কলকাতা, 4 মে: পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি সংগ্রহে এলিট ক্লাবে উঠে এল বাংলা (Record GST collection in Bengal)। 2022-23 আর্থিক বছরের প্রথম মাসে বাংলা রেকর্ড 5644 কোটি টাকা জিএসটি বাবদ আয় করেছে । যা এক মাসে আয়ের ক্ষেত্রে সর্বকালের রেকর্ড (West Bengal enters in elite club)। গত মাসে অর্থাৎ মার্চ মাসের তুলনায় রাজ্যে জিএসটি সংগ্রহের বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় 1200 কোটি টাকা । রাজ্যের রাজস্ব সংগ্রহ তথা জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রে এই সাফল্যকে গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন হিসেবেই দেখছে রাজ্য সরকার । কারণ এই রেকর্ড সংগ্রহকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরাসরি এলিট ক্লাবে ঢুকে পড়ল ।
সবচেয়ে মজার বিষয় হল, এমন সময় জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রে রাজ্য এই রেকর্ড করল, যে সময় গোটা দেশে রেকর্ড জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি বাবদ রাজস্ব আদায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে 1.67 লক্ষ কোটি টাকা । এই বিপুল পরিমাণ জিএসটি সংগ্রহ দেশের জন্য একটা রেকর্ড (record GST collection on April)।
জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রে বাংলার জন্য এই সাফল্যে উৎসাহিত অর্থ দফতর । দফতরের এক কর্তার কথায়, যখন কোনও একটি রাজ্যের রাজস্ব সংগ্রহ এক মাসে 5500 কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়, তখন কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে । সেইমতো বাংলা এলিট ক্লাবের মর্যাদা পাওয়ায় অবশ্যই তাদের জন্য বাড়তি সুবিধা হবে । তিনি এও জানিয়েছেন, গত বছর এপ্রিল মাসে আমাদের রাজ্যের জিএসটি বাবদ আয় হয়েছিল 5236 কোটি টাকা ।
আরও পড়ুন: Record in GST Collection : জানুয়ারিতে কেন্দ্রের জিএসটি থেকে 140986 কোটি টাকার রেকর্ড আয়
অর্থ দফতর সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে এলিট ক্লাবের (Record SGST collection in Bengal) সদস্য হল মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং দিল্লি । এদের প্রত্যেকেরই জিএসটি বাবদ মাসিক আয় 5500 কোটি টাকার বেশি ।
জিএসটি-র এই বৃদ্ধি নিয়ে নবান্নের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, এপ্রিলেই রাজ্যে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । 20 এবং 21 এপ্রিল এই সম্মেলন থেকে প্রায় 3.42 লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে । মনে করা হচ্ছে এই বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তাবনা, জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণকে এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে । মনে করা হচ্ছে, এই ক্রমবর্ধমান রাজস্ব সংগ্রহ রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে ।
2017 সালে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে বারবার রাজ্যকে ভুগতে হচ্ছে । রাজ্যের জিএসটি বাবদ প্রাপ্য কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না । এই অবস্থায় স্টেট জিএসটি থেকে রাজ্যের আয়বৃদ্ধি অবশ্যই সরকারি কোষাগারের জন্য সুখবর ।