কলকাতা, 4 জুলাই: তিনি বাংলা সিনেমার ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর অর্থাৎ, সত্যজিৎ-মৃণাল-ঋত্বিকদের সমগোত্রীয় হয়তো নন ৷ তবে বাংলা ছবিতে তিনি একটি ধারা আনতে পেরেছিলেন, যা তরুণ মজুমদারকে কিংবদন্তির আসনে বসিয়েছিল ৷ তাই সোমবার তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে বাংলার কিংবদন্তি পরিচালকদের শেষ মহীরুহের পতন হল বলা যায় ৷ স্বভাবতই একাধিক জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক তরুণ মজুমদার মৃণাল-ঋত্বিকদের মতোই স্মরণীয় থেকে যাবেন সিনে অনুরাগীদের মণিকোঠায় ৷ বর্ষীয়ান পরিচালকের মৃত্যুতে শোকবার্তায় এমনটাই জানানল গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ (WBDWAA mourns death of Tarun Majumdar) ৷
গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রজত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বাণিজ্যিক ছবির কায়দা থেকে অনেক দূরে থেকেও অসাধারণ সব ছবি তৈরি করেছেন। তরুণ মজুমদার ছিলেন বিরলতম চলচ্চিত্র পরিচালক। বক্স অফিসে সুপারহিট থেকে তাঁর ছবিতে ভারতের সমাজ, সংস্কৃতির ছোঁয়া থাকায় রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর বালিকা বধূ, সংসার সীমান্ত-র মত ছবি অনন্য।"
আরও পড়ুন : তালাবন্ধ ঘর, এনটি ওয়ান স্টুডিয়োতে পৌঁছল তরুণ মজুমদারের নিথর দেহ, কী বলছে শিল্পীমহল?
বার্তায় আরও বলা হয়, "1962 সালে 'কাঁচের স্বর্গ' ছবির জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান পরিচালক। মোট চারটি জাতীয় পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্র পরিচালককে কেন্দ্র পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে 1990 সালে। তাঁর সৃষ্টির কারণে মৃণাল সেন, উৎপল দত্তর মতই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।"