ETV Bharat / city

দমদমে তৃণমূল নেতার রহস্যমৃত্যু - councilor

দমদমে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যু । তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর সুপ্রিয়া কুণ্ডুর স্বামী । মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ ।

নির্মল কুণ্ডু
author img

By

Published : Jul 2, 2019, 1:20 PM IST

Updated : Jul 2, 2019, 1:32 PM IST

দমদম, 2 জুলাই : দমদমে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যু । তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর সুপ্রিয়া কুণ্ডুর স্বামী । মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ । ঘটনার তদন্তে নেমেছে দমদম থানা । যদিও পরিবারের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার জেরে ও দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন নির্মলবাবু ।

দমদম পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডের কমলাপুর বাসিন্দা নির্মলপুরে মর্নিংওয়াকে গেছিলেন । সেখান থেকে ফিরে রোজকার মতো দোকান থেকে চা খেয়ে বাড়ি ফেরেন । যদিও, ঘরে না ঢুকে গতকাল তিনি বাড়ির তলার দোকানে ঢুকেছিলেন । সেখানেই শাটার খুলে জামা কাপড় ছেড়ে বসতে তাঁকে বসতে দেখেছিলেন অনেকে । পরে সেখান থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । সেই সময় তাঁর পরনে ছিল হাফ প্যান্ট । দমদম থানার পুলিশ গতকাল দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।

নির্মলবাবুর ছোটো ভাই পানু কুণ্ডু এবিষয়ে জানান, তাঁর দাদা কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন । একদিকে শারীরিক অসুস্থতা অন্যদিকে প্রবল রাজনৈতিক চাপ তাঁকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলছিল । নির্মলবাবু না কি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি এবং BJP-র উত্থান কিছুতেই তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না । যাদের হাতে ধরে দলে গেছিলেন তাঁরাই BJP-তে যোগদান করায় প্রচন্ড মর্মাহত হয়েছিলেন । পানুবাবু বলেন, " রবিবার ভারত- ইংল্যান্ড ম্যাচ একসাথে দেখেছিলাম । সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল । দেখে বুঝতেই পারিনি পরের দিন দাদা এই ধরনের কাণ্ড ঘটাবে ।"

যদিও, প্রাথমিক তদন্তের পর লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবিতে মর্মাহত হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার তত্ত্ব মানতে নারাজ দমদম থানার পুলিশ । তদন্তে পুলিশকে কয়েকটি প্রশ্ন ভাবাচ্ছে । যেমন- নির্মলবাবুর বাবা ননীগোপাল কুণ্ডু কংগ্রেস করতেন । তিনি দমদম পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান ছিলেন । রাজনৈতিক পরিবারে বড় হওয়ায় নির্মলবাবুর 1991 সালে কংগ্রেস ঘরানার রাজনীতিতে প্রবেশ । 1998 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে প্রবেশ । তারপর দু'বার দমদম পৌরসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন । জিততে পারেননি । শেষবার তিনি নিজে প্রার্থী না হয়ে তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া কুণ্ডুকে প্রার্থী করেন । সুপ্রিয়া কুণ্ডু জয়ী হন । ফলে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার জয়-পরাজয় প্রত্যক্ষ করেছেন নির্মলবাবু । দলের ভরাডুবি তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার কারণ এই তত্ত্ব সহজ ঠেকছে না তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের কাছে । এর পেছনে আদতে কোন সমীকরণ লুকিয়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

দমদম, 2 জুলাই : দমদমে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যু । তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর সুপ্রিয়া কুণ্ডুর স্বামী । মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ । ঘটনার তদন্তে নেমেছে দমদম থানা । যদিও পরিবারের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার জেরে ও দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন নির্মলবাবু ।

দমদম পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডের কমলাপুর বাসিন্দা নির্মলপুরে মর্নিংওয়াকে গেছিলেন । সেখান থেকে ফিরে রোজকার মতো দোকান থেকে চা খেয়ে বাড়ি ফেরেন । যদিও, ঘরে না ঢুকে গতকাল তিনি বাড়ির তলার দোকানে ঢুকেছিলেন । সেখানেই শাটার খুলে জামা কাপড় ছেড়ে বসতে তাঁকে বসতে দেখেছিলেন অনেকে । পরে সেখান থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । সেই সময় তাঁর পরনে ছিল হাফ প্যান্ট । দমদম থানার পুলিশ গতকাল দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।

নির্মলবাবুর ছোটো ভাই পানু কুণ্ডু এবিষয়ে জানান, তাঁর দাদা কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন । একদিকে শারীরিক অসুস্থতা অন্যদিকে প্রবল রাজনৈতিক চাপ তাঁকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলছিল । নির্মলবাবু না কি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি এবং BJP-র উত্থান কিছুতেই তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না । যাদের হাতে ধরে দলে গেছিলেন তাঁরাই BJP-তে যোগদান করায় প্রচন্ড মর্মাহত হয়েছিলেন । পানুবাবু বলেন, " রবিবার ভারত- ইংল্যান্ড ম্যাচ একসাথে দেখেছিলাম । সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল । দেখে বুঝতেই পারিনি পরের দিন দাদা এই ধরনের কাণ্ড ঘটাবে ।"

