ETV Bharat / city

ভয়াবহ জামতাড়া গ্যাংকে রুখতে লালবাজারের হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’ - রক্ষাকবচ

জামতাড়া গ্যাং-কে রুখতে কলকাতা পুলিশের নয়া হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’। কিন্তু এই রক্ষাকবচ আদতে কী, তা কীভাবে মানুষকে সচেতন করবে? এই নিয়ে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে জানালেন কলকাতা পুলিশের ডিসিডিডি (স্পেশাল) দেবস্মিতা দাস৷

ভয়াবহ জামতাড়া গ্যাংকে রুখতে লালবাজারের হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’
ভয়াবহ জামতাড়া গ্যাংকে রুখতে লালবাজারের হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’
author img

By

Published : Feb 2, 2021, 8:00 PM IST

কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি : "কষ্টের টাকা যাবে না জলে, অল্প একটু সচেতন হলে।" জামতাড়া গ্যাংয়ের প্রতারণার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এই কথাই বোঝাচ্ছে কলকাতা পুলিশ৷ কারণ, জামতাড়া গ্যাং-এর চাপে পড়ে কপালে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ এসে পড়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিল্ডিংয়ে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের ডিসিডিডি (স্পেশাল) দেবস্মিতা দাস বলেন, "জামতাড়া গ্যাং-এর সম্বন্ধে আমরা যেমন যেমন তথ্য পাচ্ছি, ঠিক সেইভাবেই আমরা নিজেদের আপডেট রাখছি। শুধু আমাদের সচেতন হলেই চলবে না৷ সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে৷"

তাই এবার জামতাড়া গ্যাং-কে রুখতে কলকাতা পুলিশের নয়া হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’। কিন্তু এই রক্ষাকবচ আদতে কী, তা কীভাবে মানুষকে সচেতন করবে? এই নিয়ে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে ডিসিডিডি (স্পেশাল) দেবস্মিতা দাস জানান, আদতে ‘রক্ষাকবচ’ হল একটি বিশেষ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের প্রতিটি স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ কাজ করবে। সেখানে তারা বার্তা দেবে, কখনওই গ্রাহকের কোনওরকম তথ্য টেলিফোনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে না ব্যাংক৷ এমন ফোন এলে সাধারণ মানুষ কী করবেন, তাও এখানে বলা হয়েছে। লালবাজার গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে যাতে ব্যাংক জালিয়াতি রোখা যায় তার জন্য একটি বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর করা হয়েছে৷ নম্বরটি হল 8585063104.

কীভাবে জামতাড়া গ্যাং কাজ করে, সেটাও জানা গিয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে৷ জানা গিয়েছে যে মূলত এই জামতাড়া দল তাদের নতুন মোডাস অপারেন্ডি অর্থাৎ অপরাধের ধরন হল মহিলা এবং প্রবীণ নাগরিকদের টার্গেট করা। আর এই প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে তারা বেছে নিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের। যেহেতু করোনা আবহ এখনও নিত্যসঙ্গী। ফলে জামতাড়া দলের সদস্যরা এবার পেনশন হোল্ডারদের ফোন করে নিজের পরিচয় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে দিয়ে তারা বলছে যে তাদের লাইফ সার্টিফিকেট আপডেট করা হয়নি। যেহেতু এখনও করোনার আবহ ঠিকভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়নি, তাই তারাই অনলাইনে লাইফ সার্টিফিকেট আপডেট করে দেবেন। এভাবেই প্রবীণ পেনশন হোল্ডারদের কাছ থেকে ব্যাংকের কেওয়াইসি, ব্যাংকের পিন নম্বর এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ ব্যাংকের যাবতীয় খুঁটিনাটি তারা নিয়ে নিচ্ছে। আর মিনিট কয়েকের মধ্যেই সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাচ্ছে টাকা।

লালবাজারের হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’

