কলকাতা, 17 মে : বিদ্যাসাগর কলেজ ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ তার পর ফের একবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষার দাবি তুললেন পড়ুয়ারা (Students of Aliah University are Adamant in Demanding Online Exams) ৷ তাঁদের মতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি সেমিস্টার নিয়ে ধন্দে রয়েছেনে তাঁরা। কারণ, মোট ক্লাসের 50 শতাংশের বেশি ক্লাস অনলাইনে হয়েছে ৷ শুধু তাই নয় মাত্র দুই মাসের মধ্যে পাঁচ মাসের সিলেবাস শেষ করানো হয়েছে ৷ পুরো পাঠ্যক্রমের এখনও অনেকটাই পড়ানো হয়নি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের ৷ আর তার মধ্যেই পুরো সিলেবাস নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ৷
এক পরীক্ষার্থী ইরফান সাদিক অভিযোগ করেছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের তরফে একবার বলা হচ্ছে পরীক্ষা হবে অফলাইনে ৷ আবার কখনও বলা হচ্ছে অনলাইনেই পরীক্ষা হবে ৷ কোন মাধ্যমে পরীক্ষা হবে ? তা এখনও আমাদের কাছে স্পষ্ট নয় ৷ পাঠ্যক্রমের বেশিরভাগই এখনও শেষ হয়নি ৷ আমরা পরীক্ষা পিছনোর দাবিও করেছিলাম ৷ কিন্তু, তাতে কর্ণপাত করা হয়নি ৷ প্রথমে পরীক্ষা হাওয়ার কথা ছিল 15 মে সেই সময় বাড়িয়ে 27 মে করা হল ৷ কিন্তু এই 15 দিনে কী লাভ হবে ? পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন ৷ তাই আমাদের দাবি যেদিনই পরীক্ষা নেওয়া হোক না কেন ? তা হোক অনলাইনে ৷ এতে পড়ুয়াদের উপর চাপ কিছুটা হলেও কমবে ৷ কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের সমস্যাকে উপেক্ষা করে নিজেদের মত করে সব কিছু চালাতে চাইছে ৷’’
পড়ুয়ারা আরও জানিয়েছেন, অনেক বিষয় পড়ানো হয়নি ৷ তাই তার থেকে প্রশ্ন এলে বিপাকে পড়বেন পরীক্ষার্থীরা ৷ এমনকি বহু অধ্যাপক 200 থেকে 300 পাতার নোটস হোয়াটসঅ্যাপে বা মেল করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ৷ এর ফলে চাপে পড়ছেন পড়ুয়ারা ৷ ফলত তাঁদের নম্বর অনেকটা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ এর আগেও একবার একই দাবিতে ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা ডিন, রেজিষ্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করে দাবিপত্র জমা দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তারপরেও এই বিষয় কতৃপক্ষের তরফে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি ৷