কলকাতা, 11 নভেম্বর : নবান্ন মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়সহ রাজ্যের মোট চার মন্ত্রী। অন্য দুই মন্ত্রী হলেন- রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং গৌতম দেব। যদিও কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে রয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। কোরোনা থেকে সদ্য সুস্থ হয়ে বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
বর্তমানে দলে শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে সর্বত্র জল্পনা অব্যাহত। নন্দীগ্রামে অরাজনৈতিক মঞ্চে সভা করে তৃণমূলকে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন তিনি। রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, 13 বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ল ? যদিও এর পালটা সভা করে শুভেন্দুকে জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্তমান এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ ছিল নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক। প্রত্যাশামতোই বৈঠকে হাজির ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী।
এর আগে প্রত্যেকটি প্রশাসনিক ও মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিয়ম করে উপস্থিত থাকতেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। এবারে তাঁর উপস্থিত না থাকার কারণ হিসেবে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ দেখতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল। একই রকমভাবে আজ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হাওড়া জেলা থেকে দুই মন্ত্রী অরূপ রায় ও লক্ষ্মীরতন শুক্লার সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন-কষাকষি সর্বজনবিদিত। যাকে সামাল দিতে সম্প্রতি বৈঠক করতে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরকে। তা সত্ত্বেও বরফ গলেনি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেই কারণে আজ নবান্নের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজীববাবু গরহাজির ছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তবে অন্য দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও গৌতম দেব অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি বলে আগেভাগে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন বলেই খবর।