কলকাতা, 4 অগাস্ট: 1 অগাস্ট থেকে বেড়েছে ট্যাক্সির ভাড়া। এখন ট্যাক্সিতে উঠলেই দিতে হচ্ছে 50 টাকা। এর আগে 2018 সালের জুলাইয়ে ট্যাক্সির ভাড়া 25 টাকা থেকে বেড়ে হয়েছিল 30 টাকা। ট্যাক্সি ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যাত্রীদের গলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম হলেও এখানে দিনে দিনে বাড়ছে ডিজ়েলের দাম। তাই আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানো অসম্ভব বলে ট্যাক্সি মালিক সংগঠন সরকারকে জানিয়েছে বহুবার। তবে কোনও কাজ না হওয়ায় মালিক সংগঠন বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন সরকারি সিলমোহর ছাড়াই বাড়িয়েছে ভাড়া।
তবে যাত্রীদের গলায় ভেসে এল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এক যাত্রী মুহম্মদ ইসলাম বলেন, "খুবই অসুবিধা হবে। কারণ লকডাউনের কারণে সবার হাতই একেবারে ফাঁকা। আমরা তো গরিব মানুষ। প্রশাসন বিষয়টির মীমাংসা করবে।" অন্যদিকে আর এক যাত্রী জয়দীপ দে বলেন, "বর্তমানে সবারই অবস্থা খারাপ তাই সবাইকেই ভেসে থাকতে হবে। ট্যাক্সি চালিক ও মালিকদেরও বেঁচে থাকতে হবে এবং সংসার চালাতে হবে।" জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে অন্য সংগঠনগুলি। তাঁদের বক্তব্য যে সরকার যখন এই সিদ্ধান্তের উপর কোনও সিলমোহর দেয়নি তখন নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাড়া বাড়ানো বেআইনি।
প্রগ্রেসিভ ট্যাক্সি মেন্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাঁদের সংগঠনের ট্যাক্সির উপরে লিখে দেওয়া হয়েছে , আগের ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে। সোমবার শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে তাঁদের সংগঠনের তরফে মাইকে বারবার এই ঘোষণ করা হয়। সংগঠনের সম্পাদক সম্ভুনাথ দে বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তেলের দাম বাড়ছে । সঙ্গে যাত্রী সংখ্যা একেবারে নেই বললেই চলে। ট্যাক্সি চালকদের সারাদিনে 200 থেকে 300 টাকাও ভাড়া উঠছে না। বিষয়টি আমরা পরিবহনমন্ত্রী সহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদেরও জানিয়েছি। তবে যে বা যাঁরা নিজেদের মতো করে ট্যাক্সি ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছেন তাঁদের আমরা সমর্থন করি না। এটা সম্পূর্ণভাবেই বেআইনি। রাজ্যের এই মুহূর্তে যা আর্থিক তার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের উপর জোর করে আমরা কোনও বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দেব না। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে তবেই সেই ভাড়া নেব।"
ট্যাক্সি ভাড়া বৃদ্ধির বিরোধিতা অন্য সংগঠনগুলির, মিশ্র প্রতিক্রিয়া যাত্রীদের - বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন
প্রতিদিন বাড়ছে ডিজ়েলের দাম ৷ কোরোনা আবহে যাত্রী বোঝাই করে ট্যাক্সি চালানো সম্ভব নয় ৷ সেজন্য ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ট্যাক্সির ভাড়া বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় ছিল না বলে দাবি ট্যাক্সি সংগঠনের ৷ বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন সরকারি সিলমোহর ছাড়াই বাড়িয়েছে ভাড়া। 1 আগস্ট থেকে বেড়েছে ট্যাক্সির ভাড়া। এখন ট্যাক্সিতে উঠলেই দিতে হচ্ছে 50 টাকা।
কলকাতা, 4 অগাস্ট: 1 অগাস্ট থেকে বেড়েছে ট্যাক্সির ভাড়া। এখন ট্যাক্সিতে উঠলেই দিতে হচ্ছে 50 টাকা। এর আগে 2018 সালের জুলাইয়ে ট্যাক্সির ভাড়া 25 টাকা থেকে বেড়ে হয়েছিল 30 টাকা। ট্যাক্সি ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যাত্রীদের গলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম হলেও এখানে দিনে দিনে বাড়ছে ডিজ়েলের দাম। তাই আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানো অসম্ভব বলে ট্যাক্সি মালিক সংগঠন সরকারকে জানিয়েছে বহুবার। তবে কোনও কাজ না হওয়ায় মালিক সংগঠন বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন সরকারি সিলমোহর ছাড়াই বাড়িয়েছে ভাড়া।
তবে যাত্রীদের গলায় ভেসে এল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এক যাত্রী মুহম্মদ ইসলাম বলেন, "খুবই অসুবিধা হবে। কারণ লকডাউনের কারণে সবার হাতই একেবারে ফাঁকা। আমরা তো গরিব মানুষ। প্রশাসন বিষয়টির মীমাংসা করবে।" অন্যদিকে আর এক যাত্রী জয়দীপ দে বলেন, "বর্তমানে সবারই অবস্থা খারাপ তাই সবাইকেই ভেসে থাকতে হবে। ট্যাক্সি চালিক ও মালিকদেরও বেঁচে থাকতে হবে এবং সংসার চালাতে হবে।" জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে অন্য সংগঠনগুলি। তাঁদের বক্তব্য যে সরকার যখন এই সিদ্ধান্তের উপর কোনও সিলমোহর দেয়নি তখন নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাড়া বাড়ানো বেআইনি।
প্রগ্রেসিভ ট্যাক্সি মেন্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাঁদের সংগঠনের ট্যাক্সির উপরে লিখে দেওয়া হয়েছে , আগের ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে। সোমবার শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে তাঁদের সংগঠনের তরফে মাইকে বারবার এই ঘোষণ করা হয়। সংগঠনের সম্পাদক সম্ভুনাথ দে বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তেলের দাম বাড়ছে । সঙ্গে যাত্রী সংখ্যা একেবারে নেই বললেই চলে। ট্যাক্সি চালকদের সারাদিনে 200 থেকে 300 টাকাও ভাড়া উঠছে না। বিষয়টি আমরা পরিবহনমন্ত্রী সহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদেরও জানিয়েছি। তবে যে বা যাঁরা নিজেদের মতো করে ট্যাক্সি ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছেন তাঁদের আমরা সমর্থন করি না। এটা সম্পূর্ণভাবেই বেআইনি। রাজ্যের এই মুহূর্তে যা আর্থিক তার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের উপর জোর করে আমরা কোনও বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দেব না। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে তবেই সেই ভাড়া নেব।"