কলকাতা ৪ এপ্রিল : একের পর এক বেঞ্চ ঘুরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি সংক্রান্ত আপিল মামলা ফের ফিরে এল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (SSC Group D Recruitment Case)। আদালতের নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের তরফে আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, "এই মামলায় এত জরুরি শুনানির কোনও প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করছি না। মামলা ফাইল হলে পরে আমি শুনব।"
সোমবার সকালে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও আপিল মামলা শুনবে না বলে সমস্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানানোর পর থেকেই শুরু হয়ে যায় নাটক। উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের উদ্বেগ বাড়ে আরও যখন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা ছাড়া কমিটির বাকি যে চার সদস্য রয়েছে, তাঁদের আজই দু'দফায় পুলিশ সিবিআই দফতরে হাজির করাবে। সঙ্গে সঙ্গে কমিটির সদস্যদের তরফে বেলা 1টার সময় প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। প্রধান বিচারপতি নিজে মামলাটি না শুনে বিচারপতি টিএস শিভাগননম ও বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান। কিন্তু ওই বেঞ্চও মামলা শুনবে না বলে ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সময় নিলেন প্রধান বিচারপতি, গ্রুপ-ডি দুর্নীতি মামলায় বহাল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়
প্রধান বিচারপতি ফের মামলাটি বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অজয় মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চে পাঠান। কিন্তু বিচারপতি সেনও না শুনে ছেড়ে দেন মামলাগুলি। শেষে প্রধান বিচারপতির কাছেই ফেরত আসে সমস্ত মামলা। তিনি একেবারে আদালতের শেষ মুহূর্তে বলেন, "সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে সেই অনুয়ায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই তো কি হয়েছে? এত তাড়া কিসের?" রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, "সিঙ্গল বেঞ্চ যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে তা আইন বিরুদ্ধ। কারণ দুর্নীতির ঘটনায় ডিভিশন বেঞ্চ কমিটি গঠন করে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু সেই কমিটিকে সরাসরি অবজ্ঞা করে ফের সিবিআইকেই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ এইভাবে দেওয়া যায় না ৷" প্রধান বিচারপতি জানান, মামলা ফাইল করলে পরে তা শোনা হবে।