কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি : বাম ছাত্র যুব সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযানের দিন আটক হওয়া বাম ছাত্র নেতা সুদীপ্ত গুপ্ত বাস থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময়ে সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে বাস থেকে পড়ে ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হল ওই যুবনেতার। এরপর প্রায় সাত বছর পর আবার বাম ছাত্র যুব সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযান৷ বৃহস্পতিবার ওই কর্মসূচি নিয়ে তাই দিন বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে কলকাতা পুলিশ।
যদিও এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালবাজারের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘যদি আন্দোলনকারীদের আটক করতে হয়। তাহলে প্রাথমিক আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে যে বাস ব্যবহারের থেকে লালবাজারের প্রিজন ভ্যান ব্যবহার করা হবে৷ কারণ, বাসের তুলনায় প্রিজনভ্যান বেশি নিরাপদ জনক।’’
এই মিছিল শুরু হচ্ছে কলেজ স্ট্রিট থেকে৷ ধর্মতলা হয়ে এই মিছিল যাবে নবান্নের দিকে। কিন্তু ধর্মতলার দিকেই পুলিশ ব্যারিকেড করে এই মিছিলকে আটকাবে বলে খবর। যাতে শহর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখা যায়, তার জন্য বদ্ধপরিকর লালবাজার। থাকছেন 800 থেকে 1000 পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন : জনসংযোগ করতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে কল্যাণ, আক্রমণ বাম-বিজেপির
সকাল থেকেই চারজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় থাকবেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) রূপেশ কুমার। ধর্মতলা থাকবেন ডিসি (সাউথ) সুধীর কুমার নীলকান্ত। পাশাপাশি থাকবেন স্পেশাল অ্যাকশন ফোর্সও৷ প্রয়োজনে জলকামান ব্যবহার করতে পারে লালবাজার৷ যদিও এই ব্যাপারে এখনও সীলমোহর পড়েনি।