আরও পড়ুন : কলকাতায় অ্যাসিড আক্রান্ত যুবতি, জখম সঙ্গী যুবকও

শুধু কলকাতা নয় ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি কমিশনারেট এবং ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ-সহ একাধিক জায়গায় জামতাড়া দলের কোপ পড়েছে। ফলে শহরকে নিরাপদ এবং ব্যাংক প্রতারণা থেকে শহর কলকাতাকে নিরাপদে রাখতে এবার কলকাতা পুলিশ এবার তাদের হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’।

কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি : "কষ্টের টাকা যাবে না জলে, অল্প একটু সচেতন হলে।" জামতাড়া গ্যাংয়ের প্রতারণার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এই কথাই বোঝাচ্ছে কলকাতা পুলিশ৷ কারণ, জামতাড়া গ্যাং-এর চাপে পড়ে কপালে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ এসে পড়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিল্ডিংয়ে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের ডিসিডিডি (স্পেশাল) দেবস্মিতা দাস বলেন, "জামতাড়া গ্যাং-এর সম্বন্ধে আমরা যেমন যেমন তথ্য পাচ্ছি, ঠিক সেইভাবেই আমরা নিজেদের আপডেট রাখছি। শুধু আমাদের সচেতন হলেই চলবে না৷ সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে৷"

তাই এবার জামতাড়া গ্যাং-কে রুখতে কলকাতা পুলিশের নয়া হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’। কিন্তু এই রক্ষাকবচ আদতে কী, তা কীভাবে মানুষকে সচেতন করবে? এই নিয়ে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে ডিসিডিডি (স্পেশাল) দেবস্মিতা দাস জানান, আদতে ‘রক্ষাকবচ’ হল একটি বিশেষ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের প্রতিটি স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ কাজ করবে। সেখানে তারা বার্তা দেবে, কখনওই গ্রাহকের কোনওরকম তথ্য টেলিফোনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে না ব্যাংক৷ এমন ফোন এলে সাধারণ মানুষ কী করবেন, তাও এখানে বলা হয়েছে। লালবাজার গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে যাতে ব্যাংক জালিয়াতি রোখা যায় তার জন্য একটি বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর করা হয়েছে৷ নম্বরটি হল 8585063104.

কীভাবে জামতাড়া গ্যাং কাজ করে, সেটাও জানা গিয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে৷ জানা গিয়েছে যে মূলত এই জামতাড়া দল তাদের নতুন মোডাস অপারেন্ডি অর্থাৎ অপরাধের ধরন হল মহিলা এবং প্রবীণ নাগরিকদের টার্গেট করা। আর এই প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে তারা বেছে নিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের। যেহেতু করোনা আবহ এখনও নিত্যসঙ্গী। ফলে জামতাড়া দলের সদস্যরা এবার পেনশন হোল্ডারদের ফোন করে নিজের পরিচয় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে দিয়ে তারা বলছে যে তাদের লাইফ সার্টিফিকেট আপডেট করা হয়নি। যেহেতু এখনও করোনার আবহ ঠিকভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়নি, তাই তারাই অনলাইনে লাইফ সার্টিফিকেট আপডেট করে দেবেন। এভাবেই প্রবীণ পেনশন হোল্ডারদের কাছ থেকে ব্যাংকের কেওয়াইসি, ব্যাংকের পিন নম্বর এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ ব্যাংকের যাবতীয় খুঁটিনাটি তারা নিয়ে নিচ্ছে। আর মিনিট কয়েকের মধ্যেই সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাচ্ছে টাকা।

লালবাজারের হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’

আরও পড়ুন : কলকাতায় অ্যাসিড আক্রান্ত যুবতি, জখম সঙ্গী যুবকও

শুধু কলকাতা নয় ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি কমিশনারেট এবং ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ-সহ একাধিক জায়গায় জামতাড়া দলের কোপ পড়েছে। ফলে শহরকে নিরাপদ এবং ব্যাংক প্রতারণা থেকে শহর কলকাতাকে নিরাপদে রাখতে এবার কলকাতা পুলিশ এবার তাদের হাতিয়ার ‘রক্ষাকবচ’।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.