যদিও, প্রাথমিক তদন্তের পর লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবিতে মর্মাহত হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার তত্ত্ব মানতে নারাজ দমদম থানার পুলিশ । তদন্তে পুলিশকে কয়েকটি প্রশ্ন ভাবাচ্ছে । যেমন- নির্মলবাবুর বাবা ননীগোপাল কুণ্ডু কংগ্রেস করতেন । তিনি দমদম পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান ছিলেন । রাজনৈতিক পরিবারে বড় হওয়ায় নির্মলবাবুর 1991 সালে কংগ্রেস ঘরানার রাজনীতিতে প্রবেশ । 1998 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে প্রবেশ । তারপর দু'বার দমদম পৌরসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন । জিততে পারেননি । শেষবার তিনি নিজে প্রার্থী না হয়ে তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া কুণ্ডুকে প্রার্থী করেন । সুপ্রিয়া কুণ্ডু জয়ী হন । ফলে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার জয়-পরাজয় প্রত্যক্ষ করেছেন নির্মলবাবু । দলের ভরাডুবি তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার কারণ এই তত্ত্ব সহজ ঠেকছে না তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের কাছে । এর পেছনে আদতে কোন সমীকরণ লুকিয়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

Intro: দমদম ১ জুলাই: দমদমে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও স্থানীয় কাউন্সিলর সুপ্রিয়া কুন্ডুর স্বামী নির্মল কুন্ডুর রহস্য মৃত্যুর ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল সোমবার। মৃত্যুর কারণ ফিরে আসা তৈরী হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দমদম থানার পুলিশ। পরিবারের দাবি শারীরিক অসুস্থতার জেরে ও রাজনৈতিক চাপে আত্মঘাতী হয়েছেন নির্মল বাবু।

জানা গিয়েছে নির্মল বাবু দমদম পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কমলাপুর বাসিন্দা ছিলেন। আজ সকালে মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলে নির্মল বাবু। মর্নিং ওয়াক থেকে ফিরে এসে বাড়ির অদূরে একটি চায়ের দোকানে চা খান তিনি। এরপর নিজের বাড়ির তলায় অবস্থিত দোকানে গিয়ে শাটার তুলে কিছুক্ষণ সময় কাটান। তিনি পরনের জামা কাপড় খুলে একটি টেবিলে রাখেন। এর পরেই হাফ প্যান্ট পরা অবস্থায় তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দমদম থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

নির্মল কুন্ডুর ছোট ভাই পানু কুন্ডু জানান তার দাদা বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। একদিকে শারীরিক অসুস্থতা অন্যদিকে প্রবল রাজনৈতিক চাপ তাকে মানসিক ভাবেও অসুস্থ করে তুলছিল। তিনি নির্মল কুন্ডু তার ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি এবং বিজেপির উত্থান কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। তিনি যাদের হাতে ধরে দলে ছিলেন তারা বিজেপিতে যোগদান করায় প্রচন্ড মর্মাহত হয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, " গতকাল রাতে ভারত বনাম ইংল্যান্ড ক্রিকেট ম্যাচ একসাথে দেখেছিলাম। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। দেখে বুঝতেই পারিনি পরের দিন দাদা এই ধরনের কান্ড ঘটাবে"।

Body:প্রাথমিক তদন্তে লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবিতে মর্মাহত হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার তত্ত্ব মানতে নারাজ দমদম থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে নির্মল কুন্ডুর বাবা ননীগোপাল কুন্ডু কংগ্রেস করতেন। তিনি দমদম পুরসভার উপ পৌরপ্রধান ছিলেন। রাজনৈতিক পরিবারে বড় হওয়া নির্মল বাবুর ১৯৯১ সালে কংগ্রেস ঘরানার রাজনীতিতে প্রবেশ। ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে প্রবেশ। তারপর দুবার দমদম পৌরসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। জিততে পারেননি। শেষবার তিনি নিজে প্রার্থী না হয় তার স্ত্রী কে সুপ্রিয়া কুন্ডু কে প্রার্থী করেন। জয়ী হন সুপ্রিয়া দেবী। ফলে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার জয় প্রত্যক্ষ করেছেন নির্মল বাবু। ফলে দলের ভরাডুবি তার আত্মঘাতী হওয়ার কারণ এই তত্ত্ব সহজ ঠেকছে না তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের কাছে। এর পেছনে কি অন্য কোন সমীকরণ রয়েছে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Conclusion:দলের পুরোনো দিনের নেতার মৃত্যু অথচ তার বাড়িতে নেতাদের ঢল দেখা যায়নি। কেউ কেউ ফোন অবশ্য শোক প্রকাশ করেছেন। অথচ দক্ষিণ দমদম পুরসভায় কাউন্সিলর সঞ্চিতা দত্ত একই ভাবে যখন মারা যান তখন নেতাদের ঢল দেখা গিয়েছিল বাড়ি ও হাসপাতালে। অথচ যিনি দলকে এত ভালোবাসতেন বলে দাবি করা হচ্ছে তিনি নীরবে চলে গেলেন।
Last Updated : Jul 2, 2019, 1:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.