ETV Bharat / city

370 ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয় : অশোক গাঙ্গুলি

author img

By

Published : Aug 6, 2019, 12:04 AM IST

Updated : Aug 6, 2019, 12:34 AM IST

জম্মু ও কাশ্মীর 370 ধারার ফলে যে বিশেষ সুবিধা ভোগ করত সেটা কখনওই স্থায়ী ছিল না ৷ এটা নেহাতই অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক এক ব্যবস্থাপনা ৷ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে এই ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত একেবারেই অসাংবিধানিক নয় বলেই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গাঙ্গুলি ৷

অশোক গাঙ্গুলি

কলকাতা, 5 অগাস্ট : জম্মু ও কাশ্মীর 370 ধারার ফলে যে বিশেষ সুবিধা ভোগ করত সেটা কখনওই স্থায়ী ছিল না ৷ এটা নেহাতই অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক এক ব্যবস্থাপনা ৷ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে এই ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত একেবারেই অসাংবিধানিক নয় বলেই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গাঙ্গুলি ৷

আজ রাজ্যসভায় অমিত শাহ রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা পড়ে শোনানোর পরেই শুরু হয়ে যায় শোরগোল ৷ বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ৷ এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গাঙ্গুলি বলেন, "370 ধারা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল ৷ 1947 সালের জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতভুক্তির চুক্তির পর এটি লাগু হয়েছিল ৷ কিন্তু তারপর থেকেই এই বিশেষ সুবিধা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ 1954 সালে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সাংবিধানিক নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ পরে 1957 সালে জম্মু ও কাশ্মীর নিজস্ব সংবিধান পাশ করে ৷ আমার মনে হয়, এখন কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষ সুবিধা তুলে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে ৷ আসলে এটা নেহাতই অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক এক ব্যবস্থাপনা ৷ এটা 70 বছর ধরে চলে এসেছে ৷ সরকার এখন এই ধারা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে ৷"

রাষ্ট্রপতি কি একতরফাভাবে এই নির্দেশনামা জারি করতে পারেন? জবাবে প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, “রাষ্ট্রপতিকে এ বিষয়ে গণপরিষদের পরামর্শ নিতে পারেন ৷ কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরে গণপরিষদ অনেকদিন আগেই বিলুপ্ত হয়েছে ৷ এখন সেখানে বিধানসভা রয়েছে । যদিও সেই বিধানসভা বেশকিছু দিন হল ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে এই মুহূর্তে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে ৷ রাষ্ট্রপতি শাসন চলাকালীন যে কোনও সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী একমাত্র তিনি ৷ তাই প্রাথমিকভাবে এই 370 ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টি অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে হয়নি ৷"

শুনুন ভিডিয়ো

একইসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি জানান, দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অন্যান্য রাজ্যের মতোই কাজ করবে ৷ সেখানে বিধানসভা কোনওভাবেই ভেঙে পড়বে না ৷ তবে এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে ৷ তিনিবলেন “জম্মু ও কাশ্মীর এখন থেকে আর পাঁচটা রাজ্যের মতোই আইনের ক্ষেত্রে সমান মর্যাদা পাবে ৷ যেটা আগে ছিল না ৷ নির্বাচিত রাজ্য সরকারই সেখানে উন্নয়নমূলক কাজ করবে ৷ যেমন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়েও দিল্লির বিধানসভা রয়েছে ৷ নির্বাচিত সরকার রয়েছে ৷ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে ৷"

কলকাতা, 5 অগাস্ট : জম্মু ও কাশ্মীর 370 ধারার ফলে যে বিশেষ সুবিধা ভোগ করত সেটা কখনওই স্থায়ী ছিল না ৷ এটা নেহাতই অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক এক ব্যবস্থাপনা ৷ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে এই ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত একেবারেই অসাংবিধানিক নয় বলেই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গাঙ্গুলি ৷

আজ রাজ্যসভায় অমিত শাহ রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা পড়ে শোনানোর পরেই শুরু হয়ে যায় শোরগোল ৷ বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ৷ এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি অশোককুমার গাঙ্গুলি বলেন, "370 ধারা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল ৷ 1947 সালের জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতভুক্তির চুক্তির পর এটি লাগু হয়েছিল ৷ কিন্তু তারপর থেকেই এই বিশেষ সুবিধা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ 1954 সালে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সাংবিধানিক নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ পরে 1957 সালে জম্মু ও কাশ্মীর নিজস্ব সংবিধান পাশ করে ৷ আমার মনে হয়, এখন কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষ সুবিধা তুলে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে ৷ আসলে এটা নেহাতই অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক এক ব্যবস্থাপনা ৷ এটা 70 বছর ধরে চলে এসেছে ৷ সরকার এখন এই ধারা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে ৷"

রাষ্ট্রপতি কি একতরফাভাবে এই নির্দেশনামা জারি করতে পারেন? জবাবে প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, “রাষ্ট্রপতিকে এ বিষয়ে গণপরিষদের পরামর্শ নিতে পারেন ৷ কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরে গণপরিষদ অনেকদিন আগেই বিলুপ্ত হয়েছে ৷ এখন সেখানে বিধানসভা রয়েছে । যদিও সেই বিধানসভা বেশকিছু দিন হল ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে এই মুহূর্তে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে ৷ রাষ্ট্রপতি শাসন চলাকালীন যে কোনও সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী একমাত্র তিনি ৷ তাই প্রাথমিকভাবে এই 370 ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টি অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে হয়নি ৷"

