ETV Bharat / city

আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের জলাশয়ে ডুবে মৃত্যু প্রসেনজিতের ! আটক 2

আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের ভিতরের জলাশয়ে যুবকের মৃত্যুতে 2 জনকে আটক করা হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মালদার প্রসেনজিৎ সিংহর।

প্রসেনজিৎ সিংহ (ফাইল ফোটো)
author img

By

Published : Aug 20, 2019, 6:10 AM IST

কলকাতা, 20 অগাস্ট : ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মালদার প্রসেনজিৎ সিংহর। সে ক্ষেত্রে খুনের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম । যদিও অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল এবং তাঁর ভাই বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিশ । প্রসেনজিতের বাবা উত্তমকুমার সিংহের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ । সেভাবেই তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্তা জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে যা যা পাওয়া গেছে তাতে এই ঘটনায় খুনের বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করা খুবই কঠিন । সবদিক দেখে মনে হচ্ছে খুন হননি ওই যুবক । তবে প্রসেনজিৎ যে প্রভাবিত হয়েছিলেন তার কিছু প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ । সেই সূত্রে ইন্দ্রজিতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের শীর্ষকর্তারা ।


ঘটনার সূত্রপাত শনিবার । ওই দিন সকালে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের ভিতরের জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় প্রসেনজিতের মৃতদেহ । বডিগার্ড লাইন্সের এক পুলিশকর্মী দেহটি দেখতে পান । পরে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় । প্রাথমিকভাবে, মৃতদেহের মাথায় ক্ষত ও শরীরে কালশিটের দাগ দেখতে পান তদন্তকারীরা । সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছিল, হয়ত তাঁকে খুন করে বডিগার্ড লাইনের পিছনের দিকে ওই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে । ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই কলকাতা আসেন প্রসেনজিতের বাবা উত্তম সিংহ । তিনি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত । তিনি ছেলেকে খুনের অভিযোগ আনেন । তাঁর সরাসরি অভিযোগ বিশ্বজিৎ এবং ইন্দ্রজিতের বিরুদ্ধে । তিনি দাবি করেন, পাশের গ্রামের দুই ভাই বিশ্বজিৎ ও ইন্দ্রজিৎ প্রসেনজিৎকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা নেন । ইন্দ্রজিৎ রিজ়ার্ভ ফোর্সের কর্মী হওয়ায় বিশ্বাস করে টাকা দেওয়া হয় । আর বিশ্বজিৎ ডাকবিভাগের কর্মী। সেই টাকা ফেরত নিতেই কলকাতায় এসেছিলেন প্রসেনজিৎ । তার জেরেই এই পরিণতি ।

এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । খতিয়ে দেখা হয় অভিযুক্তদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন । ময়নাতদন্ত এবং প্রসেনজিতের কল রেকর্ডস ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার পরে । ওই সময় ইন্দ্রজিৎ এবং বিশ্বজিতের টাওয়ার লোকেশন আলিপুর বডিগার্ড লাইনের আশপাশেও ছিল না । জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে তাঁরা সে কথাই জানিয়েছেন । তাঁদের বক্তব্য যাচাই করে দেখেছে পুলিশ । এক্ষেত্রে তাঁরা ঠিকই বলছেন । অর্থাৎ ঘটনার সময় বিশ্বজিৎ এবং ইন্দ্রজিৎ প্রসেনজিতের কাছে ছিলেন না । অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে প্রসেনজিতের । সেখানে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক প্রাথমিক রিপোর্টে পরিষ্কার লিখে দিয়েছেন, “অ্যান্টি মর্টাম ড্রাউনিং ।"

