কলকাতা, 17 জুলাই : কালীঘাট হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীদের জন্য হাজরা পার্কে যে অস্থায়ী দোকান তৈরি হয়েছে, তা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম । হাজরা পার্কে অস্থায়ী দোকানঘর বণ্টন নিয়ে মন্ত্রীর সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ীদের একাংশ । রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় । তৃণমূলের নেতারা বিক্ষোভকারীদের সরাতে হুমকি দিতে থাকেন । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন : Weather Forecast : দক্ষিণে কমলেও উত্তরের কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টি, কলকাতায় বাড়বে গরম
কালীঘাট মন্দিরের বাইরে স্কাইওয়াক তৈরি করার জন্য কালীঘাটের হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দিতে হাজরা পার্কে অস্থায়ী দোকানঘর তৈরি করে কলকাতা পৌরনিগম । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখেই কয়েকজন নিজেদের মধ্যে অস্বচ্ছ ভাবে দোকানঘর বণ্টন করে । দোকানঘর বণ্টনে লটারির পদ্ধতিও সঠিক নয় ৷ এর জেরে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অনেককেই দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা ।
কালীঘাট মন্দির রোড থেকে হাজরা পার্কে ব্যবসা স্থানান্তরিত করতে প্রায় 50 হাজার টাকা খরচ হবে । করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা না থাকায় কোথা থেকে এই টাকা আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা । এছাড়াও বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মোট 187 জন ব্যবসায়ী রয়েছে । কিন্তু লটারি করা হয়েছে দেড়শো জনের মধ্যে । ফলে অনেকেই বাদ পড়ে গেছেন লটারিতে । মার্কেট কমিটি যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাঁরা ব্যবসায়ীদের কাছে না গিয়েই নিজেদের মধ্যে স্টল বণ্টন করে নিয়েছেন ।
আরও পড়ুন : আজ জয়েন্ট পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিনামূল্যে বাস পরিষেবা
বিক্ষোভের মুখে পড়ে পরিদর্শন না করেই ফিরে যান পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তবে তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন । বিক্ষোভকারীদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন । মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে । হাজরা পার্কে অস্থায়ী দোকানঘর দেওয়া হয়েছে । পরবর্তী সময় তাঁদের জন্য একটি মার্কেট তৈরি করে সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে । এক বছরের মধ্যে তাঁদের মার্কেট তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ ।
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, 158 জন ব্যবসায়ী রাজি হয়েছেন এই অস্থায়ী দোকানঘরে ব্যবসা শুরু করতে । যে কয়েকজনের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলে সমস্যা সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি । সেই সঙ্গেই ব্যবসায়ীদের 10 হাজার টাকা করে দোকান স্থানান্তরিত করার জন্য দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান ।
আরও পড়ুন : উদ্বোধন হলেও চালু হল না জোড়া পুকুর পাম্পিং স্টেশন