কলকাতা, 23 জুলাই : সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বড়সড় রদবদল তৃণমূলে । তৈরি করা হয়েছে তৃণমূলের নতুন রাজ্য সমন্বয় কমিটি । বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের ঘুঁটি সাজিয়ে নিতে সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো পোড় খাওয়া নেতাদের রাখা হয়েছে রাজ্য সমন্বয় কমিটিতে । পাশাপাশি 40 জনের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে রয়েছেন ছত্রধর মাহাত।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কে কে জায়গা করে নিলেন রাজ্য সমন্বয় কমিটিতে...
- সুব্রত বক্সি
- পার্থ চট্টোপাধ্যায়
- সুব্রত মুখোপাধ্যায়
- কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
- শুভেন্দু অধিকারী
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
- সাধন পাণ্ডে
- ফিরহাদ হাকিম
- অরূপ বিশ্বাস
- গৌতম দেব
- কাকলি ঘোষ দস্তিদার
- শান্তা ছেত্রী
- অর্পিতা ঘোষ
- নাদিমুল হক
- হিতেন বর্মণ
- মমতা ঠাকুর
- মৃগাঙ্ক মাহাত
- বিবেক গুপ্ত
- দেবু টুডু
- সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
- ডেরেক ও' ব্রায়েন
তৃণমূল রাজ্য সমন্বয় কমিটির এই 21 জন সদস্যের মধ্যে সাতজনকে বেছে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্টিয়ারিং কমিটি । এই স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও শান্তা ছেত্রী ।
পাশাপাশি ঘোষণা করা হয়েছে নতুন রাজ্য কমিটিও । রাজ্য কমিটির সভাপতি থাকছেন সুব্রত বক্সি । সহসভাপতি হিসেবে থাকছেন অমিত মিত্র, শিশির অধিকারী, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌগত রায়, দিনেশ ত্রিবেদী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, আবদুল করিম চৌধুরি, পূর্ণেন্দু বসু, রবি ঘোষ, সুনীল মণ্ডল, জাভেদ খান, সুকুমার হাঁসদা, চূড়ামণি মাহাত, অসীমা পাত্র, শংকর সিং, তাপস রায়, তপন দাশগুপ্ত ।
দলের রাজ্য কমিটির মহাসচিব থাকছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকছেন- ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী, অরূপ বিশ্বাস, জ্যোৎস্না মান্ডি, প্রতিমা মণ্ডল, বিবেক গুপ্ত, শীলভদ্র দত্ত ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় । সম্পাদক হিসেবে থাকছেন, নীহাররঞ্জন ঘোষ, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, স্মিতা বক্সি, ছত্রধর মাহাত, দীপ্তাংশু চৌধুরি, ডি শিবদাস, সৌরভ চক্রবর্তী, স্বপন বেথোরিয়া ও জয়া দত্ত । দলের সাংস্কৃতিক কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে ইন্দ্রনীল সেনকে ও আহ্বায়ক করা হয়েছে দেবজিৎ বসুকে ।
শুধুমাত্র রাজ্য কমিটিতেই নয়, জেলাস্তরেও একাধিক রদবদল ঘটালেন তৃণমূল সুপ্রিমো । বদলানো হয়েছে একাধিক জেলা সভাপতিকে । জেলাস্তরে তারুণ্যের উপরেই ভরসা রেখেছেন তিনি । বাঁকুড়া জেলা সভাপতি হলেন শ্যামল সাঁতরা । নদিয়া জেলায় গৌরিশংকর দত্তকে সরিয়ে সভাপতি পদে আনা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে । অরূপ রায়কে সরিয়ে দিয়ে হাওড়া জেলা সভাপতি করা হয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে । হাওড়া (গ্রামীণ) সভাপতি হলেন পুলক রায় । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে গৌতম দাসকে । কোচবিহার জেলা সভাপতি হলেন পার্থ প্রতিম রায় ।
পাশাপাশি, তুলে দেওয়া হয়েছে জেলা পর্যবেক্ষক পদ । এবার থেকে জেলাগুলিতে আর কোনও দলীয় পর্যবেক্ষক থাকবেন না । শুধুমাত্র সভাপতিরাই দলের সাংগঠনিক কাজ চালাবেন । রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাতজন কো-অর্ডিনেটর রাখা হয়েছে ।
শুধুমাত্র তৃণমূলেই নয়, তৃণমূল যুবর রাজ্যস্তরেও করা হয়েছে একাধিক রদবদল । তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সহ-সভাপতি পদে থাকছেন- সোহম চক্রবর্তী, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবনাথ হাঁসদা, সুপ্রকাশ গিরি, অর্পণ সাহা । সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকছেন- সম্রাট তপাদার, শান্তনু কোনার, আমিরুল ইসলাম, হাসানউজ্জামান, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় মিশ্র, রাজীব ঘোষাল, ববিতা দাস, মতিলাল কুজুর, সৌম্য বক্সি, সুরজিৎ মিত্র, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও শক্তি প্রতাপ সিং । অন্যদিকে তৃণমূল যুবর সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে পূজা পাঁজা, অভিজিৎ কর্মকার, অভীক মজুমদার, সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ বসু, চন্দ্রনাথ সাহানা ও সাগ্নিক দাসকে ।