কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি : গত বছর শেষের দিকে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন । আবেদনকারীদের জন্য মিউচুয়াল ট্রান্সফার অর্ডারও বের করা হয়েছিল । কিন্তু অর্ডার হয়ে গেলেও জটের কারণে থমকে ছিল এই প্রক্রিয়া । শেষ পর্যন্ত জট কাটাতে ময়দানে নামে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । গতকাল তাদের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় । স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অথরিটি হিসেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নিয়োগপত্র দিতে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায় ।
জানা গেছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে মিউচুয়াল ট্রান্সফার অর্ডার হয়ে যাওয়ার পরও রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত, পোষিত ও স্পন্সরড স্কুলগুলির বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলি হতে পারছেন না । কারণ বহু জায়গাতেই জেলা পরিদর্শকরা এই বদলির জন্য ছাড়পত্র দিচ্ছিলেন না বলে সূত্রের খবর। কোথাও কোথাও প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ছাড়পত্র দিচ্ছিলেন না । ফলে অর্ডার হয়ে যাওয়ার পরও বদলি হয়ে যাওয়া স্কুলে যোগ দিতে পারছিলেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা ।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরস্বতী পুজোর আগের দিন ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিজের নিজের জেলায় পোস্টিং দেওয়া হবে । মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা কার্যকর করতে বড় ভূমিকা নিতে পারে এই মিউচুয়াল ট্রান্সফার প্রক্রিয়া । কিন্তু, তাতে বাদ সাধছিল প্রক্রিয়াগত ত্রুটি । সেই ত্রুটিগুলিকে দূর করতে স্কুল শিক্ষা দপ্তর যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে বলা হয়েছে, বর্তমান আইন অনুযায়ী, স্কুল সার্ভিস কমিশন দ্বারা বদলির সুপারিশগুলি কার্যকর করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে । সেই প্রেক্ষিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বলা হচ্ছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ম্যাচিং অর্ডার বের করতে যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিউচুয়াল ট্রান্সফার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে স্কুলে পোস্টিং পেয়েছেন সেখানে যোগ দিতে পারেন ।
এছাড়া নির্দেশিকায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে । স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (SMC), অ্যাডহক কমিটি, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার ক্ষেত্রে), হেড মাস্টার বা হেড মিস্ট্রেস বা টিচার ইনচার্জকে (সহকারি শিক্ষক বা লাইব্রেরিয়ান বা অন্য কোনও নন-টিচিং পোস্টের ক্ষেত্রে) নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে যাতে তারা রুলস ফর ম্যানেজমেন্ট অফ নন গভর্নমেন্ট ইন্সটিটিউশন (এডেড অ্যান্ড আন-এডেড) ১৯৬৯-এর সংশোধনী বিধি অনুযায়ী এবং ম্যানেজমেন্ট অফ স্পনসর্ড ইনস্টিটিউশন রুল (সেকেন্ডারি) ১৯৭২-এর বিধি অনুযায়ী জয়েনিং বা রিলিজ দেয় ।