ETV Bharat / city

Jyoti Basu: জ্যোতি বসুর জন্মদিনেই শুরু তাঁর নামাঙ্কিত গবেষণাগারের কাজ - Bengal Minister Firhad Hakim

বাম জমানায় জ্যোতি বসুর (Jyoti Basu) নামে একটি গবেষণাগার তৈরি করার পরিকল্পনা করে সিপিএম (CPIM) ৷ তৈরি হয় ট্রাস্ট ৷ জমি নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে আজ জ্য়োতি বসুর জন্মদিনে শুরু হল তাঁর নামাঙ্কিত ট্রাস্টের কাজ ৷

The work of research institute named after Jyoti Basu starts on the patriarch's birthday
Jyoti Basu: জ্যোতি বসুর জন্মদিনেই শুরু তাঁর নামাঙ্কিত গবেষণাগারের কাজ
author img

By

Published : Jul 8, 2022, 5:20 PM IST

কলকাতা, 8 জুলাই : জ্যোতি বসুর (Jyoti Basu) নামে গবেষণাগার তৈরি করতে চায় সিপিএম ৷ পরিকল্পনা আজকের নয় ৷ বাম জমানাতেই এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়েছিল ৷ নানা টালবাহানায় তা এখনও তৈরি করা সম্ভব হয়নি ৷

আজ, 8 জুলাই৷ বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর জন্মদিন (Birthday of Jyoti Basu) ৷ সেই দিনই আবার স্বাভাবিকভাবেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সেই বিষয়টি ৷ সিপিএমের (CPIM) নেতা-কর্মীদের কাছে জ্যোতি বসুর আলাদা জায়গা রয়েছে ৷ তাই তাঁরা বারবার জানতে চান যে কবে তৈরি হবে এই গবেষণাগার ৷

সিপিএম নেতা রবীন দেব জানালেন, এর জন্য প্রচুর খরচ । গণসংগ্রহ শুরু করে দেওয়া হয়েছে বহুদিন ধরেই । ধাপে ধাপে হবে কাজ। টাকা যেমন আসবে কাজ এগোবে ।

জ্যোতি বসুর নামে এই গবেষণাগার তৈরি করতে একটি ট্রাস্ট গঠন করেছিল সিপিএম ৷ যার নাম, জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ৷ ওই ট্রাস্টই এই কাজ করবে ৷ ট্রাস্টের সম্পাদক রবীন দেব ৷ তিনি শুধু ওই গবেষণাগার নিয়ে এদিন আশার কথা শোনাননি ৷ বরং জানা গিয়েছে যে ওই গবেষণাগার তৈরির জন্য বরাদ্দ জমিতে শুক্রবার শুরু হল সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ ৷ যেহেতু আজ জ্যোতি বসুর জন্মদিন, সেই কারণেই এদিনই সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু হল বলে জানা গিয়েছে ৷

The work of research institute named after Jyoti Basu starts on the patriarch's birthday
জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণাগার

বাম জমানা শেষ হওয়ার পর 11 বছর কেটে গিয়েছে ৷ তার পরও কেন তৈরি করা গেল না এই গবেষণাগার ? শোনা যাচ্ছে যে মূলত জমি সংক্রান্ত সমস্যার জেরেই এত টালবাহানা হয়েছে ৷ সিপিএম সূত্রে খবর, যে সময় ট্রাস্ট করা হয়, তখন আবাসন মন্ত্রী গৌতম দেব ৷ তাঁর কাছে জমির জন্য আবেদন করা হয় । 2011 সালের 12 মে জমির সমস্ত টাকা মেটানো হয় তৎকালীন সরকারকে । সেই সময় এই জমির দাম ছিল 4 কোটি 15 লক্ষ টাকা । 5 একর জমি দেওয়া ট্রাস্টকে ।

ট্রাস্টের সম্পাদক সিপিএম নেতা রবীন দেবের দাবি, জমির দাম দেওয়ার পর পরই রাজ্যে পালাবদল হয় । তার পর থেকে সরকার ওই জমির ট্রাস্টের হাতে তুলে দিতে টালবাহানা শুরু করে । ট্রাস্টের তরফে বারবার আবেদন করা হয় । এক সময় রাজ্যের সরকার জানিয়ে দেয় যে ওই জমি দেওয়া যাবে না । হিডকোর তরফে এক আমলা বলে বিকল্প জমি নিন । তিনি আরও জানান, এর পরে বেশ কয়েকটি প্লট দেখানো হয় সরকারি তরফে । কয়েকটা দেখার পর ট্রাস্টের তরফে পুরনো জমিতেই গবেষণাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ তা সরকারকে জানানো হয়৷ তার পরও বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি বহুদিন ৷