ওই পুকুরের পাড়ে রয়েছে একটি মন্দির। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে পাওয়া গেছে বিছানা । সেটি সম্ভবত প্রসেনজিতের । একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে তাঁর প্যান্ট এবং মোবাইল । এমনিতে প্রসেনজিতের কাকা একসময় কলকাতা পুলিশে কর্মরত ছিলেন । কয়েক মাস আগে অবসর নিয়েছেন তিনি । প্রসেনজিতের কাকা থাকতেন আলিপুর বডিগার্ড লাইনেই । সেই সূত্রে তাঁর যাতায়াত ছিল । বেশ কিছু লোকজন চেনা হয়ে গেছিল তাঁর । পুলিশ খতিয়ে দেখেছে তাঁদের কারও কাছেই ছিলেন না প্রসেনজিৎ । সেই সূত্রে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই মন্দিরে রাতে ঘুমোতেন তিনি । শুক্রবার রাতে কলকাতায় ব্যাপক বৃষ্টি হয় । তদন্তকারীরা বলছেন, ওই পুকুর পাড় যথেষ্ট পিচ্ছিল । ফলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি তো? পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ তেমনই । আবার তিনি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যাও করে থাকতে পারেন । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি তাঁকে খুন করতে হয় তবে পিছন থেকে ধাক্কা মারতে হবে । ইন্দ্রজিৎ এবং বিশ্বজিৎ যেহেতু সেই এলাকায় ছিলেন না তাহলে, সেখানে উপস্থিতি থাকতে হবে তৃতীয় ব্যক্তির । সেই সূত্রে বডিগার্ড লাইনের সব CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

এদিকে, এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেরা করে কোনও অসংগতি পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর । বিশ্বজিৎ ইতিমধ্যেই এক লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে বক্তব্য পুলিশের । যদিও বিশ্বজিৎ দাবি করেছেন, সেই টাকার বেশিরভাগটাই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ।

কলকাতা, 20 অগাস্ট : ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মালদার প্রসেনজিৎ সিংহর। সে ক্ষেত্রে খুনের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম । যদিও অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল এবং তাঁর ভাই বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিশ । প্রসেনজিতের বাবা উত্তমকুমার সিংহের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ । সেভাবেই তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্তা জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে যা যা পাওয়া গেছে তাতে এই ঘটনায় খুনের বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করা খুবই কঠিন । সবদিক দেখে মনে হচ্ছে খুন হননি ওই যুবক । তবে প্রসেনজিৎ যে প্রভাবিত হয়েছিলেন তার কিছু প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ । সেই সূত্রে ইন্দ্রজিতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের শীর্ষকর্তারা ।


ঘটনার সূত্রপাত শনিবার । ওই দিন সকালে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের ভিতরের জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় প্রসেনজিতের মৃতদেহ । বডিগার্ড লাইন্সের এক পুলিশকর্মী দেহটি দেখতে পান । পরে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় । প্রাথমিকভাবে, মৃতদেহের মাথায় ক্ষত ও শরীরে কালশিটের দাগ দেখতে পান তদন্তকারীরা । সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছিল, হয়ত তাঁকে খুন করে বডিগার্ড লাইনের পিছনের দিকে ওই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে । ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই কলকাতা আসেন প্রসেনজিতের বাবা উত্তম সিংহ । তিনি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত । তিনি ছেলেকে খুনের অভিযোগ আনেন । তাঁর সরাসরি অভিযোগ বিশ্বজিৎ এবং ইন্দ্রজিতের বিরুদ্ধে । তিনি দাবি করেন, পাশের গ্রামের দুই ভাই বিশ্বজিৎ ও ইন্দ্রজিৎ প্রসেনজিৎকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা নেন । ইন্দ্রজিৎ রিজ়ার্ভ ফোর্সের কর্মী হওয়ায় বিশ্বাস করে টাকা দেওয়া হয় । আর বিশ্বজিৎ ডাকবিভাগের কর্মী। সেই টাকা ফেরত নিতেই কলকাতায় এসেছিলেন প্রসেনজিৎ । তার জেরেই এই পরিণতি ।

এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । খতিয়ে দেখা হয় অভিযুক্তদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন । ময়নাতদন্ত এবং প্রসেনজিতের কল রেকর্ডস ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার পরে । ওই সময় ইন্দ্রজিৎ এবং বিশ্বজিতের টাওয়ার লোকেশন আলিপুর বডিগার্ড লাইনের আশপাশেও ছিল না । জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে তাঁরা সে কথাই জানিয়েছেন । তাঁদের বক্তব্য যাচাই করে দেখেছে পুলিশ । এক্ষেত্রে তাঁরা ঠিকই বলছেন । অর্থাৎ ঘটনার সময় বিশ্বজিৎ এবং ইন্দ্রজিৎ প্রসেনজিতের কাছে ছিলেন না । অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে প্রসেনজিতের । সেখানে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক প্রাথমিক রিপোর্টে পরিষ্কার লিখে দিয়েছেন, “অ্যান্টি মর্টাম ড্রাউনিং ।"

ওই পুকুরের পাড়ে রয়েছে একটি মন্দির। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে পাওয়া গেছে বিছানা । সেটি সম্ভবত প্রসেনজিতের । একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে তাঁর প্যান্ট এবং মোবাইল । এমনিতে প্রসেনজিতের কাকা একসময় কলকাতা পুলিশে কর্মরত ছিলেন । কয়েক মাস আগে অবসর নিয়েছেন তিনি । প্রসেনজিতের কাকা থাকতেন আলিপুর বডিগার্ড লাইনেই । সেই সূত্রে তাঁর যাতায়াত ছিল । বেশ কিছু লোকজন চেনা হয়ে গেছিল তাঁর । পুলিশ খতিয়ে দেখেছে তাঁদের কারও কাছেই ছিলেন না প্রসেনজিৎ । সেই সূত্রে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই মন্দিরে রাতে ঘুমোতেন তিনি । শুক্রবার রাতে কলকাতায় ব্যাপক বৃষ্টি হয় । তদন্তকারীরা বলছেন, ওই পুকুর পাড় যথেষ্ট পিচ্ছিল । ফলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি তো? পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ তেমনই । আবার তিনি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যাও করে থাকতে পারেন । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি তাঁকে খুন করতে হয় তবে পিছন থেকে ধাক্কা মারতে হবে । ইন্দ্রজিৎ এবং বিশ্বজিৎ যেহেতু সেই এলাকায় ছিলেন না তাহলে, সেখানে উপস্থিতি থাকতে হবে তৃতীয় ব্যক্তির । সেই সূত্রে বডিগার্ড লাইনের সব CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

এদিকে, এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেরা করে কোনও অসংগতি পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর । বিশ্বজিৎ ইতিমধ্যেই এক লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে বক্তব্য পুলিশের । যদিও বিশ্বজিৎ দাবি করেছেন, সেই টাকার বেশিরভাগটাই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ।

