ETV Bharat / city

প্রয়াত সংগীতশিল্পী প্রতীক চৌধুরি - pratik chowdhury died

প্রয়াত হলেন সংগীতশিল্পী প্রতীক চৌধুরি। সন্ধে ৭ টা নাগাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

প্রতীক চৌধুরি
author img

By

Published : Feb 19, 2019, 9:58 PM IST

কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি : প্রয়াত হলেন সংগীতশিল্পী প্রতীক চৌধুরি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।

আজ সন্ধ্যায় নিজের অফিসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অফিস থেকে বেরোনোর সময় পড়ে যান। তড়িঘড়ি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধে ৭ টা নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।

কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি : প্রয়াত হলেন সংগীতশিল্পী প্রতীক চৌধুরি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।

আজ সন্ধ্যায় নিজের অফিসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অফিস থেকে বেরোনোর সময় পড়ে যান। তড়িঘড়ি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধে ৭ টা নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Intro:কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি: মাসে মাত্র ৯০০ টাকা উপার্জন করেন বছর চল্লিশের মনি মাইতি। শোলার কাজ করেন তিনি। তাঁর স্বামী পদ্মলোচন মাইতি (৫০) ক্যান্সারে আক্রান্ত। গ্রামবাসীদের থেকে ধার নিয়ে স্বামীর প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন মনি মাইতি। পদ্মলোচনবাবুর চিকিৎসা চলছে এখন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে কীভাবে স্বামীকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন, কীভাবে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারবেন, তার উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না মনি মাইতি।




Body:মনি মাইতির কথায়, "হাসপাতাল থেকে ফেরার পরে কী করে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করব, মাথায় ঢুকছে না। গ্রামবাসীরা যদি সাহায্য করেন, দয়া করেন, তা হলে ভালো হয়। হাতজোড় করে ওদের কাছে প্রার্থনা করছি।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "সরকারি সাহায্য পেলে ভালো।"

অন্যের জমিতে চাষাবাদ করেন পদ্মলোচনবাবু। একই সঙ্গে বছরের বিভিন্ন সময়ে পেশায় তিনি দিনমজুর। তবে নিয়মিত ছিল না এই কাজ। কোনও কাজ মিললে তা করতেন তিনি। এই ধরনের আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যে পদ্মলোচনবাবুর স্ত্রী শোলার কাজ করছেন প্রতি মাসে মাত্র ৯০০ টাকার বিনিময়ে।

স্বামীর চিকিৎসার খরচ কীভাবে জোগাড় করলেন তিনি? মনি মাইতি বলেন, "অনেকের কাছ থেকে ধার নিয়েছি অল্প অল্প করে শোধ করে দেব বলে।" যদিও চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে কোনও খরচ হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে চিন্তা বেড়েছে মনি মাইতির।

তিনি বলেন, "এত বড় অস্ত্রোপচার হয়েছে, এই জন্য বাড়ি ফেরার পরে স্বামী কিছুদিন কাজ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ডাক্তারবাবুরা।" যদিও কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন পদ্মলোচনবাবু সেই বিষয়ে চিকিৎসকরা এখনও তাঁদের কিছু জানাননি।

মনি মাইতি বলেন, "বাড়িতে ফেরার পরে কী করে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করব, মাথায় আসছে না। স্বামীকে নিয়ে টেনশনে আছি। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।" সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন জানাতে চান মনি মাইতি। তবে কীভাবে আবেদন জানাতে হয় তা তিনি জানেন না।


Conclusion:পদ্মলোচনবাবু পূর্ব মেদিনীপুরের বাদলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রীর আর্জির বিষয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গণেশ মাহাকোর কাছে ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "বাড়ির লোককে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলুন।"

গত মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচার হয়েছে পদ্মলোচনবাবুর। শেষ খবর অনুযায়ী, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এর পরে, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি চলবে বলে জানা গিয়েছে । পদ্মলোচনবাবুর মুখের বাঁ দিকে গালের ভিতর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। ওই ক্ষত বেড়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তা ক্যান্সারে পরিণত হয়।

যদিও, শুরুতে ধরা পড়েনি। যন্ত্রণা বেশি শুরু হতে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যান পদ্মলোচনবাবু। স্থানীয় হাসপাতালেও যান। কিন্তু সেখান থেকে কলকাতায় আসতে বলা হয়। প্রথমে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে যান। এর পরে গত ২ ফেব্রুয়ারি ভর্তি হন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।

--------------------
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.