বোলপুর, 17 ফেব্রুয়ারি: কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের বাড়িতে বোমাবাজির পর একই এলাকায় তৃণমূল নেতার বাড়িতেও বোমাবাজি। শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন কঙ্কালীতলার তৃণমূল নেতা মনোয়ার হোসেন ওরফে আলেফ শেখ ৷ সোমবার তাঁর লায়েকবাজারের বাড়িতে যান বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। সেখানে গিয়েই কাজল শেখ বলেন, "পুলিশ চাইলে দুষ্কৃতীদের তালিকা তুলে দেব ৷" তবে অনুব্রতর গড়ে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজি ঘিরে ফের সরগরম বীরভূমের রাজনীতি ৷
গরু পাচার ও আর্থিক তছরুপের মামলায় জামিন পেয়ে দুই বছর পর বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপরেই কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত কার দখলে থাকবে, অনুব্রত অনুগামী, নাকি তাঁর যুযুধান হিসাবে পরিচিত বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের, তা নিয়েই বাঁধে দ্বন্দ্ব। এই নিয়ে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে ৷ এরই মাঝে গত 5 জানুয়ারি অনুব্রত অনুগামী কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন ওরফে মামন শেখের লায়েকবাজারের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল ৷ অভিযোগ হয়েছিল শান্তিনিকেতন থানায় ৷
এবার, 16 ফেব্রুয়ারি উপ-প্রধানের যুযুধান হিসাবে পরিচিত কাজল শেখের অনুগামী স্থানীয় নেতা মনোয়ার হোসেন ওরফে আলেফ শেখের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল ৷ রাতের অন্ধকারে তাঁর বাড়ির চাল লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা ৷ বোমার শব্দে রীতিমতো আতঙ্কিত আলেফ শেখের পরিবার-সহ প্রতিবেশীরা ৷ এদিন, এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আলেফ শেখ। পরে তাঁর বাড়িতে যান বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। রাস্তায় পরে থাকা বোমার সুতলি হাতে নিয়ে দেখেন তিনি ৷ পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন ৷
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাজল শেখ বলেন, "বীরভূমের বোমাবাজি, গুলির রাজনীতি কেন হবে ? আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলব, কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে ৷ কারও বাড়িতে বোমা পড়া বাঞ্ছনীয় নয়। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হোক ৷ আমি পরিবারের পাশে আছি। যে কোনও সমস্যায় আমার দলের নেতার পাশে ৷" কাজল শেখ আরও বলেন, "বোলপুর সংলগ্ন এই সিয়ান-মুলুক একাকায় দুষ্কৃতকারীদের আড্ডা হয়ে গিয়েছে। নানুর তথা বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাজবিরোধীরা এসে সিয়ান-মুলুক চত্ত্বরে বাসা বেঁধেছে ৷ তাদের গ্রেফতার করা উচিত ৷ যদি পুলিশ-প্রশাসন সহযোগিতা চায় তাদের নামের লিস্ট আমি দিয়ে দেব ৷ কে কোথায় বাসা বেঁধেছে সব দিয়ে দেব।"
এমনই বিস্ফোরক দাবি করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে দলীয় নেতার বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় সোরগোল বীরভূমের রাজনৈতিক মাটিতে ৷