কলকাতা, 24 এপ্রিল : ধৃত চিটফান্ড কর্তা শান্তিলাল সুরানার বিলাসবহুল গেস্ট হাউসে হানা (Director of Economic Offences Raid in Ballygunge Guest House) দিলেন ডাইরেক্টর অফ ইকনমিক অফেন্স বিভাগের গোয়েন্দারা ৷ গোয়েন্দাদের সঙ্গেই ছিলেন অভিযুক্ত শান্তিলাল সুরানা ৷ সূত্রের খবর, সেখান থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা ৷ বালিগঞ্জের কুইন্সপার্কে 15 হাজার বর্গফুটের ওই বিলাসবহুল গেস্ট হাউসের প্রতিটি কোণা এদিন খুঁটিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা ৷
গোয়েন্দারা মনে করছেন, শান্তিলাল সুরানার (Shantilal Surana Chit fund Case) সঙ্গে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগ থাকলেও থাকতে পারে ৷ সেই দিকটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ ধৃত চিটফান্ড কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছে, রাজ্যে শান্তিলালের টার্গেট ছিল মূলত কলকাতা, আসানসোল ও শিলিগুড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গার উচ্চবিত্তরা ৷ এজেন্ট মারফত তিনি নিজে পৌঁছে যেতেন বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে ৷
জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীদের বলতেন ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে 7-8 পার্সেন্ট সুদ পাওয়া যায় ৷ কিন্তু তাঁর চিটফান্ডে যদি বিত্তশালীরা টাকা রাখেন, তাহলে সেই সুদ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় 15-16 শতাংশে ৷ অর্থাৎ, অর্ধেকেরও বেশি ৷ ব্যাঙ্কের থেকে দ্বিগুণের বেশি সুদ পাওয়ার লোভে অনেক উচ্চশিক্ষিত তথা সমাজের হোয়াইট কলার শ্রেণির লোকজন শান্তিলালের কাছে টাকা রাখতেন ৷ ডাইরেক্টর অফ ইকনোমিক অফেন্সের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এভাবে একাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে বালিগঞ্জের কুইন্স পার্কের গেস্ট হাউসটি তৈরি করেছেন শান্তিলাল ৷ বর্তমানে তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলে-সহ এই চিটফান্ডের সঙ্গে জড়িতরা পলাতক ৷ তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে গোয়েন্দারা ৷