কলকাতা,18 মে : অনেক নির্মমতা হয়েছে। রাস্তাঘাটে শ্রমিকদের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে মধ্যযুগীয় বর্বরতার দিকে এগিয়ে চলেছে দেশ। এদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা কে করবে?কোন সরকার? কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যসরকারের কোনও হুস নেই। আজ এই ক্ষোভের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।তিনি বলেন , অতীতে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিক নন পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে। গত দেড় মাস ধরে ঘরে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছে শ্রমিকরা। ঘরে ফিরতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য শ্রমিকের। এর দায় কে নেবে।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, "পেটে ও পকেটে টান পড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। ভিটেমাটিতে ফেরার টান রয়েছে তাঁদের। রাজ্যের সরকার অবিলম্বে তাঁদের ঘরে ফেরান। সরকার শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য কোনও পরিকল্পনা করছেন না। সরকার নিজের মুখেই বলছে 17 লাখ শ্রমিক বাইরে রয়েছেন। ফেরানো হচ্ছে শুধু আড়াই লক্ষ জন শ্রমিককে। তার মানে 10 থেকে 12 শতাংশ শ্রমিককে ফেরানো হচ্ছে। বাকি 80 থেকে 90 শতাংশ শ্রমিকের কি হবে? আমাদের মনে হয়, আরও বেশি সংখ্যক শ্রমিক আটকে পড়েছেন ভিন রাজ্যে। হয় তাঁদের দ্রুত নিয়ে আসার ব্যবস্থা করুন। না হলে যেখানে তাঁরা আছেন সেখানে খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করুন। শ্রমিকদের মৃত্যুর মিছিল চলছে। রাজ্যে যারা ট্রেনে আসতে পারছেন না তাঁদেরকে বাসে করে সরকারি খরচে দিয়ে নিয়ে আসা হোক। মাত্র 105 টা ট্রেনে সব শ্রমিককে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ট্রেনের কিছু খরচ যদি কেন্দ্রীয় সরকার দিতে পারে, তাহলে বাসের খরচ কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার দিতে পারবে না কেন?"
মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি আরও জানান, নরেন্দ্র মোদির অপরাধের জন্য মানুষগুলোর বিপদ। অপরিকল্পিত লকডাউনের দায় প্রধানমন্ত্রীর। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এই অবস্থায় রাজ্যের উচিত শ্রমিকদের পাশে থাকা। কোরোনাভাইরাসের সংক্রমণ, অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের দুর্যোগে মানুষ কোথায় যাবে? তিনি দ্রুত এদের ঘরে ফেরানোর দাবি করেন ।