কলকাতা, 13 অক্টোবর: স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগে (SSC Scam Case) যে বেশ কয়েক বছর ধরে জালিয়াতি হচ্ছে সে কথা এসএসসির একাধিক শীর্ষ আধিকারিক জানতেন । সেই সব উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আধিকারিক রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) এই জালিয়াতি এবং নিয়োগ দুর্নীতির কথা জানিয়েওছিলেন । কিন্তু একের পর এক অভিযোগ পাওয়ার পরেও নিরুত্তর থেকেছেন পার্থ । এমনকী এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার (Shanti Prasad Sinha) নামে একাধিক অভিযোগ জমা পড়া সত্ত্বেও, পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনও ব্যবস্থা তো নেনইনি, বরং যাতে নিয়োগ দুর্নীতি বহাল তবিয়তে চলতে পারে, তার ব্যবস্থা করেছিলেন ৷ তদন্ত চালিয়ে এমনটাই জানতে পেরেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের ।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, তারা তদন্ত করে জানতে পেরেছে যে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং অশোক কুমার সাহা মিলে এসএসসি-র একাধিক ভুয়ো নিয়োগ কার্যকর করেছিলেন । সিবিআই-এর দাবি, প্যানেল লিস্টের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর জাল সুপারিশ পত্র কার্যকর করার অভিযোগে 2019 সালের 24 ডিসেম্বর শান্তি প্রসাদ সিনহাকে শোকজ পর্যন্ত করেছিলেন সৌমিত্র সরকার । সৌমিত্র সরকার এই দুর্নীতির কথা জানতে পেরে রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে শান্তি প্রসাদ সিনহার নামে একাধিক অভিযোগ করেন ৷ কিন্তু সেই সব অভিযোগে কর্ণপাত করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে জেলে কী করলেন পার্থ ?
এর পরেই সৌমিত্র সরকারের পদত্যাগের জন্য উপর মহল থেকে চাপ আসতে থাকে বলে অভিযোগ । আরও অভিযোগ, এর পরে এসএসসির বিধিবদ্ধ আইন লঙ্ঘন করে সৌমিত্র সরকারের জায়গায় অশোক কুমার সাহাকে বসিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । আর মন্ত্রীর যাবতীয় কর্মকাণ্ড খুব ভালোভাবে জানতেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা ৷ এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের । ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই, সেখানে এই সব অভিযোগ হাইকোর্টের সামনে তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা ।