ETV Bharat / city

Loan of Mamata Govt : খরচের বহর সামলাতে একমাসে তিনবার বাজার থেকে ঋণ নিল মমতার সরকার - Bengal Government Market Borrowing

চলতি জানুয়ারিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ঋণের (Bengal Government Market Borrowing) পরিমাণ হল 6,500 কোটি টাকা । এর আগে 6 জানুয়ারি 2,500 কোটি টাকা ও 18 জানুয়ারি 1,000 কোটি টাকা বাজার থেকে ঋণ নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ।

west-bengal-resorts-to-third-time-market-borrowing-this-month-to-meet-recurring-expenditures
Loan of Mamata Govt : খরচের বহর সামলাতে একমাসে তিনবার ঋণ নিল মমতার সরকার
author img

By

Published : Jan 24, 2022, 6:25 PM IST

কলকাতা, 24 জানুয়ারি : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেউলিয়া অবস্থা আরও প্রকট হল সোমবার । এবার আর একই মাসে দু‘বার বাজার থেকে ধার নিয়েও পুনরাবৃত্ত ব্যয় (recurring expenditure) চালানো সম্ভব হচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষে । তাই একই মাসে তৃতীয়বারের জন্য ধার নিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে ৷ সেই কারণে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাজার থেকে ধার নিল 3 হাজার কোটি টাকা । চলতি জানুয়ারিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ঋণের পরিমাণ হল 6,500 কোটি টাকা । এর আগে গত ডিসেম্বরে রাজ্য সরকার দুই কিস্তিতে বাজার থেকে ধার নিয়েছিল । সেবারও মোট ধারের পরিমাণ ছিল 6,500 কোটি টাকা ।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সোমবার মোট 14টি রাজ্য খোলা বাজার থেকে মোট 24,639 কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে । এর মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণগ্রহীতা রাজ্য হল উত্তরপ্রদেশ ৷ সেখানকার সরকার বাজার থেকে ঋণ নিয়েছে 5,000 কোটি টাকা । দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ৷

আরও পড়ুন : World Bank Loan to WB : মমতার সামাজিক প্রকল্পকে স্বীকৃতি, হাজার কোটির ঋণ মঞ্জুর বিশ্ব ব্যাঙ্কের

এর আগে গত 18 জানুয়ারি সবমিলিয়ে 12টি রাজ্য সর্বমোট 20,659 কোটি টাকা বাজার থেকে ঋণ নেয় । এই 12টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ ছিল 1,000 কোটি টাকা । সেই সময়ও সর্বোচ্চ ঋণগ্রহীতা রাজ্য ছিল উত্তরপ্রদেশ ৷ যাদের ঋণের পরিমাণ ছিল 3,000 কোটি টাকা । তার আগে নতুন বছরের শুরুতেই 6 জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাজার থেকে 2,500 কোটি টাকা ঋণ নেয় । তখন 9টি রাজ্য বাজার থেকে মোট 19,340 কোটি ঋণ নিয়েছিল ৷ সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ ছিল সর্বোচ্চ ঋণগ্রহীতা রাজ্য ।

গত মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দু’বার খোলা বাজার থেকে ধার নিয়েছিল । গত ডিসেম্বরের 14 তারিখে সবমিলিয়ে সাতটি রাজ্য সর্বমোট 7,053 কোটি টাকা বাজার থেকে ঋণ নেয় । এই সাতটি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি 2,500 কোটি টাকা । ওই মাসের 24 তারিখে সবমিলিয়ে 16টি রাজ্য সর্বমোট 22,984 কোটি টাকা বাজার থেকে ঋণ নেয় । এই দফাতেও পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল ৷ যার পরিমাণ ছিল 4,000 কোটি টাকা । এর অর্থ ডিসেম্বরের 14 থেকে জানুয়ারির 24 তারিখ, এই 41দিনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মোট 13 হাজার কোটি টাকা খোলা বাজার থেকে ঋণ নিল ।

প্রসঙ্গত, 2011 সালে যখন 34 বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান হয় এবং মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়, সেই সময় রাজ্যের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ ছিল 1.93 লক্ষ কোটি টাকা । রাজ্য সরকারের বাজেট পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 2020-21 অর্থবর্ষ শেষে সেই পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ানোর কথা প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা ৷

আরও পড়ুন : Economic Status of West Bengal : ভাঁড়ে মা ভবানী, খরচ সামলাতে ফের একমাসে দু’বার ঋণ রাজ্যের

