কলকাতা, 4 অগাস্ট: ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক গ্রেফতার মামলার তদন্ত (Jharkhand MLA arrest case) আপাতত রাজ্য পুলিশের হাত থেকে অন্য কোনও এজেন্সির হাতে দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)৷ বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য তাঁর নির্দেশে এ কথা জানিয়েছেন । তবে বিধায়করা চাইলে আইন অনুযায়ী অন্য কোনও আদালতে আবেদন জানাতে পারেন বলে নির্দেশে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি ।
এ দিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী অনির্বাণ রায় বলেন, "একজন অভিযুক্ত কখনও কোনও এজেন্সি বেছে নিতে পারে না । সে বলতে পারে না সিবিআই বা অন্য কোনও সংস্থার তদন্ত চাই । রাঁচিতে একটা এফআইআর দায়ের হয়েছে এই ঘটনায় । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় রাঁচিতে এফআইআর হলে সেটা গ্রহণযোগ্য নয় ।
হাওড়া রুরাল তিনজন বিধায়ককে টাকা-সহ গাড়িটির সঙ্গে ধরে । 31 জুলাই সেই টাকা উদ্ধার হয়েছে । তদন্ত চলছে । এর মধ্যে অভিযোগ করা হয়েছে যে তাঁদের টার্গেট করা হয়েছে ।"
অন্যদিকে বিধায়কদের তরফে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, "আমরা তদন্তের হস্তান্তর চাই । রাজ্য পুলিশের অধিকার নেই তাঁদের গ্রেফতার করার ৷" রাজ্যের শাসকদল এই ঘটনার রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে বলে উল্লেখ করেন তিনি । রাজ্যের আইনজীবী ফের বলেন, "হাওড়া থেকে ধরা হয়েছে । ফলে তদন্ত এই রাজ্যের পুলিশেরই করার কথা ।"
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড-কাণ্ডে সিআইডি-র হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়াল
বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেন, তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে । প্রায় 50 লাখ টাকা নগদ-সহ ধরা হয় । এখন তদন্ত পাঁচলা থানার থেকে সিবিআইয়ের মতো নিরপেক্ষ সংস্থার হাতে দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে । আর্থিক দুর্নীতি আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে । সোশ্যাল মিডিয়ার বক্তব্যের উল্লেখ করে তদন্ত হস্তান্তরিত করার আবেদন জানানো হয়েছে । কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার উপর ভিত্তি করে কোনও তদন্ত ট্রান্সফারের আবেদন করা যায় না । তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে । হাওড়ার পাঁচলা থেকে গাড়িটি ধরা হয়েছিল । আইন অনুযায়ী লোকাল থানাতেই তার তদন্ত হওয়ার কথা । বিধায়করা আদিবাসী উৎসবের জন্য শাড়ি কেনার কথা বলেছেন সেটা গ্রহণযোগ্য নয় । আপাতত তদন্তে হস্তক্ষেপ করার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছে না আদালত ।