কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি : সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে সরে না-এলে পরিবারের সকলকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেব ৷ মঙ্গলবার রাতে মৃত ছাত্র নেতা আনিশ খানের দাদা সাবির খানের কাছে আসা এমনই হুমকি ফোন হত্যাকাণ্ডে নয়া মাত্রা যোগ করেছে ৷ কী অভিসন্ধি নিয়ে কে বা কারা এমনটা ঘটাল, তা জানতে এবার সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে চলেছে রাজ্যের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT seeks help of cyber crime department to tress the threat call) ৷
সিটের প্রাথমিক অনুমান, আনিশের দাদার কাছে হুমকি ফোনটি এসেছিল ইন্টারনেটের মাধ্যমে । সুতরাং, আনিশের পরিবারের কাছে আসা হুমকি ফোনটি যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তাতে কোনও সন্দেহ নেই ৷ কিন্তু কে বা কারা ওই ফোন কল করেছিল সেটা সামনে এলে আনিশ খান মৃত্যু রহস্যে নতুন মোড় বা প্রমাণ হাতে আসতে পারে ৷ তাই প্রযুক্তির ব্যবহার করে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার কথা ভেবেছে সিট।
এদিকে আনিশ খানের বাবার অনাস্থা সত্ত্বেও ছাত্র নেতার মৃত্যুরহস্যের কিনারা করতে তদন্ত শুরু করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট ৷ দুর্ঘটনার রাতে আমতা থানায় কর্তব্যরত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ বুধবার ভবানী ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা ঘোষণা করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ৷ আগামিকাল আদালতে পেশ করা হবে তাদের।
আরও পড়ুন : সিবিআই তদন্ত চাওয়ায় আনিশের দাদাকে প্রাণে মারার হুমকি
ভবানী ভবন সূত্রে খবর, ঘটনার দিন গ্রেফতার হওয়া দুই পুলিশকর্মী আরটি ভ্যানে টহলদারির দায়িত্বে ছিলেন। অর্থাৎ, গ্রেফতারির ঘটনায় পরিষ্কার এক্ষেত্রে পুলিশকর্মীদের কর্তব্যে গাফিলতি এবং আরটি ভ্যানের সঙ্গে থানার ডিসিআর ভ্যানের সংযোগের অভাব ছিল।