অর্থনীতিবিদদের মতে, গত দশ বছরে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা বহির্ভূত খরচ (Non-plan expenditure) হুহু করে বেড়েছে এবং এই খরচ মেটাতে বাড়ছে ধারের বহর ৷ তাছাড়া আবগারি শুল্ক ছাড়া রাজস্ব আদায়ের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার ফলে এখন খরচ চালানোর জন্য ধার ছাড়া আর কোনও বিকল্প উপায় নেই রাজ্য সরকারের হাতে । অর্থনীতিবিদরা আরও মনে করেন, রাজ্যের দেনা এবং গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট অনুপাত (Debt to GSDP Ratio) ইতিমধ্যেই 30 শতাংশ । এটা বেড়ে 50 হলেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে ।

কলকাতা, 24 জানুয়ারি : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেউলিয়া অবস্থা আরও প্রকট হল সোমবার । এবার আর একই মাসে দু‘বার বাজার থেকে ধার নিয়েও পুনরাবৃত্ত ব্যয় (recurring expenditure) চালানো সম্ভব হচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষে । তাই একই মাসে তৃতীয়বারের জন্য ধার নিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে ৷ সেই কারণে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাজার থেকে ধার নিল 3 হাজার কোটি টাকা । চলতি জানুয়ারিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ঋণের পরিমাণ হল 6,500 কোটি টাকা । এর আগে গত ডিসেম্বরে রাজ্য সরকার দুই কিস্তিতে বাজার থেকে ধার নিয়েছিল । সেবারও মোট ধারের পরিমাণ ছিল 6,500 কোটি টাকা ।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সোমবার মোট 14টি রাজ্য খোলা বাজার থেকে মোট 24,639 কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে । এর মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণগ্রহীতা রাজ্য হল উত্তরপ্রদেশ ৷ সেখানকার সরকার বাজার থেকে ঋণ নিয়েছে 5,000 কোটি টাকা । দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ৷

আরও পড়ুন : World Bank Loan to WB : মমতার সামাজিক প্রকল্পকে স্বীকৃতি, হাজার কোটির ঋণ মঞ্জুর বিশ্ব ব্যাঙ্কের

এর আগে গত 18 জানুয়ারি সবমিলিয়ে 12টি রাজ্য সর্বমোট 20,659 কোটি টাকা বাজার থেকে ঋণ নেয় । এই 12টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ ছিল 1,000 কোটি টাকা । সেই সময়ও সর্বোচ্চ ঋণগ্রহীতা রাজ্য ছিল উত্তরপ্রদেশ ৷ যাদের ঋণের পরিমাণ ছিল 3,000 কোটি টাকা । তার আগে নতুন বছরের শুরুতেই 6 জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাজার থেকে 2,500 কোটি টাকা ঋণ নেয় । তখন 9টি রাজ্য বাজার থেকে মোট 19,340 কোটি ঋণ নিয়েছিল ৷ সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ ছিল সর্বোচ্চ ঋণগ্রহীতা রাজ্য ।

গত মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দু’বার খোলা বাজার থেকে ধার নিয়েছিল । গত ডিসেম্বরের 14 তারিখে সবমিলিয়ে সাতটি রাজ্য সর্বমোট 7,053 কোটি টাকা বাজার থেকে ঋণ নেয় । এই সাতটি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি 2,500 কোটি টাকা । ওই মাসের 24 তারিখে সবমিলিয়ে 16টি রাজ্য সর্বমোট 22,984 কোটি টাকা বাজার থেকে ঋণ নেয় । এই দফাতেও পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল ৷ যার পরিমাণ ছিল 4,000 কোটি টাকা । এর অর্থ ডিসেম্বরের 14 থেকে জানুয়ারির 24 তারিখ, এই 41দিনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মোট 13 হাজার কোটি টাকা খোলা বাজার থেকে ঋণ নিল ।

প্রসঙ্গত, 2011 সালে যখন 34 বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান হয় এবং মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়, সেই সময় রাজ্যের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ ছিল 1.93 লক্ষ কোটি টাকা । রাজ্য সরকারের বাজেট পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 2020-21 অর্থবর্ষ শেষে সেই পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ানোর কথা প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা ৷

আরও পড়ুন : Economic Status of West Bengal : ভাঁড়ে মা ভবানী, খরচ সামলাতে ফের একমাসে দু’বার ঋণ রাজ্যের

অর্থনীতিবিদদের মতে, গত দশ বছরে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা বহির্ভূত খরচ (Non-plan expenditure) হুহু করে বেড়েছে এবং এই খরচ মেটাতে বাড়ছে ধারের বহর ৷ তাছাড়া আবগারি শুল্ক ছাড়া রাজস্ব আদায়ের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার ফলে এখন খরচ চালানোর জন্য ধার ছাড়া আর কোনও বিকল্প উপায় নেই রাজ্য সরকারের হাতে । অর্থনীতিবিদরা আরও মনে করেন, রাজ্যের দেনা এবং গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট অনুপাত (Debt to GSDP Ratio) ইতিমধ্যেই 30 শতাংশ । এটা বেড়ে 50 হলেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.