শুনুন ভিডিয়ো

একইসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি জানান, দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অন্যান্য রাজ্যের মতোই কাজ করবে ৷ সেখানে বিধানসভা কোনওভাবেই ভেঙে পড়বে না ৷ তবে এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে ৷ তিনিবলেন “জম্মু ও কাশ্মীর এখন থেকে আর পাঁচটা রাজ্যের মতোই আইনের ক্ষেত্রে সমান মর্যাদা পাবে ৷ যেটা আগে ছিল না ৷ নির্বাচিত রাজ্য সরকারই সেখানে উন্নয়নমূলক কাজ করবে ৷ যেমন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়েও দিল্লির বিধানসভা রয়েছে ৷ নির্বাচিত সরকার রয়েছে ৷ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে ৷"

Intro:কলকাতা, 5 অগাস্ট: জম্মু ও কাশ্মীর 370 ধারার ফলে যে বিশেষ সুবিধা ভোগ করত সেটা কখনোই পার্মানেন্ট ছিল না। নেহাতই অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক এক ব্যবস্থাপনা। এই ধারা জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে একেবারেই অসাংবিধানিক কায়দায় হয়নি। বরং সংবিধানের মধ্যে থেকেই এই ধারা প্রত্যাহারের নির্দেশ নামা জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। এমন মন্তব্যই করলেন প্রাক্তন বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলী।


Body:আজ রাজ্যসভায় অমিত শাহ রাষ্ট্রপতির নির্দেশ নামা পড়ে শোনানোর পরেই শুরু হয়ে যায়। অনেকেই বলতে শুরু করেন এই নির্দেশ অসাংবিধানিক। এমনকি পাকিস্তান ও কূটনৈতিক পর্যায়ে এই তথ্যটি ছড়িয়ে দিতে চাইছে গোটা বিশ্বে। পাকিস্তানের তরফে বলা হয়েছে বন্ধু মনোভাবাপন্ন দেশ গুলিকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হবে তারা। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না ভারত সরকার। ঠিক তখনই ইটিভি ভারতে মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলী। তিনি বলেন,“ 370 কাশ্মীরকে বিশেষ স্ট্যাটাস দিয়েছিল। 1947 সালের জম্মু কাশ্মীরের ভারতভুক্তির চুক্তির পর এটি লাগু হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই এই স্পেশাল স্ট্যাটাস তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 1954 সালে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সাংবিধানিক অর্ডার পরে 957 সালে জম্মু-কাশ্মীর নিজস্ব সংবিধান পাস করে। যেটা ভারতের সংবিধানের আধার এর উপরেই তৈরি হয়। আমার মনে হয় এখন কেন্দ্রীয় সরকার এই স্ট্যাটাস তুলে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে। আসলে এটা নেহাতই অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক একটা বিষয় ছিল। এটা 70 বছর ধরে চলেছে। সরকার এখন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে এই ধারা প্রত্যাহারের। সরকার এই কাজ করতে পারে সংবিধানের 370 ধারার তিন নম্বর আর্টিকেলে। "

কিন্তু সংসদে কোনো আলোচনা ছাড়াই কিভাবে প্রত্যাহার সম্ভব? রাষ্ট্রপতি কি একতরফাভাবে এই নির্দেশ নামা জারি করতে পারেন?

প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, “ রাষ্ট্রপতি কে এ বিষয়ে পরামর্শ নিতে গণপরিষদের। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে গণপরিষদ অনেকদিন আগেই বিলুপ্ত হয়েছে। এখন সেখানে বিধানসভা আছে। যদিও সেই বিধানসভা বেশ কিছুদিন হল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। আমি বলছে রাষ্ট্রপতি শাসন চলাকালীন যে কোনো সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী তিনি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এই বিষয়টি অসাংবিধানিকভাবে হয়নি। পরে আরো বিস্তারিতভাবে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। বিষয়টি আদালতে যেতে পারে। তখন আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।"



Conclusion:একইসঙ্গে অশোকবাবু পরিষ্কার করে দিয়েছেন, দুই কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল অন্য রাজ্যের মতোই কাজ করবে। সেখানে বিধানসভা কোনোভাবেই ভেঙে পড়বে না। তবে এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। তিনি
বলেন “ জম্মু-কাশ্মীর এখন থেকে আর পাঁচটা রাজ্যের মতোই আইনের ক্ষেত্রে সমান মর্যাদা পাবে। যেটা আগে ছিল না। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা সংসদের ছিল না। বাতিক্রম প্রতিরক্ষা,আভ্যন্তরীণ বিষয় এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে। সেখানে রাজ্য সরকার থাকবে। নির্বাচিত রাজ্য সরকারই সেখানে উন্নয়নমূলক কাজ করবে। যেমন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হয়েও দিল্লীর বিধানসভা আছে। নির্বাচিত সরকার আছে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে।"
Last Updated : Aug 6, 2019, 12:34 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.