কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: প্রায় 9 ঘণ্টা কেটে গিয়েছে ৷ এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি গার্ডেনরিচের ফুড কর্পোরেশনের গোডাউনের আগুন। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে রাত। তাও টুকরো টুকরো করে আগুন জ্বলছে। ফলে এই পকেট ফায়ারকে নিয়ে চিন্তায় দমকলবাহিনী। রাত হয়ে যাওয়াতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে একাধিক সমস্যা হচ্ছে দমকলের। আগুনের উৎসস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। মোট ২৫টি ইঞ্জিন কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গুদামের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন সকাল 10টা নাগাদ গার্ডেনরিচের তারাতলা রোড এর একটি এফসিআই-এর গোডাউনে আচমকাই আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা গোডাউনের ভিতর। এলাকার বাসিন্দারা প্রথমদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও, মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তাঁরা খবর দেন দমকলে। কিন্তু গার্ডেনরিচ বরাবর গঙ্গার দমকা হাওয়ায় ফলে আগুন মুহূর্তের মধ্যেই গ্রাস করেছে গোটা গুদাম ঘরকে। ওই গুদামের আশেপাশে একাধিক গাড়ি রাখা ছিল। আগুনের হাত থেকে গাড়ি গুলিকে বাঁচাতে কোনও প্রকারে জেসিবি দিয়ে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। গুদামের মধ্যে দাহ্যবস্তু মজুত থাকায় কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। তবে এখনও আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণেই চলে এসেছে বলে দমকল সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ডানকুনিতে ব্যাটারি কারখানায় ভয়াবহ আগুন
প্রথমে 10টি থাকলেও অগ্নিকাণ্ডের তীব্রতার জন্য আরও 15টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আনা হয় ৷ এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় পাশের একটি ঝুপড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে দমকল । তারাতলা থেকে গার্ডেনরিচ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ । এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছিল । গুদামের মধ্যে রয়েছে একাধিক দাহ্য বস্তু থাকায় মাঝে মধ্যেই বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। যাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী ৷ দমকল এবং কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পদস্থ আধিকারিক দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন ৷
গতকালই নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের একটি কাঠের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল ৷ বাড়ির গ্যাসের সিলিন্ডার ফেলে আগুন লেগেছিল ৷ সেই আগুন বাড়ির নিচে থাকা কাঠের গুদামেও ছড়িয়ে পড়ায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায় ৷ শনিবার সকালেই ডানকুনিতেও একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ৷ সেখানে একটি ব্যাটারি কারখানায় আগুন লাগে ৷