অন্ডাল, 31 মে : অন্ডালের উখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে সন্ন্যাসীতলা সরকারি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র । স্বাস্থ্যকর্মী তিন জন । 24X7 পরিষেবা দেওয়ার জন্য উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরেই তৈরি করা হয়েছে আবাসন । কিন্তু এখন তা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের দখলে । এলাকাবাসীর অভিযোগ, শাসকদলের নেতা হওয়ায় পঞ্চায়েত সদস্য সোমা ব্যানার্জি ও তাঁর স্থামী এই আবাসন দখল করে রেখেছেন ।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ গড়াইয়ের অভিযোগ, "তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে চঞ্চলবাবু (পঞ্চায়েত সদস্য সোমা ব্যানার্জির স্বামী) কয়েক বছর ধরে গায়ের জোর দেখিয়ে সরকারি আবাসনটি দখল করে রেখেছেন । এমন কী উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঢোকার মুখে নিজের গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখেন তিনি । ফলে প্রসূতিরা সমস্যায় পড়েন । শুধু এই নয়, প্রায়দিনই এখানে চলে পার্টি । আজ আমরা বাধ্য হয়ে দুর্গাপুর মহকুমাশাসক ও BDO-কে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি ।"
আবাসন দখল করে রাখার অভিযোগ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী পাপিয়া কর্মকার জানান, সমস্যার ব্যাপারে মৌখিকভাবে তাঁরা সুপারভাইজ়ারকে জানিয়েছেন । তাতে কোনও কাজ হয়নি । বিষয়টি নিয়ে সুপারভাইজ়ার শান্তি দত্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জেনেও না জানার ভান করেন । বলেন, "সমস্যা তো আছেই । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে ।" এব্যাপারে উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিতা ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সম্পূর্ণ বিষয়টি তার নজরে এসেছে ও তিনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন । কিন্তু এখন এলাকাবাসীর প্রশ্ন, এত বড় একটি ঘটনা । সরকারি আবাসন দখল করার মতো বিষয়, সেখানে সুপারভাইজ়ার কেন বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন ? তিনি কেন লিখিতভাবে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেন না ।
এই সমস্ত বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত চঞ্চল ব্যানার্জি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর বসত বাড়িটি ভেঙে গেছে সেটি মেরামতের কাজ চলছে । তাই মাস দুয়েক তিনি এই আবাসনে আছেন । কাজ শেষ হলে চলে যাবেন । আর তিনি বহুদিন এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও আবাসনের কেয়ারটেকার তাই এখানে থাকছেন । কিন্তু স্থানীয়দের প্রশ্ন , কারও বাড়ির সমস্যা থাকলে কি সরকারি জায়গা দখল করে সেখানে বসবাস করা যায়? সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করা যায় ?