাই সমস্যা, স্মৃতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই এক নেতা, এক পদ - এই নীতি মেনে চলে ৷ মন্ত্রীরা কখনও সংগঠনের পদ পান না ৷ তাই স্মৃতিকে এই পদে আনতে গেলে তাঁকে মোদির (Narendra Modi) মন্ত্রিসভা থেকে সরাতে হবে ৷ সেটা কি করা উচিত হবে ? আপাতত এই প্রশ্নই ঘুরছে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে ৷

আরও পড়ুন : আরএসএস-র রিপোর্ট পেয়েই বিধানসভা নির্বাচনে মুকুলকে নিষ্ক্রিয় ?

অন্যদিকে এই পদের জন্য আরেক বড় দাবিদার হলেন স্বপন দাশগুপ্ত । দলে তিনিও কম গুরুত্বপূর্ণ নন । কারণ, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একটা সময় তাঁর নাম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে হাওয়ায় ভাসছিল । যদিও প্রকাশ্যে কোনও নেতাকেই একুশের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দেখানো হয়নি বিজেপির তরফে । তারকেশ্বরে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়ে এসেছিলেন স্বপনবাবু । নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর আবার পুনরায় তিনি রাষ্ট্রপতি অনুমোদনের ভিত্তিতে রাজ্যসভার সাংসদ ফিরে পান । এর থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে স্বপন দাশগুপ্তর গুরুত্ব সহজেই বোঝা যায় ৷

এখন প্রশ্ন হল, এই দু’জনের মধ্যে কাকে জাতীয় সহ-সভাপতি করে বাংলায় সংগঠনের বিস্তারের কাজে ব্যবহার করা যাবে ? সূত্রের খবর, এই দুই মুখের কাউকেই সংঘ পরিবার অনুমোদন দেয়নি । বরং সংঘ পরিবারের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, একুশের ভোটে এদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে । নির্বাচনে জনতার কাছে যিনি বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেননি, তাঁকে জাতীয় সহ-সভাপতি পদ সংগঠনের বিস্তারে কী লাভ হবে ? এই প্রশ্ন তুলেছে আরএসএস (RSS) । একইভাবে তারকা প্রচারক হিসেবে স্মৃতি ইরানিও সফল নন বলে মনে করছে তারা ।

আরও পড়ুন : Mukul Roy : উপেক্ষার কারণেই পদ্ম-সঙ্গ ত্যাগ, বলছেন মুকুল ঘনিষ্ঠরা

সূত্রের খবর, আরএসএস চাইছে নামের পিছনে না ছুটে যাঁর সঙ্গে মাটির যোগাযোগ আছে, এমন কাউকে জাতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে বাংলায় সংগঠনের বিস্তারের কাজে ব্যবহার করতে ।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলছেন যে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে ৷ আগে থেকে এইভাবে কিছু বলা উচিত নয় ৷

আরও পড়ুন : পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রামে ভোট পুনর্গণনা সংক্রান্ত শুনানি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.