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, 2014 বামফ্রন্টের তরফে বিভিন্ন দাবি নিয়ে নবান্নে যান বিমান বসুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল । সেখানে আলোচনার ফাঁকে এই বিষয়টি বলা হয় । তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal CM Mamata Banerjee) আশ্বাস দেন যে দেখা হবে । অভিযোগ, তার পর আর দেখেননি । 2012-2019 সালে টানা 8 বছর জমি পেতে লড়াই চালাতে হয় ট্রাস্টের কর্মকর্তাদের । 2019 থেকে লাগাতার চিঠি দেওয়া হলে ফের সরকার পক্ষ আলোচনায় বসে । মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Bengal Minister Firhad Hakim) নেতৃত্বে বৈঠকে টালবাহানার ইতি হয় । জমির হস্তান্তর হয় । নতুন করে হিডকো বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই জমি হস্তান্তর করে । রেজিস্ট্রেশন খরচ 6 লক্ষ টাকা মুকুব করে দেওয়া হয় সরকারের তরফে ।

2020 সালে জমি নিয়ে এলাকা জুড়ে বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মীরা গাছ লাগান । আজ থেকে সীমানা তৈরির কাজ শুরু হল । চারা গাছ বিতরণ হবে বলেও জানা গিয়েছে ।

রবীন দেব বলেন, ‘‘গোটা দেশে এমনকি বিদেশেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের কাছে জ্যোতি বসু একটি ব্যাপার । সর্বত্র তাঁর নামে গবেষণাকেন্দ্র নির্মাণের জমি দেওয়া নিয়ে সরকারি টালবাহানা ঠিক হয়নি । আমরাও মাথানত করিনি । লড়াই করে হকের জমি নিয়েছি । জনগণের আর্থিক সাহায্যেই জননেতা জ্যোতি বসু গবেষণা কেন্দ্রে মাথা তুলবে ।’’

কিন্তু সেই গবেষণা কেন্দ্রে কী থাকবে ? জানা গিয়েছে, মূল কাজ জ্যোতি বসু সংগ্রহশালা তৈরি, কনভেনশন সেন্টার, সেমিনার হল, প্রেক্ষাগৃহ, মুক্ত মঞ্চ থাকবে । প্রযুক্তি চর্চা, পরিবেশ, স্বাস্থ্য চর্চা । ডিজিটাল লাইব্রেরি থাকছে । পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়েই সবুজে ঘেরা হবে এই সেন্টার । থাকবে জলাশয় । আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হবে । বামপন্থী মনোভাবাপন্ন প্রযুক্তিবিদরায় করবেন এর নকশা । নির্মাণ সামগ্রীও দান করতে পারেন মানুষ এমন আবেদন রেখেছে ট্রাস্ট । 20232 বর্গ মিটার জুড়ে সীমানা । জলাশয় রক্ষা করা হবে ।

আরও পড়ুন : শূন্য অলিন্দে আজও তিনি দুর্গ আগলে

কলকাতা, 8 জুলাই : জ্যোতি বসুর (Jyoti Basu) নামে গবেষণাগার তৈরি করতে চায় সিপিএম ৷ পরিকল্পনা আজকের নয় ৷ বাম জমানাতেই এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়েছিল ৷ নানা টালবাহানায় তা এখনও তৈরি করা সম্ভব হয়নি ৷

আজ, 8 জুলাই৷ বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর জন্মদিন (Birthday of Jyoti Basu) ৷ সেই দিনই আবার স্বাভাবিকভাবেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সেই বিষয়টি ৷ সিপিএমের (CPIM) নেতা-কর্মীদের কাছে জ্যোতি বসুর আলাদা জায়গা রয়েছে ৷ তাই তাঁরা বারবার জানতে চান যে কবে তৈরি হবে এই গবেষণাগার ৷

সিপিএম নেতা রবীন দেব জানালেন, এর জন্য প্রচুর খরচ । গণসংগ্রহ শুরু করে দেওয়া হয়েছে বহুদিন ধরেই । ধাপে ধাপে হবে কাজ। টাকা যেমন আসবে কাজ এগোবে ।

জ্যোতি বসুর নামে এই গবেষণাগার তৈরি করতে একটি ট্রাস্ট গঠন করেছিল সিপিএম ৷ যার নাম, জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ৷ ওই ট্রাস্টই এই কাজ করবে ৷ ট্রাস্টের সম্পাদক রবীন দেব ৷ তিনি শুধু ওই গবেষণাগার নিয়ে এদিন আশার কথা শোনাননি ৷ বরং জানা গিয়েছে যে ওই গবেষণাগার তৈরির জন্য বরাদ্দ জমিতে শুক্রবার শুরু হল সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ ৷ যেহেতু আজ জ্যোতি বসুর জন্মদিন, সেই কারণেই এদিনই সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু হল বলে জানা গিয়েছে ৷

