কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর : সপ্তাহ শুরুর দিনেই মুষলধারে বৃষ্টিতে নাজেহাল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ (Kolkata Traffic Police) ৷ লালবাজার (Lal Bazar) সূত্রে খবর, রাতভর বৃষ্টিতে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই জল জমে যায় ৷ অথচ সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন হওয়ায় জল ভেঙেই গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন মানুষ ৷ ছোট গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পড়েন তাঁদের অনেকেই ৷ ইঞ্জিনে জল ঢুকে যাওয়ায় নানা জায়গায় গাড়ি বিকল হয়ে যায় ৷ ফলে জমা জলেই বাড়তে থাকে গাড়ির লাইন ৷ যানজটে আটকে ভোগান্তি বাড়ে আমজনতার ৷
আরও পড়ুন : Waterlogging in Kolkata : রাত থেকে চলছে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, জলের তলায় মহানগরী, বিপর্যস্ত জনজীবন
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের হাতে আসা তথ্য বলছে, দক্ষিণ কলকাতার তারাতলা রোড, হাইড রোড, বেহালা চৌরাস্তা, টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো, যাদবপুর গড়ফা, অভিষিক্তা মোড় এবং উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার, গিরীশ পার্ক, শোভাবাজার-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে যায় ৷ বেলা যত বেড়েছে, পরিস্থিতি ততই খারাপ হয়েছে ৷ জমা জল যাতে দ্রুত যাতে নামানো সম্ভব হয়, তার জন্য রাস্তায় নেমে কাজ শুরু করেন কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) কর্মীরা ৷ তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজে নামে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশও ৷ দ্রুত যানচলাচল স্বাভাবিক করতে শুরু হয় তৎপরতা ৷ তবে তাতেও বেলা অবধি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ৷ জমা জলে ট্রাফিকের গতি ছিল মন্থর ৷
আরও পড়ুন : Weather Report : রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা, বাড়বে বৃষ্টি
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকাল থেকেই লালবাজার কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জল জমা নিয়ে অভিযোগ আসতে শুরু করে শহরবাসীর তরফে ৷ লালবাজার থেকে সরাসরি সেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয় পৌরনিগমে ৷ এদিন সকাল থেকেই কলকাতা পুলিশের লালবাজারের কন্ট্রোল রুমের হাল-হকিকত সরাসরি পর্ষবেক্ষণ করেন নগরপাল সৌমেন মিত্র ৷ কলকাতায় যান নিয়ন্ত্রণের অভ্যন্তরীণ দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার দু’জন আধিকারিক ৷ উপরন্তু, এদিন শহরের মোট 25টি ট্রাফিক গার্ডের ওসিদেরও বিশেষভাবে সতর্ক করা হয় ৷ তাঁদের বলা হয়, ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য তাঁরা যেন রাস্তায় থাকেন ৷ পাশাপাশি, শহরের রাজপথে জমা জলে ট্রাফিক ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করছে, তা তদারকি করতে অতিরিক্ত সংখ্যায় সার্জেন্টদেরও এদিন রাস্তায় মোতায়েন করা হয় ৷