ETV Bharat / city

9 সেপ্টেম্বর শুরু বিধানসভার অধিবেশন, কক্ষ ঘুরে দেখলেন অধ্যক্ষ-সচিব

দু'দিনের বিধানসভা অধিবেশনে মানুষের অভাব অভিযোগের কথা আলোচনা করা যাবে না। ক্ষোভ বিরোধী দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর ।

West Bengal Assembly session
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Aug 26, 2020, 9:19 PM IST

কলকাতা, 26 অগাস্ট : এতদিন যা ছিল চিন্তাভাবনার স্তরে, এবার তা চূড়ান্ত হয়ে গেছে । 9 সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিধানসভায় স্বল্প সময়ের জন্য বসতে চলেছে বর্ষাকালীন অধিবেশন । সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কীভাবে 290 জন বিধায়কের বসার ব্যবস্থা করা হবে তা খতিয়ে দেখতে আজও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার সচিব এবং মার্শাল ঘুরে দেখেন সমগ্র অধিবেশন কক্ষ । সিদ্ধান্ত হয়েছে বর্ষীয়ান বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে, কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে যাবতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । বিভিন্ন দলের তরুণ বিধায়কদের বসানো হবে বিধানসভার উপরে গ্যালারিতে । এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাইরের দর্শক প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হয়েছে বিধানসভায় ।

যদিও দু'দিনের বিধানসভায় রাজ্যের মানুষের অভাব অভিযোগের কথা যথার্থভাবে বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । ক্ষোভের সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী বা অধ্যক্ষ সরাসরি কিছু জানাননি । দু'দিনের বিধানসভায় মানুষের অভাব অভিযোগের কথা আলোচনা করা যাবে না। রীতি অনুযায়ী, প্রথমদিনের অধিবেশন শোক প্রস্তাবের পর মুলতবি হয়ে যায় । বাকি থাকে আর একদিন । সেই একদিনে কতটা আলোচনা করা যাবে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুজন চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন : "78-এর বন্যাতেও বিধানসভা খোলা ছিল, এমন পরিস্থিতি আগে হয়নি"

সুজন চক্রবর্তী বলেন, "প্রথম দিন শোক জ্ঞাপন । তারপরের দিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দর্শন। মানুষের অভাব অভিযোগের কথা কীভাবে আলোচনা হবে এই সামান্য সময়ে । গত ছয় মাস ধরে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা জমে রয়েছে । মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া । কর্মসংস্থান শিকেয় । আমফান দুর্নীতি । কোরোনার তথ্য নিয়ে গোপনীয়তা । এসব কিছুই আলোচনা করা যাবে না। আসলে মানুষের কথা শুনতে, বিরোধীদের কথা শুনতে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী । দিল্লিতে তাও সংসদ চলবে একপক্ষ কাল । মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন বলেই বিধানসভাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন । মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনতে রাজি নয় সরকার । আমরা মুলতুবি প্রস্তাব আনব । সরকারের দুর্নীতির কথা বলব । মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে ।"

আরও পড়ুন : টার্গেট 220-230 আসন, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছাড়াই একুশে লড়বে BJP : বিজয়বর্গীয়

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, "সংবিধানের বাধ্যবাধকতার জন্য ছয় মাসের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হচ্ছে । 17 মার্চ শেষ বিধানসভা অধিবেশন বসেছিল । এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে বিধানসভা অধিবেশন বসাতে হচ্ছে । মানুষের বার্তা তুলে ধরা হবে । কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যের প্রসঙ্গ আলোচনা করা হবে । মানুষের দাবি মেনে মুলতবি প্রস্তাব আনা হবে ।" প্রস্তাব গৃহীত না হলে অনাস্থা প্রস্তাব আনার চিন্তাভাবনা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ।"

কলকাতা, 26 অগাস্ট : এতদিন যা ছিল চিন্তাভাবনার স্তরে, এবার তা চূড়ান্ত হয়ে গেছে । 9 সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিধানসভায় স্বল্প সময়ের জন্য বসতে চলেছে বর্ষাকালীন অধিবেশন । সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কীভাবে 290 জন বিধায়কের বসার ব্যবস্থা করা হবে তা খতিয়ে দেখতে আজও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার সচিব এবং মার্শাল ঘুরে দেখেন সমগ্র অধিবেশন কক্ষ । সিদ্ধান্ত হয়েছে বর্ষীয়ান বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে, কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে যাবতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । বিভিন্ন দলের তরুণ বিধায়কদের বসানো হবে বিধানসভার উপরে গ্যালারিতে । এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাইরের দর্শক প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হয়েছে বিধানসভায় ।

যদিও দু'দিনের বিধানসভায় রাজ্যের মানুষের অভাব অভিযোগের কথা যথার্থভাবে বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । ক্ষোভের সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী বা অধ্যক্ষ সরাসরি কিছু জানাননি । দু'দিনের বিধানসভায় মানুষের অভাব অভিযোগের কথা আলোচনা করা যাবে না। রীতি অনুযায়ী, প্রথমদিনের অধিবেশন শোক প্রস্তাবের পর মুলতবি হয়ে যায় । বাকি থাকে আর একদিন । সেই একদিনে কতটা আলোচনা করা যাবে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুজন চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন : "78-এর বন্যাতেও বিধানসভা খোলা ছিল, এমন পরিস্থিতি আগে হয়নি"

সুজন চক্রবর্তী বলেন, "প্রথম দিন শোক জ্ঞাপন । তারপরের দিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দর্শন। মানুষের অভাব অভিযোগের কথা কীভাবে আলোচনা হবে এই সামান্য সময়ে । গত ছয় মাস ধরে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা জমে রয়েছে । মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া । কর্মসংস্থান শিকেয় । আমফান দুর্নীতি । কোরোনার তথ্য নিয়ে গোপনীয়তা । এসব কিছুই আলোচনা করা যাবে না। আসলে মানুষের কথা শুনতে, বিরোধীদের কথা শুনতে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী । দিল্লিতে তাও সংসদ চলবে একপক্ষ কাল । মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন বলেই বিধানসভাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন । মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনতে রাজি নয় সরকার । আমরা মুলতুবি প্রস্তাব আনব । সরকারের দুর্নীতির কথা বলব । মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে ।"

আরও পড়ুন : টার্গেট 220-230 আসন, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছাড়াই একুশে লড়বে BJP : বিজয়বর্গীয়

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, "সংবিধানের বাধ্যবাধকতার জন্য ছয় মাসের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হচ্ছে । 17 মার্চ শেষ বিধানসভা অধিবেশন বসেছিল । এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে বিধানসভা অধিবেশন বসাতে হচ্ছে । মানুষের বার্তা তুলে ধরা হবে । কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যের প্রসঙ্গ আলোচনা করা হবে । মানুষের দাবি মেনে মুলতবি প্রস্তাব আনা হবে ।" প্রস্তাব গৃহীত না হলে অনাস্থা প্রস্তাব আনার চিন্তাভাবনা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.