কলকাতা, 7 মার্চ : ব্রিগেডের জনসভা ৷ ভোটের মরসুমে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছেই কলকাতার এই প্রাণকেন্দ্রে সভা করতে পারা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ৷ প্রতিবার ভোটের সময় সমস্ত রাজনৈতিক দলই এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার চেষ্টা করে ৷ এবার বিজেপিও তার ব্যতিক্রম নয় ৷
আজ, রবিবার বিজেপির ব্রিগেড ৷ তবে এবার গেরুয়া শিবিরের কাছে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি ৷ কারণ, এবারের নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি ৷ এমনকী, বিরোধী সংযুক্ত মোর্চাও তৃণমূলের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপিকেও তাদের অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করছে ৷ ফলে আজ ব্রিগেডের দিকে তাকিয়ে সকলেই ৷
এই পরিস্থিতিতে বিজেপিও চাইবে তাদের বিরোধী পক্ষকে পালটা জবাব দিতে ৷ আর সেই জবাব যিনি দেবেন, তিনি অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ দুপুর 1টা 20 মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন বলে জানা গিয়েছে ৷ সেখান থেকে তিনি ব্রিগেডে পৌঁছবেন দুপুর 2টো নাগাদ ৷
মোদিই ব্রিগেডে বিজেপির মূল বক্তা ৷ ফলে তিনি কি বার্তা দেন, সেই দিকে যেমন তাকিয়ে বাংলার গেরুয়া শিবির, তেমনই তাঁর সামনে ব্রিগেড ভরানোও অন্যতম চ্যালেঞ্জ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ৷ তার উপর এক সপ্তাহ আগেই সংযুক্ত মোর্চার তরফে বাম, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট ব্রিগেড আয়োজন করেছিল ৷ সেই সভায় ভিড় নেহাত মন্দ হয়নি ৷ তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপিকে 28 ফেব্রুয়ারির ব্রিগেডের ভিড় ছাপিয়ে যেতে হবে ৷ সেই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দলের রাজ্য নেতৃত্ব ৷
আরও পড়ুন : মোদির ব্রিগেডে উপস্থিত থাকছেন অক্ষয় কুমার?
ঠিক এক মাস আগে পশ্চিমবঙ্গে এসে ভোটের আগে তাঁর প্রথম রাজনৈতিক সভা করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সেদিন পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া থেকে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন মোদি ৷ তার পর 22 ফেব্রুয়ারি হুগলির সাহাগঞ্জের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আরও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি ৷ তখন যদিও নির্বাচন ঘোষণা হয়নি ৷ এখন নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে প্রধানমন্ত্রী কী বলেন আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ৷
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির ব্রিগেড নিয়ে নানা জল্পনা চলছে ৷ ওই সভায় তারকা সমাবেশ হবে বলে খবর ৷ মিঠুন চক্রবর্তী-সহ একাধিক তারকার নাম শোনা গিয়েছে ৷ ফলে তাঁদের মধ্যে চমক হিসেবে বিজেপি ঠিক কাকে কাকে হাজির করবেন, সেই নিয়ে আমজনতার উৎসাহ রয়েছে ৷ বিজেপির একটি সূত্রের খবর, মিঠুন চক্রবর্তীর উপস্থিতির সম্ভাবনা প্রবল ৷ তিনি শনিবার রাতেই কলকাতায় হাজির হচ্ছেন ৷ থাকতে পারেন অক্ষয় কুমারও ৷ বাংলা থেকে এক অভিনেত্রীর নাম শোনা যাচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : নন্দীগ্রামের লড়াই কি শুধুই মমতা বনাম শুভেন্দু ?
আর রাজনীতির দিক থেকে সবচেয়ে বড় চমক সম্ভবত তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদ ৷ তাঁর সঙ্গে সম্প্রতি দলের দূরত্ব বেড়েছে ৷ বিশেষ করে তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করার জন্যই তিনি কয়েকমাস দলের থেকে দূরে দূরে থাকছেন ৷ এছাড়া যাঁরা তৃণমূলের টিকিট পাননি, সেই বিক্ষুব্ধ অংশের কেউ কেউ থাকতে পারেন বলে খবর ৷