কলকাতা, 27 এপ্রিল : ভয়ঙ্কর সমস্যায় রয়েছেন ট্রাক ড্রাইভাররা। দীর্ঘ লকডাউনের জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে অন্য রাজ্য থেকে আসা বড় লরি এবং ট্রাকের খালাসি এবং চালকদের। এক মাস পর এখনও রাজ্যের বিভিন্ন জাতীয় সড়কের উপরে দুধারে বড় বড় ট্রাকের সারি। বিভিন্ন রাজ্য থেকে গাড়ি এসে আটকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খাদ্যদ্রব্যবাহী এবং পণ্যবাহী বহু ট্রাক আটকে রয়েছে। এর ফলে খাদ্যের গুণগত মান কমে যেতে পারে লকডাউনে আটকে পড়া গাড়ির ভেতরে থাকা সামগ্রীর। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্সের জেলা সংগঠনগুলি।
সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় আশঙ্কা, বিভিন্ন রাজ্যের গাড়ি এসে আটকে রয়েছে এ রাজ্যে। গাড়িগুলির চালক এবং খালাসি নিয়মিত খাবার পাচ্ছেন না। প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন," রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, গাড়ি গুলির মালিক, চালক এবং খালাসিদের খাবারের ব্যবস্থা করা হোক। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেনে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ছুটে চলেছে বড় বড় ট্রাক গুলি। এই অবস্থায় ট্রাক মালিকদের পাশে সরকারের দাঁড়ানো উচিত" ।
এই মুহূর্তে প্রায় কয়েক হাজার বড় বড় ট্রাক এবং লরি দাঁড়িয়ে রয়েছে জাতীয় সড়কের দুপাশে। সিংহভাগ গাড়িগুলোতে চাল, ডাল, তেল, নুন খাদ্যদ্রব্য সহ গরুর খাবার খড়, ভুষি, নুন এবং গুড় রয়েছে। অধিকাংশ গাড়ি ঋণ করে কিস্তির মাধ্যমে কেনা হয়েছে। গাড়ি গুলির ঋণ মুক্তি হয়নি। সরকারের কাছে ট্রাক মালিকদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে, আগামী তিন মাসের ঋণের কিস্তি মকুব করা হোক। গাড়ি গুলির মধ্যে যে খাদ্যদ্রব্য রয়েছে সেগুলিতে পোকা ধরতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ট্রাকের ড্রাইভার এবং খালাসিরা।
দীর্ঘদিন লকডাউনের জেরে জাতীয় সড়কের উপর গাড়ি গুলি আটকে থাকলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে খাদ্যদ্রব্যগুলি। ফেডারেশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বেশ কয়েকদিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা হুগলি জেলার জাতীয় সড়কের ওপর গাড়ি গুলির চালক, খালাসি এবং মালিকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাল, ডাল, আলু, সবজি এবং মশলা দেওয়া হচ্ছে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি গুলির চালকদের।
বিশেষ করে হুগলি ডানকুনির আশেপাশে যে সমস্ত গাড়ি রয়েছে সেগুলিকে পর্যাপ্ত ত্রাণ বন্টন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, পরিবহন ব্যবসায় যুক্ত হাজার হাজার মানুষ আজ অসহায় । নেপাল এবং বাংলাদেশে এ রাজ্যের 61 জন চালক খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছেন। লকডাউনের জেরে জাতীয় সড়কের দু'পাশে খাবারের দোকান এবং ধাবা বন্ধ থাকায় ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়েছেন চালক এবং খালাসিরা ৷