Intro:কলকাতা, ১৯ অগাস্ট: ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মালদার প্রসেনজিত সিংহর। সে ক্ষেত্রে খুনের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। যদিও অভিযুক্ত পুলিশ করবি ইন্দ্রজিৎ মন্ডল এবং তার ভাই বিশ্বজিৎ মন্ডলকে আটক করেছে পুলিশ। প্রসেনজিতের বাবা উত্তমকুমার সিংহের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। সেভাবেই তদন্তের কাজ এগোনো হচ্ছে। কিন্তু কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্তা জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে যা যা পাওয়া গেছে তাতে এই ঘটনায় খুনের বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করা খুবই কঠিন। সবদিক দেখে মনে হচ্ছে খুন হননি ওই যুবক। তবে প্রসেনজিৎ যে প্রভাবিত হয়েছিলেন তার কিছু প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। সেই সূত্রে ইন্দ্রজিতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের শীর্ষকর্তারা।
Body:ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। ওই দিন সকালে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের ভিতরের জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় প্রসেনজিতের মৃতদেহ। বডি গার্ড লাইন্সের এক পুলিশকর্মী সেই দেহ দেখতে পান। পরে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ এসে সেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। প্রাথমিকভাবে, মৃতদেহের মাথায় ক্ষত ও শরীরে কালশিটের দাগ দেখতে পান তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছিল, হয়তো তাকে খুন করে বডিগার্ড লাইনের পিছনের দিকে ওই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই কলকাতা ছুটে আসেন উত্তম। তিনি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তিনি ছেলেকে খুনের অভিযোগ আনেন। তার সরাসরি অভিযোগ বিশ্বজিৎ এবং ইন্দ্রজিতের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেন, পাশের গ্রামের দুই ভাই বিশ্বজিৎ ও ইন্দ্রজিত প্রসেনজিৎকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা নেয়। ইন্দ্রজিৎ রিজার্ভ ফোর্সের কর্মী হওয়ায় বিশ্বাস করে টাকা দেওয়া হয়। আর বিশ্বজিৎ ডাক বিভাগের কর্মী। সেই টাকা ফেরত নিতেই কলকাতায় এসেছিলেন প্রসেনজিৎ। তার জেরেই এই পরিণতি।

এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। খতিয়ে দেখা হয় অভিযুক্তদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন। ময়না তদন্ত এবং প্রসেনজিতের কল রেকর্ডস ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার পরে। ওই সময় ইন্দ্রজিৎ এবং বিশ্বজিতের টাওয়ার লোকেশন আলিপুর বডিগার্ড লাইনের আশেপাশেও ছিল না। পুলিশকে জেরায় তারা সে কথাই জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য যাচাই করে দেখেছে পুলিশ। এক্ষেত্রে তারা ঠিকই বলছেন। অর্থাৎ ঘটনার সময় বিশ্বজিৎ এবং ইন্দ্রজিৎ প্রসেনজিতের কাছে ছিল না। অন্যদিকে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সেখানে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক প্রাথমিক রিপোর্টে পরিষ্কার লিখে দিয়েছেন, “অ্যান্টি মর্টাম ড্রাউনিং।"
Conclusion:পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পুকুরের পাড়ে রয়েছে একটি মন্দির। সেখানে পাওয়া গেছে বিছানা। সেটি সম্ভবত প্রসেনজিতের। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে তার দ্রুত প্যান্ট এবং মোবাইল। এমনিতে প্রসেনজিতের কাকা একসময় কলকাতা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। কয়েক মাস আগে অবসর নিয়েছেন তিনি। প্রসেনজিতের কাকা থাকতেন আলিপুর বডিগার্ড লাইনেই। সেই সূত্রে তার যাতায়াত ছিল। বেশ কিছু লোকজন চেনা হয়ে গিয়েছিল তার। পুলিশ খতিয়ে দেখেছে তাদের কারো কাছেই ছিলেন না প্রসেনজিৎ। সেই সূত্রে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান ওই মন্দিরে রাতে ঘুমতেন তিনি। শুক্রবার রাতে কলকাতায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়। তদন্তকারীরা দেখেছেন ওই পুকুর পাড় যথেষ্ট পিচ্ছিল। সেই সূত্রে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি তো? পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ তেমনই। আবার তিনি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যাও করে থাকতে পারেন। পোসমর্টেমের রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি তাকে খুন করতে হয় তবে পেছন থেকে ধাক্কা মারতে হবে। ইন্দ্রজিৎ এবং বিশ্বজিৎ যেহেতু সেই এলাকায় ছিল না তাহলে, সেখানে উপস্থিতি থাকতে হবে তৃতীয় ব্যক্তির। সেই সূত্রে বডি গার্ড লাইনের সব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে, এদিকে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেরা করে কোনও অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিশ্বজিৎ ইতিমধ্যেই এক লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। যদিও বিশ্বজিৎ দাবি করেছেন, সেই টাকার বেশিরভাগটাই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।


ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.