The work of research institute named after Jyoti Basu starts on the patriarch's birthday
জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণাগার

বাম জমানা শেষ হওয়ার পর 11 বছর কেটে গিয়েছে ৷ তার পরও কেন তৈরি করা গেল না এই গবেষণাগার ? শোনা যাচ্ছে যে মূলত জমি সংক্রান্ত সমস্যার জেরেই এত টালবাহানা হয়েছে ৷ সিপিএম সূত্রে খবর, যে সময় ট্রাস্ট করা হয়, তখন আবাসন মন্ত্রী গৌতম দেব ৷ তাঁর কাছে জমির জন্য আবেদন করা হয় । 2011 সালের 12 মে জমির সমস্ত টাকা মেটানো হয় তৎকালীন সরকারকে । সেই সময় এই জমির দাম ছিল 4 কোটি 15 লক্ষ টাকা । 5 একর জমি দেওয়া ট্রাস্টকে ।

ট্রাস্টের সম্পাদক সিপিএম নেতা রবীন দেবের দাবি, জমির দাম দেওয়ার পর পরই রাজ্যে পালাবদল হয় । তার পর থেকে সরকার ওই জমির ট্রাস্টের হাতে তুলে দিতে টালবাহানা শুরু করে । ট্রাস্টের তরফে বারবার আবেদন করা হয় । এক সময় রাজ্যের সরকার জানিয়ে দেয় যে ওই জমি দেওয়া যাবে না । হিডকোর তরফে এক আমলা বলে বিকল্প জমি নিন । তিনি আরও জানান, এর পরে বেশ কয়েকটি প্লট দেখানো হয় সরকারি তরফে । কয়েকটা দেখার পর ট্রাস্টের তরফে পুরনো জমিতেই গবেষণাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ তা সরকারকে জানানো হয়৷ তার পরও বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি বহুদিন ৷

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, 2014 বামফ্রন্টের তরফে বিভিন্ন দাবি নিয়ে নবান্নে যান বিমান বসুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল । সেখানে আলোচনার ফাঁকে এই বিষয়টি বলা হয় । তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal CM Mamata Banerjee) আশ্বাস দেন যে দেখা হবে । অভিযোগ, তার পর আর দেখেননি । 2012-2019 সালে টানা 8 বছর জমি পেতে লড়াই চালাতে হয় ট্রাস্টের কর্মকর্তাদের । 2019 থেকে লাগাতার চিঠি দেওয়া হলে ফের সরকার পক্ষ আলোচনায় বসে । মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Bengal Minister Firhad Hakim) নেতৃত্বে বৈঠকে টালবাহানার ইতি হয় । জমির হস্তান্তর হয় । নতুন করে হিডকো বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই জমি হস্তান্তর করে । রেজিস্ট্রেশন খরচ 6 লক্ষ টাকা মুকুব করে দেওয়া হয় সরকারের তরফে ।

2020 সালে জমি নিয়ে এলাকা জুড়ে বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মীরা গাছ লাগান । আজ থেকে সীমানা তৈরির কাজ শুরু হল । চারা গাছ বিতরণ হবে বলেও জানা গিয়েছে ।

রবীন দেব বলেন, ‘‘গোটা দেশে এমনকি বিদেশেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের কাছে জ্যোতি বসু একটি ব্যাপার । সর্বত্র তাঁর নামে গবেষণাকেন্দ্র নির্মাণের জমি দেওয়া নিয়ে সরকারি টালবাহানা ঠিক হয়নি । আমরাও মাথানত করিনি । লড়াই করে হকের জমি নিয়েছি । জনগণের আর্থিক সাহায্যেই জননেতা জ্যোতি বসু গবেষণা কেন্দ্রে মাথা তুলবে ।’’

কিন্তু সেই গবেষণা কেন্দ্রে কী থাকবে ? জানা গিয়েছে, মূল কাজ জ্যোতি বসু সংগ্রহশালা তৈরি, কনভেনশন সেন্টার, সেমিনার হল, প্রেক্ষাগৃহ, মুক্ত মঞ্চ থাকবে । প্রযুক্তি চর্চা, পরিবেশ, স্বাস্থ্য চর্চা । ডিজিটাল লাইব্রেরি থাকছে । পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়েই সবুজে ঘেরা হবে এই সেন্টার । থাকবে জলাশয় । আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হবে । বামপন্থী মনোভাবাপন্ন প্রযুক্তিবিদরায় করবেন এর নকশা । নির্মাণ সামগ্রীও দান করতে পারেন মানুষ এমন আবেদন রেখেছে ট্রাস্ট । 20232 বর্গ মিটার জুড়ে সীমানা । জলাশয় রক্ষা করা হবে ।

আরও পড়ুন : শূন্য অলিন্দে আজও তিনি দুর্গ আগলে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.