কলকাতা, 11 অক্টোবর : পুজো মণ্ডপে ঘুরতে গিয়ে বাঙালির মার্কসবাদী সাহিত্য নেড়েচেড়ে দেখার অভ্যাস দীর্ঘদিনের ৷ জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে তাদের প্রকাশনা সংস্থাগুলিকে হাতিয়ার করেছে বামেরা ৷ আর সেই কারণেই দুর্গাপুজোর মতো কোনও সনাতনী ধারণা বা উৎসবের সঙ্গে বামেদের সরাসরি কোনও সম্পর্ক না থাকলেও মণ্ডপের বাইরে বইয়ের স্টল সাজিয়ে বসাটা কার্যত তাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে ৷ বামেদের এই ধারাই এবার দক্ষিণপন্থী রাজনীতির অঙ্গনে নিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাই, এবার পুজোয় ঠাকুর দেখার পাশাপাশি চাইলে হাতের নাগালে আপনি পেতেই পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) লেখা বিভিন্ন বই ৷
বিভিন্ন পুজা মণ্ডপে তৃণমূলের বুক স্টল কীভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তৃণমূল সেবাদলের এক সদস্য জানান, প্রত্যেক বছরই ছোট আকারে কিছু বুক স্টল করা হয় ৷ গতবছর করোনার কারণে যেহেতু সাধারণ মানুষ মণ্ডপে গিয়ে পুজো দেখতে পারেনি, তাই বুক স্টলও বন্ধ ছিল। এবছর পরিস্থিতি একটু একটু করে বদলাতে শুরু করেছে ৷ সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটাই কম ৷ তাই জনসংযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে উৎসবের মরশুমে আবার রাজপথে থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইয়ের স্টল ৷ পাশাপাশি সেখানে রাজ্য সরকারি বিভিন্ন কাজের সাফল্যের খতিয়ানও থাকবে ৷
আরও পড়ুন : Diamond Harbour Netaji Sangha : রজত জয়ন্তীতে ডায়মণ্ড হারবারের নেতাজী সংঘের চমক 'ত্রিগুণাত্নিকা'
এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তাপস রায়ের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সুখে, দুঃখে, উৎসবে, আনন্দে, এমনকী শ্মশানঘাটেও মানুষের সঙ্গে থাকি ৷ তাই এই উদ্যোগকে আলাদা করে জনসংযোগ বলে আমরা দেখতে চাই না ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেসের রোল মডেল, তাই তাঁর সমস্ত লেখা আমাদের কর্মী ও সমর্থকদের কাছে সম্পদ ৷ আমরা চাই এগুলি আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাক ৷ আমজনতা জানুক, কী লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে ৷ সে কারণেই উৎসবের মরশুমে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে এই বইগুলি মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷’’