কলকাতা, 24 জুলাই: উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই (TMC has no link with Cash recovery)। এই টাকা কোথা থেকে এসেছে অভিযুক্তরাই বলতে পারবেন । পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি-কাণ্ডে আবারও দলের এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh on Cash Recovery)। তিনি ফের জানান, আদালত যদি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত কারওকে দোষী সাব্যস্ত করে, তাহলে দল সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে । কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, কেন সিবিআই বা ইডি শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যায় না ?
গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনের পর এ দিন ফের সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে কার্যত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন । অনেকেরই অভিযোগ, সাধারণত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একটু একটু করে এগিয়ে বছরের পর বছর তদন্ত ফেলে রাখে আর রাজনৈতিক দলকে কালিমালিপ্ত করে । কুণাল ঘোষের দাবি, দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ করতে হবে । এক-দু মাসের মধ্যেই দোষী কারা খুঁজে বের করুন । আর যদি এমনটা হয় সে ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসও দলীয় ভাবে নিজেদের কাজ করতে পারবে ।
এ দিন আরও একবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন কোনও ভাবেই দল এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয় । যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিগত ভাবে দায় নিতে হবে তাঁদেরই । বিরোধীদের তরফ থেকে সামগ্রিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে ৷ এর কড়া নিন্দা করে কুণাল বলেন, বিরোধীদের কোনও ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের নিন্দা করা সাজে না । প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ রয়েছে দুর্নীতির ৷ অতএব তাঁদের মুখে এ সব কথা মানায় না ।
আরও পড়ুন: "ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই", সাফাই কুণালের
এ দিন আরও একবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ । বরং তাঁর দাবি, নোট বাতিলের পর এত বিপুল টাকা একজনের বাড়িতে কীভাবে এল, তার তদন্ত হওয়া দরকার । কিন্তু তদন্ত তো অনন্তকাল চলতে পারে না । ইডির কাছে তাঁর দাবি, একমাস বা দু'মাসের মধ্যে এই তদন্ত শেষ হোক । আদালতে চার্জশিট পেশ করে কারা দোষী, তা দ্রুত প্রমাণিত হোক । দলের তরফেও বলা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদিও সত্যিই দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে দল যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেবে ।
একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবিতেও সরব হয়েছেন তিনি । কুণাল ঘোষের কথায়, একই দুর্নীতি মামলায় তদন্তের জন্য ফিরহাদ হাকিমকে সিবিআই গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে কোনও তদন্তের মুখেই পড়তে হচ্ছে না । এর চেয়ে বড় দ্বিচারিতা কিছু হতে পারে না ।
শিল্পমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে ইডি 21 কোটি টাকা উদ্ধার করার পর এই নিয়ে দলের দায় ঝেড়ে ফেলে শনিবারই একটি টুইটও করেছিলেন কুণাল ঘোষ ৷ সেখানে তিনি লিখেছিলেন, "ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই । এই তদন্তে যাদের নাম আসছে, এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের । কেন দলের নাম জড়িয়ে প্রচার চলছে, দল নজর রাখছে । যথাসময়ে বক্তব্য জানাবে ।"