কলকাতা, 22 এপ্রিল: রাজ্যের মুখ্য সচিবকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের ৷ "রাজ্যের মুখ্যসচিব দ্বিতীয় রাজীবকুমার হতে যাচ্ছেন।" এভাবেই এরাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে আক্রমণ করলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সল্টলেকের নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, "কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দলকে উনি চ্যালেঞ্জ করছেন! এটা কী মুখ্যসচিবের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে !"
কোরোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। রাজ্যকে না জানিয়ে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে ভালো চোখে দেখেনি রাজ্য প্রশাসন। যার পালটা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দলের তরফে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের দলটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে যা জানিয়েছে বলেও খবর।অন্যদিকে আসরে নেমেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও। সে প্রসঙ্গ তুলেই মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আজ আক্রমণ শানালেন BJP-র রাজ্য সভাপতি। সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দলকে উনি চ্যালেঞ্জ করছেন! এটা কী মুখ্যসচিবের এক্তিয়ারের মধ্যে পরে!"
এরপরই দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, "রাজীবকুমারের জুতোয় পা গলিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। প্রতিদিনই মুখ্যসচিবকে প্রেস মিট করতে দেখি আমরা। তিনি বানিয়ে বানিয়ে তথ্য দেন। যার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। এই যে এত মানুষ মারা যাচ্ছে। কেনও চিকিৎসা হচ্ছে না, তার কোনও উত্তর মুখ্যসচিব দেন না।"
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, "আমার তো মনে হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে এয়ারপোর্টে আটকে রাখার চেষ্টা হয়েছিল। সেটা পারেনি বলেই তাঁদের বিরুদ্ধে বার বার নানা কথা বলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে আমাদের আবেদন, আপনারা সমস্ত কোয়ারান্টাইন সেন্টারে যান। যেখানে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে যান। যদিও রাজ্য সরকার তাঁদের বেরোতে দিচ্ছে না। আজ বিকেল পর্যন্ত তাঁদেরকে আটকে রাখা হয়েছে। কাল সারাদিন আটকে রেখে কেবল দুটি জায়গা ঘোরানো হয়েছিল।"
এইসঙ্গে আজ উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় গোলমাল নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক্নকে কাঠগোড়ায় তোলেন দিলীপ ঘোষ। BJP-র রাজ্য সভাপতি বলেন, "জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সব সময় BJP-র ভূত দেখেন। আগে রাতে দেখতেন, এখন দিনেও দেখেন। উনি অযোগ্য মন্ত্রী সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। যে মন্ত্রী মানুষের পেটে ভাত দিতে পারে না, তাঁর কীসের যোগ্যতা! কোথাও ঠিক মতো রেশন নেই, বিক্ষোভ তারই প্রমাণ। তবে উনি যেন ঘর থেকে না বেরোন। তা হলে ওঁর কপালেও দুঃখ আছে।"