কলকাতা 15 জুলাইঃ কাঁথির রাঙামাটি শ্মশানের জমি বেআইনি ভাবে বিক্রির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় স্বস্তি পেলেন সৌমেন্দু অধিকারী ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই ছোটভাইয়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার পর্যন্ত পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (High court said no action can be taken till Monday)। মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্রাচার্য বলেন, "২৯ জুন মাঝরাতে এফয়াইয়ার দায়ের হয়। সুবল মান্না নামে এক ব্যাক্তি অভিযোগ করেন কাঁথি পুরসভার আধিকারিক এবং ঠিকাদাররা সরকারি জমির অপব্যবহার করেছেন। কন্ট্রাক্টর নির্দিষ্ট দামের থেকে অত্যন্ত কম দামে জমির প্লট বিক্রি করে পুরসভার আইন ভাঙছেন। কিন্তু কোনও রকম নথি ছাড়াই শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে এই ধরনের মামলা করা হয়েছে।"
তাঁর আরও অভিযোগ যদি পুরসভার কোনও জমি বেআইনি ভাবে বিক্রি হয়েও থাকে তাহলে তার দায় যৌথভাবে পুরসভার অন্য আধিকারিকদের উপরও বর্তায়। অভিযোগ উঠেছে টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ৷ সেই অভিযোগ যথার্থ হলে পুরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলরের মিটিং করা উচিত ছিল। তাছাড়া সরকারি নোটিশও দেওয়া উচিত ছিল। এসব না করে সরাসরি অভিযোগ করা হয়েছে সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক কারণ ছাড়া এর নেপথ্যে আর কিছু নেই ৷"
আরও পড়ুন: কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না ! অভিষেককে কড়া জবাব শুভেন্দুর
রাজ্যের তরফে আইনজীবী শ্বাশত গোপাল মুখোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে বলেন, "অনেক কিছুই বিক্রি হয়। এই প্রথম শ্মশানের জমি বিক্রি হল। এর থেকে দূর্ভাগ্যের আর কী হতে পারে! প্লট প্রাপাকরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়েই তাঁরা এই প্লট পেয়েছেন। সরকারি সম্পত্তি বিক্রির জন্য টেণ্ডার ডাকা উচিত ছিল। কিন্তু তা কেন করা হয়নি? প্রত্যেক দোকান থেকে ১০-১৫ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা পুরসভার কাছে আসেনি। তাহলে এটা কি আইন ভাঙা নয় ? এর কি তদন্ত করা দরকার নয়? তাই যথাযথ তদন্ত শুরু হয়েছে। আমাদের কাছে নথি আছে। আরও তদন্ত প্রয়োজন। "
সুবল মান্নার তরফে আইনজীবী সন্দীপন গাঙ্গোপাধ্যায় বলেন,"শ্মশানে স্টল বানিয়ে ব্যাবসা শুরু হয়েছে। যার একটা পয়সাও পুরসভা পায়নি। বলা হচ্ছে সৌমেন্দু অধিকারী অন্য রাজনৈতিক দলের সদস্য তাই তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি বেআইনি কাজ করেন তাহলে এভাবে রেহাই পাবেন না ৷ পুরসভার অফিস ব্যাবহার করে নির্দিষ্ট লেটারহেডে স্টল নিলাম করে টাকা নিয়েছেন কিন্তু টাকা পুরসভা পেল না! তাহলে তদন্ত হবে না কেন? তদন্তে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।" কিছ সহকারী ইনজিনিয়ারের স্ত্রীর নামে স্টল আছে শ্মশানে ৷ এটা দূর্ভাগ্যের বিষয়।" সব পক্ষের সওয়াল শুনে সোমবার পর্যন্ত সৌমেন্দুকে স্বস্তি দিল হাইকোর্ট ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার ৷