কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: স্কুল সার্ভিস কমিশনের সফল চাকরি প্রার্থীদের স্কুল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ উঠল ৷ এই অভিযোগে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন ক্লাস নাইন-টেনের শারীরশিক্ষা বিষয়ে সদ্য চাকরি পাওয়া এক শিক্ষিকা ।
শিক্ষিকার নাম জয়শ্রী মাইতি ৷ চলতি বছরই চাকরি পেয়েছেন তিনি । কিন্ত কাউন্সেলিং-এর সময় কাছাকাছি কোনও স্কুল তিনি পাননি ৷ বাড়ি থেকে প্রায় 400 কিলোমিটার দূরে মির্জাপুর ডক্টর J N S বালিকা বিদ্যালয়ে তাঁর পোস্টিং হয়েছে । কিন্ত 30 অগাস্ট তৃতীয় দফার কাউন্সেলিং-এর সময় দেখেন একই কোড নম্বরে অন্য একটি স্কুলের নাম দেখাচ্ছে ৷ মার্চের 21 তারিখ স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে 21871550 কোড নম্বরে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ের নাম দেখেছিলেন জয়শ্রী ৷ কিন্তু 30 অগাস্ট ফের চেক করতে গিয়ে দেখেন ওই একই কোড নম্বরে বেলদার প্রভাতি বালিকা বিদ্যালয়ের নাম রয়েছে ৷ ফলে জয়শ্রীর পরের র্যাঙ্কের একজন বেলদার ওই স্কুলে সুযোগ পেলেন ৷ কিন্তু তিনি নিজের জেলায় স্কুল বেছে নেওয়ার সুযোগ পেলেন না ৷ পুরো বিষয়টি তিনি 3 সেপ্টেম্বর প্রমাণসহ চিঠি লিখে কমিশনকে জানান ৷ কিন্তু অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত কমিশনের তরফে কোনও সদুত্তর পাননি ৷ তাই বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷
এবিষয়ে তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "অভিযোগ উঠেছে যে, পছন্দের প্রার্থীদের নির্দিষ্ট স্কুলে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য একই স্কুল কোড নম্বরে দু'টো স্কুলের নাম রয়েছে ৷ যেটা কোনও ভাবেই সম্ভব নয় ৷ অর্থাৎ কাউন্সেলিং-এর সময় একটা স্কুলের নাম দেখাচ্ছে ৷ যাঁর আগের র্যাঙ্ক তিনি দেখছেন তাঁর বাড়ির থেকে অনেক দূরে স্কুল ৷ তিনি সেটা পছন্দ করছেন না ৷ কিন্তু যাঁর পরের র্যাঙ্ক তিনি দূরের স্কুলটিকে আপাতভাবে পছন্দ করছেন ৷ অর্থাৎ কাউন্সেলিং-এর সময় সেটি দূরের স্কুলই থাকছে ৷ কিন্তু কাউন্সেলিং-এর পরবর্তী সময় SSC সেটা এডিট করে দিয়ে ওই একই কোড নম্বরে অন্য একটি কাছের স্কুল ঢুকিয়ে দিচ্ছে ৷ SSC-র ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা ডকুমেন্টে বিষয়টি সামনে এসেছে ৷ আমার মক্কেল স্কুল সার্ভিস কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ কিন্তু অভিযোগের কোনও সদুত্তর পাননি ৷ চলতি সপ্তাহেই বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা দায়ের করবেন আমার মক্কেল ।"