কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর : 22 সেপ্টেম্বর সিবিআই এবং ইডির দুই অধিকর্তাকে বিধানসভায় তলব করলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় । সিবিআইয়ের ডিএসপি এবং ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরকে ওইদিন দুপুর একটায় বিধানসভায় তলব করা হয়েছে । নারদ কাণ্ডে মন্ত্রী, বিধায়কদের নামে বিধানসভার মাধ্যমে সমন পাঠানোর চেষ্টা করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । তাতে ক্ষুব্ধ হন বিধানসভার অধ্যক্ষ । তিনি বিষয়টি নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখেন । এরপরই এই কড়া সিদ্ধান্ত নেন । সিবিআই-এর ডিএসপি সত্যেন্দ্র সিং এবং ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রথীন বিশ্বাসকে বিধানসভায় তলব করা হয়েছে ।
অধ্যক্ষের তলবি চিঠি ইতিমধ্যেই এই অফিসারদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে বলেই খবর । চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তা হল, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্র জনপ্রতিনিধি। তাঁদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তাতে চার্জশিট দিতে গেলে অধ্যক্ষের অনুমোদন বাধ্যতামূলক । সিবিআই অথবা ইডি কেউই অধ্যক্ষের কাছ থেকে এই অনুমোদন নেয়নি। অধ্যক্ষের বক্তব্য, এই ঘটনার মাধ্যমে বিধানসভাকে এড়িয়ে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে । যা আদতে বিধানসভাকে অবমাননার শামিল । বিধানসভা কর্তৃপক্ষ মনে করছে, স্পিকারের অগোচরে, তাঁর অনুমোদন ছাড়া সিবিআই, ইডি ওই চার্জশিট দিয়েছে । তাই জনপ্রতিনিধিদের নামে চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে তা ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে লঙ্ঘন’ করা হয়েছে বলেই মনে করছে বিধানসভার সচিবালয় । এবং তার ‘ব্যাখ্যা’ জানতে সিবিআই, ইডির দুই কর্তাকে তলব করে এর কারণ জানতে চাইবেন বিমানবাবু ।
এই সংক্রান্ত খবর : বিধানসভার কাজে হস্তক্ষেপ বরদাস্ত নয়, পিএসি নিয়ে রাজ্যপালের চিঠির জবাব বিমানের
এভাবে সিবিআই ও ইডিকে তলব করে কেন এ ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা চাওয়ার ঘটনা পরিষদীয় রাজনীতিতে বিরল । ফলে আগামী 22 তারিখ বিধানসভায় কী ঘটে সেদিকে নজর থাকবে সকলের । এখন দেখা শেষ পর্যন্ত এই জল কতদূর গড়ায় ।